পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উল্টো পথে গাড়ি চালানোর অভিযোগে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাফরুহা সুলতানার গাড়িচালক বাবুল মোল্লাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাফরুহা সুলতানা কার্যালয়ে থাকলেও সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। গতকাল মঙ্গলবার সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে পরিবহন কমিশনারের কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে বলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। পরপর দুইদিন উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন বাবুল মোল্লা।
জানা গেছে, গত রোববার রাজধানীর হেয়ার রোডে অভিযানে নেমে ট্রফিক পুলিশ উল্টোপথে চলা ৫০টির মতো গাড়ি আটকায়, যার মধ্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাফরুহা সুলতানার গাড়িও ছিল। অভিযানে বাবুল মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর সোমবার একই ঘটনা ঘটান তিনি। এদিন সন্ধ্যায় সচিবের গাড়ি উল্টোপথে এলে বাংলামটরে সেটি আটকায় পুলিশ। সচিবকে জরিমানা করার পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় চালক বাবুল মোল্লর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয় এবং গাড়িটি ঘুরিয়ে সোজা পথ দিয়ে আসার নির্দেশ দেয় পুলিশ। জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকির বলেন, গতকালই প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে (বাবুল) চালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি সে কেন পরপর দুইদিন উল্টোপথে গাড়ি চালিয়েছে,তা জানতে চেয়ে শোকজ করা হয়েছে। সমবায় অধিদপ্তরের গাড়িচালক বাবুল মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হতে এক বছর ধরে সচিবের গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে জানান তিনি। এদিকে ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উল্টোপথে গাড়ি চালানো বন্ধ হবে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। উল্টোপথে সচিবের গাড়ি চালানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেখুন, আমরা সবসময় বলে আসছি, দয়া করে কেউ উল্টোপথে গাড়ি চালাবেন না। কোনো কোনো রাস্তায় অনেক সময় যানজট লেগেই থাকে, এর মানে এই নয়, তারা (উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা) তারা উল্টো ফাঁকা পথে পার হয়ে যাবেন। এতে করে বড় যানজট লেগে যায় বলে আমাদের ট্রাফিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। আমাদের পুলিশ সবসময় ট্রাফিক আইন মেনে চলার কথা বলে আসছে। এমনিতে ঢাকার রাস্তা কম, অন্যদিকে গাড়ির সংখ্যা বেশি, যে কারণে বাড়তি একটা চাপ সড়কে লেগেই থাকে। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে ট্রাফিক বিভাগ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আমি সবাইকে আহŸান জানাচ্ছি, ট্রাফিক আইন অমান্য করবেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।