Inqilab Logo

রোববার ১৩ অক্টােবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিজ্ঞাসার জবাব

প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

১। মোহাম্মদ ফাহমিদুল বারী রাইয়্যান, রাজামেহার, মুনশী মঞ্জিল, কুমিল্লা।
জিজ্ঞাসা : আল-কোরআন ছাড়া মানবজাতি টিকবে কি?
জবাব : অসত্যের মোকাবেলায় একমাত্র আল-কোরআনই শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ। আল-কোরআন ছাড়া বিশ্ব অচল। এ কোরআন অন্যান্য ধর্মের প্রতি একটি ওপেন চ্যালেঞ্জ। কারণ পবিত্র কোরআনে আল্ল­াহ নিজেই বলে দিয়েছেন ‘তোমরা যদি এই কোরআন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সন্দেহে থাক, যা আমি আমার বান্দা (মুহাম্মদ সা.)-এর প্রতি নাজিল করেছি, তবে তোমরা এর মত কোনো একটা সূরা রচনা করে নিয়ে আসো, আর সত্যবাদী হলে তোমরা আল্লøাহ ছাড়া নিজেদের সাহার্য্যকারীদের ডেকে নাও।’ (সূরা বাকারা-২৩) তারা পারে নাই, পারবেও না। এর ভেতরের একটা সূরাও না, এবং কোনো প্রকার বিকৃতি সাধনও না।
পৃথিবীতে যতো ষড়যন্ত্র আর চক্রান্ত হোক না কেন সব কিছুর অগ্রিম মোকাবেলা আজ থেকে ১৪শ’ পূর্বে আল্লø­াহর পক্ষ থেকে কোরআনে বলে দেয়া হয়েছে। আজকের আধুনিক বিশ্বের দিকে দৃষ্টি ফেরালে যে উন্নতি অগ্রগতি দেখা যায় তার পেছনে আল-কোরআনের অবদান কোনো অংশে কম নয়। কোরআনকে বাদ দিয়ে যেমন কোনো জাতি বা গোষ্ঠির উন্নতি সাধন সম্ভব হয়নি তেমনি কোরআনের বিপক্ষে গিয়েও কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর অস্তিত্বও টিকে থাকেনি। ইতিহাস তার জলন্ত সাক্ষি। কোরআন নিজেই বলেছে, ‘ইহা এমন একটি কিতাব যার মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। মুত্তাকিদের জন্য পথপ্রদর্শক।’
ইসলামের দুশমনেরা যদি কোরআনের বিকৃতি সাধনের অপচেষ্টা চালায় তবে তা এক সুতা পরিমাণও সম্ভব হবে না, কারণ আল্লøাহ নিজেই এ কোরআনের দায়িত্ব-ভার নিয়েছেন। এই কোরআন যতোদিন পৃথিবীতে থাকবে ততদিন পৃথিবী ধ্বংস হবে না, কেয়ামত সংঘটিত হবে না। আসবে না অনাকাক্সিক্ষত কোনো মহাপ্রলয়।
কেয়ামতের আগে কোরআনের পৃষ্ঠা থেকে তার সোনালী হরফগুলো আসমানে তুলে নেয়া হবে। মৃত্যুর মাধ্যমে কোরআনের আহালদের হৃদয় থেকে কোরআনের হরফ নিচিহ্ন করে দেয়া হবে। কেয়ামতের আগে দুনিয়াতে কোনো সৎলোক রাখা হবে না।
ইরশাদ হচ্ছে ‘বস্তুত এ উপদেশ বাণী (কোরআন) আমিই নাজিল করেছি এবং আমিই এর রক্ষক।’ (সূরা হিজ্র-৯) এর দ্বারা প্রতীয়মান হয় যারা এর বিরুদ্ধে আসবে দুনিয়াতে তাদের শাস্তি হবে অন্যান্যদের জন্য শিক্ষা নেয়ার মতো আর পরকাল হবে অত্যন্ত কঠিন ভয়ংকর। কিন্তু দুখের বিষয় আর কোরআনের আহালরা পৃথিবীতে নির্যাতিত নিগৃহীত লাঞ্ছিত অপমানিত। জীবনের সব ভরসা দিয়ে যারা কোরআনকে বিশ্বাস করে, সীনায় ধারণ করে তার নূরানী হরফগুলো। আজ তারা সুখে নেই। আবু লাহাব, আবুজেহেল, উতবাহ, সাইবার প্রেতাত্ত্বারা এখনও হানা দেয় ঈমানদার মানুষের জীবনঘরে। তারা মুসলিম জাতির বিপক্ষে অপবাদ-অপপ্রচারের বোমা ফাটিয়ে জগতের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্নমাত্রায় প্রবাহিত করে। দাগ বসিয়ে দেয় দীনের নিশানায় কালিমা খচিত শুভ্রআস্তিনে। এরপরও ইসলাম পরাজিত হয়নি পৃথিবীতে। কোরআন হারিয়ে যায়নি আজ অবদি।
কাজেই যারা কোরআনের সাথে লেগে থাকবে নিজেদের জান-মাল আর সময় দিয়ে। তারাই হবে বিজয়ী। কারণ কোরআন বলে দিয়েছে, ‘তোমরা ভিত-সন্ত্রস্ত হইয়ো না, মনোবল হারাইও না, বিজয় তোমাদেরই হবে যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো।’ আর অন্যত্র বলেছেন, ‘নিশ্চই আল্ল­াহর নিকট একমাত্র মনোনীত ধর্ম হলো ইসলাম।’ সুতরাং এই কোরআনের বদৌলতে তিনিই আমাদের বিজয় দান করবেন।
উত্তর দিচ্ছেন : মিযানুর রহমান জামিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিজ্ঞাসার জবাব

১৭ নভেম্বর, ২০১৬
১০ নভেম্বর, ২০১৬
৩ নভেম্বর, ২০১৬
২৭ অক্টোবর, ২০১৬
২০ অক্টোবর, ২০১৬
৬ অক্টোবর, ২০১৬
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
২৫ আগস্ট, ২০১৬
১৮ আগস্ট, ২০১৬
১১ আগস্ট, ২০১৬
৪ আগস্ট, ২০১৬
২৮ জুলাই, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ