পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কুতুপালং ক্যাম্পকে ২০টি ব্লকে ভাগ করা হবে। প্রতিটি বøকে থাকবে একটি প্রশাসনিক ও পরিসেবা ইউনিট এবং একটি গোডাউন। এর ফলে সব ধরনের সেবা প্রদান সহজতর হবে। গতকাল বুধবার কক্সবাজার সার্কিট হাউসে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয়বিষয়ক এক সভায় মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সার্বিক কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করেন মায়া। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ আসিকুল্লাহ রফিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম, কক্সবাজার আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের সিনিয়র কর্মকর্তা প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, ২৫ আগস্টে নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা চার লাখ ২০ হাজার ধরে প্রথমে ৮৪ হাজার শেড নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে ৭০ হাজারের বেশি শেড নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মোট দেড় লাখ শেড নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যাতে সহায়তা দেবে দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও)। সভায় আরো জানানো হয়, কুতুপালং ক্যাম্পে ফায়ার সার্ভিসের নতুন ইউনিট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। অতিদ্রæত এটি নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া কুতুপালং ক্যাম্পের বাইরে যেসব ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা থাকছেন, ক্রমান্বয়ে তা গুটিয়ে একই ক্যাম্পে সবাইকে রাখা হবে। কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কেন্দ্রের কমিশনার আবুল কালাম জানান, এরই মধ্যে ক্যাম্পের বাইরে পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে যেসব রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। সভায় আরও জানানো হয় ক্যাম্প এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৮ কিলোমিটার ও এলজিইডি ৯ কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪টি গোডাউন নির্মাণের অংশ হিসেবে ইওতামধ্যে ৫টি গোডাউন নির্মিত হয়েছে। বাকী ৯টির নির্মাণ কাজ এ সপ্তাহে শেষ হবে। খাদ্য সরবরাহ প্রসঙ্গে সভায় জানানো হয় বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ৫ লক্ষ ২০ হাজার লোকের খাদ্যের সংস্থান করবে। এর বাইরে কেউ বাকী থাকলে দেশী বিদেশী সংস্থা থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ থেকে তাদের খাদ্য সরবরাহ করা হবে। স্বাস্থ্য পরিসেবা সম্পর্কে সভায় জানানো হয় ইতোমধ্যে সরকারীভাবে ক্যাম্পে ৩৬টি কমিউনিটি হাসপাতাল ইউনিট করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ৫ হাজার গর্ভবতী মহিলাকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে। ৭০ হাজার লোককে বিভিন্ন ধরনের টিকা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৫০০ লেট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। আরও ১৭৫০০ লেট্রিন স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৯০০ সেনিটারী টয়লেট, ১৫২৮টি টিউবওয়েল স্থাপন করেছে। এছাড়াও ১৪টি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও ৭টি ওয়াটার ট্রাকের মাধ্যমে খাবারের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্ধিত ক্যাম্প এলাকা আলোকিত রাখতে ৯ কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে সভায় জানানো হয়। প্রত্যেক খুটিতে স্ট্রিট ল্যাম্প লাগানোর অনুরোধ করেন মন্ত্রী। ইতোমধ্যে ৬১ হাজার লোকের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে বলে সেনাবাহিনী থেকে জানানো হয়। প্রতিদিন গড়পড়তা ৭-৮ হাজার লোকের রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে।ক্যাম্পের ভিতর আইন শৃংখলা রক্ষায় নতুন পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং পর্যপ্ত আনসার সদস্য মোতায়েন রাখা হবে বলে স্থানীয় প্রশাসন সভাকে অবহিত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।