শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
৯৮. কারণে সেই লোভান্ধ ও ভিক্ষু স্বভাব লোকদিগের
বন্ধ হয়ে গেল দুয়ার খোদার দান ও রহমাতের।
৯৯. বন্ধ হলে যাকাত দেয়া বন্ধ হয়ে যায় বাদল
ছড়িয়ে পড়ে যিনার পাপে ওবা মরক অমঙ্গল।
১০০. দুর্ভাবনা, আঁধার কিবা দৈব বিপাক ঝঞ্ঝা ঝড়
বেয়াদুবির জন্য এসব ধেয়ে আসে অনন্তর।
১০১. বন্ধু-প্রতি হয় যে রূঢ়, দুর্বিনীত, ধৃষ্ট মন
সমাজ তরে সে হয় ডাকাত, নিজে নামর্দ, বিলক্ষণ।
১০২. আদবেরই বদৌলতে আকাশ নূরে সমুজ্জ্বল
ফেরেশতাগণ পূত-মাসুম, আদবেরই পুণ্য ফল।
১০৩. বেয়াদুবির কারণেই গ্রহণ লাগে সূর্যে, আর
হয় আযাযিল বিতাড়িত জামাত হতে ফেরেশ্তার।
খোদায়ী হাকীমের সাথে বাদশার মোলাকাত
১০৪. হাকিমবরে জড়িয়ে ধরেন বাড়িয়ে রাজা হস্তদ্বয়
প্রেমের আসন দিলেন তাঁকে আবেগভরে নিজ হৃদয়।
১০৫. চুমোয় চুমোয় ভরে দিলেন হস্ত এবং ললাট তার
কোথায় বাড়ি, কেমনে এলেন ? শুধান তাঁকে বারম্বার।
১০৬. নিয়ে গেলেন খাস মহলে ধারণ করে হস্ত তার
বলেন সবর-ফলে আমি পেলাম রতন-মনির হার।
১০৭. ধৈর্য-সবর তিক্ত বটে তবে ইহার ফল-আখের
সুমিষ্ট ও উপাদেয়, প্রশান্তিকর তন্্-মনের।
১০৮. বলেন রাজা, দুঃক্ষুনাশি বন্ধু, হে মর্দেখোদা
‘সবর হলো মুক্তি-চাবি’ তুমিই সে মোর কুঞ্জিকা।
১০৯. সব সোয়ালের জবাব তুমি, প্রমাণ তোমার এ সাক্ষাৎ
তোমার হাতের মুঠোয় আছে এ মুস্কিলের ঠিক নাজাত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।