Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কালিকাপুরে এক রাতে মেঘনায় বিলীন দেড়শ’ বসতবাড়ি : নতুন করে ভাঙন আতঙ্ক

| প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চলের চানপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে আবারো ভাঙন শুরু হয়েছে। গত সোমবার রাতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেড় শতাধিক ভিটে বাড়ী মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সাথে সাথে অথৈ পানিতে তলিয়ে গেছে ঘর বাড়ী, তৈজসপত্র, আসবাবপত্রসহ ৪৬টি পরিবারের সহায় সম্পদ। মাস দুয়েক পূর্বে একইভাবে ভাঙনের শিকার হয় কমবেশী ২শ’ পরিবার। ভাঙনের শিকার এইসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো অত্যন্ত মানবেতর অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। চালা নেই, চুলা নেই, আশ্রয়হীন অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে কয়েকশত নারী পুরুষ ও শিশু। বিগত ৩ মাস ধরে সেখানকার মানুষ ভয়াবহ ভাঙনের শিকার হলেও সরকারিভাবে এ বিশাল জনগোষ্ঠিকে কোন ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে না। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড, তাৎক্ষনিকভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যার ফলে দিনের পর দিন মেঘনার করাল গ্রাসে পতিত হয়ে চানপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামটি মানচিত্র থেকে মুছে যাবার উপক্রম হয়েছে। একইভাবে ভাঙন চলছে পার্শ্ববর্তী মির্র্জাপুর, চরমধুয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে। ইতোমধ্যেই এ দুটি ইউনিয়নের কয়েকশত বাড়ীঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঈদগাহ মাঠ, গোরস্থান মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড, নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি নিজে চানপুর ইউনিয়ন, চরমধুয়া ইউনিয়ন ও মির্জাচর ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু তাদের রিসোর্স না থাকায় ভাঙন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে নরসিংদী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভ‚ঁইয়া সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, যে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে গত ২২ আগস্ট ও ৩০ আগস্ট চানপুর, চরমধুয়া, মির্জাচর ও নরসিংদীর করিমপুর শুটকিকান্দা এলাকায় দু’দফা ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
নতুন করে যারা ভাঙনের শিকার হয়েছে তাদেরকেও অতি শীঘ্রই জেলা পরিষদের সাহায্যের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে চানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোমেন সরকার জানান, নদী ভাঙন রোধে বেড়িবাধ নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট একাধিকবার আবেদন জানানো হয়েছে। এ পর্যন্ত কোন সুফল পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আতঙ্ক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ