Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চামড়া শিল্প নগরীর উন্নয়নে সরকার সকল ধরণের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার, | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:১৫ পিএম

 সংকট কাটিয়ে চামড়া শিল্প নগরীর উন্নয়নে সরকার সকল ধরণের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো: তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
শনিবার দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরা এলাকায় বিসিক চামড়া শিল্প নগরী ও সিইটিপি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
ট্যানারি শিল্পের কারনে হরিধরা এলাকা ও ধলেশ্বরী নদী দুষণ হচ্ছে তাই সরকার দুষণ রোধে সকল ধরণের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, চামড়া শিল্পকে গ্রো করার জন্য আমরা অনেক বেশি উৎসাহ দেব। সবাই মিলে শিল্পটাকে আরও বেশি ইফেক্টিভ করবো। যাতে ডোমেস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে আমরা খুব ভালোভাবে কমপ্লায়েন্ট হয়ে যাই।
আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের রপ্তানি বাড়াতে সাভারের ট্যানারিকে আরও আধুনিকায়ন করতে আন্তর্জাতিক সংগঠন লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) সনদের জন্য আরও ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। আমরা চেষ্টা করবো আরও ২০০ একর জমি এই কাজের জন্য সংগ্রহ করতে। কারণ এলডব্লিউজি না হলে আমরা ইউরোপিয়ান মার্কেটে রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়বো। সে জন্য এই কঠিন বর্জ্যগুলো ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল মিয়া আরও বলেন, আমরা ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশন, লেদার গুডস অ্যাসোসিয়েশন যারা আছেন তাদের প্রতিনিধিরা, শিল্প সচিব, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়সহ সবাই এই চামড়া শিল্পের বর্তমান অবস্থা নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন. কোভিডের গত তিন বছরে চামড়া শিল্পে রপ্তানি অনেক কমে গিয়েছিল। এখন আমরা একটা পজেটিভ ট্রেন্ডে যাচ্ছি। এখন প্রায় ১.২বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি হচ্ছে এই খাতে। তবে কাজটি করতে গিয়ে আমাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। যা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এই কাজ করতে গিয়ে আমাদের ভূমি, পানির মাধ্যমে আমাদের পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এই দূষণ গুলো কিভাবে বন্ধ করতে পারি সে জন্য আমরা বিভিন্ন পরামর্শ নিয়েছি।
সিইটিপির বিষয়ে মুখ্য সচিব বলেন, এত বিরাট সিইটিপি করার অভিজ্ঞতা আমাদের দেশে এর আগে ছিলো না। এই কাজ করতে গিয়ে আমাদের যে সকল মালামাল এসেছে সেসব জায়গায় বিভিন্ন সময় কিছু সমস্যাও তৈরি হয়েছে। এখন পৃথিবীতে অ্যাডভান্স টেকনোলজিও চলে এসেছে। গ্লোবালি বায়াররা এখন আরও বড় অ্যাডভান্স টেকনোলজির সিইটিপি তারা দেখতে চায়। কাজেই আমাদের এই সিইটিপিকে আরও বেশি আধুনিকায়ন করা দরকার। এটা রেট্রোফিট করার জন্য কারিগরি বা প্রযুক্তিগত পরিবর্তন করা দরকার। আমরা মনে করি যে, এটিকেও চেইঞ্জ করতে হবে। তাহলে আশাকরি আমরা একটা ভালো ফল পাবো।
ট্যানারী পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের মোগড়াকান্দা এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেন।
পরির্দশনকালে তার সাথে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের একান্ত সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, বিসিকের পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মোঃ জিয়াউল হক, সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলামসহ বিভিন্ন ট্যানারীর মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুখ্য সচিব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ