Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জিজ্ঞাসার জবাব

প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

১। মোহাম্মদ ফারহানুল বারী দাইয়্যান খেজুরবাগ, ঢাকা।
জিজ্ঞাসা : সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ মানুষ কে? জানতে চাই?
জবাব : হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “আমি আদম সন্তানদের প্রত্যেক যুগের উত্তম শ্রেণিতে যুগের পর যুগ প্রেরিত হয়েছি। শেষে ওই যুগে জন্মগ্রহণ করি যে যুগে বর্তমানে আমি আছি। (বুখারি শরিফ) হযরত মুহাম্মদ (সা.) নেতা হিসেবে সর্বযুগের কিনা তা বিচার করতে হলে আমাদের দেখতে হবে তাঁর সম্বন্ধে স্বয়ং ¯্রষ্টা আল্লাহতায়ালা কী বলেছেন, রাসূল (সা.) নিজে কী বলেছেন, আর বিশ্ব মানবতায় তাঁর বিরাট অবদান দেখে পৃথিবীর জ্ঞানী-গুণীগণ ও চিন্তাশীলগণ কী বলেছেন ও বলছেন। স্বয়ং আল্লাহ বলেন, “আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি বিশ্বের শান্তি, কল্যাণ ও মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে।” (সূরা আম্বিয়া) এখানে দেখা যাচ্ছে তিনটি ব্যাপক বিশ্লেষক শব্দ বিশ্বের শান্তি, বিশ্বের কল্যাণ ও বিশ্ব মানবের মুক্তির পথপ্রদর্শক। এই তিনটি মানুষের বড় আকাক্সিক্ষত বস্তু। এগুলো বাস্তবায়িত করার জন্য যা যা গুণের ও ব্যক্তিত্বের দরকার তা সবই তার মাঝে ছিল। হযরত মুহাম্মদ (সা.) এমন এক সময় পৃথিবীতে প্রেরিত হন যে সময় অশান্তি, অনাচার, অবিচারে শুধু আরব নয়, সমগ্র বিশ্ব মনুষ্যত্বহীন হয়ে পড়েছিল। বিশ্বের এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যখন মনুষ্যরূপী শয়তানের নারকীয় উল্লাসে প্রকম্পিত হচ্ছিল। এমন এক যুগে বিশ্ব মানবের ত্রাণকর্তা হিসেবে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে আগস্ট ১লা জ্যৈষ্ঠ ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার। মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। কিন্তু আদর্শ শিক্ষার অভাবে অনাদর্শ পরিবেশের ঘূর্ণিপাকে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে এবং পশু প্রবৃত্তি ও শয়তান স্বভাবপ্রাপ্ত হয়। তখন মানুষ আর পশুতে বাহ্যিক চেহারা ছাড়া পার্থক্য থাকে না। তাদের সে অবস্থার কথা তুলে ধরে আল্লাহ বলেন, “তোমরা তো অগ্নিকু-ের প্রাপ্ত সীমায় পৌঁছে গিয়েছিলে। আল্লাহ তা থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করলেন।” আর রক্ষা করার সে মহান ব্যক্তি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। সর্বযুগের নেতা তিনিই হতে পারেন, যিনি নিজ যুগের সব সমস্যার সুন্দর সমাধানের ব্যবস্থাই শুধু করেন না, সাথে সাথে সর্বযুগের জন্য একটি আদর্শ জীবন ব্যবস্থা দিয়ে যান। এ জন্য তাকে নিজ দেশ, জাতি ও সমাজকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হয়, বিশ্বের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করতে হয়। নিজ জীবনে ও সমাজে নিজ আদর্শ প্রয়োগ করে সমস্যার সমাধান করে যেতে হয়। আর সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি দিয়ে আগামী দিনের সমাজ, জাতি ও বিভিন্ন সমস্যাকে পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষণ করে তার জন্য একটা সুন্দর মতাদর্শ বা জীবন ব্যবস্থা দিয়ে যেতে হয়।
উত্তর দিচ্ছেন : নাজীর আহমাদ জীবন



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিজ্ঞাসার জবাব

১৭ নভেম্বর, ২০১৬
১০ নভেম্বর, ২০১৬
৩ নভেম্বর, ২০১৬
২৭ অক্টোবর, ২০১৬
২০ অক্টোবর, ২০১৬
৬ অক্টোবর, ২০১৬
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
২৫ আগস্ট, ২০১৬
১৮ আগস্ট, ২০১৬
১১ আগস্ট, ২০১৬
৪ আগস্ট, ২০১৬
২৮ জুলাই, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ