Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া গোলায় সীমান্তে আতঙ্ক

কক্সবাজর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৩:২৯ পিএম

মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া গোলায় সীমান্তে স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা গেছে। গত সপ্তাহের পর আজ আবারো দুটি গোলা এসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়েছে। এতে একপ্রকার আতঙ্ক দেখা দেয় স্থানীয়দের মাঝে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় গোলা দুটি পড়ে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থায় আছে এবং সেখানে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।


এর আগে রবিবার (২৮ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে এসে পড়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১-এর মাঝামাঝি স্থানে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটার হেলিকপ্টার টহল দিতে দেখা গেছে। সে সময় তাদের যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০টি গোলা ছোড়া হয় বলেও প্রক্ষদর্শীরা জানান। এ ছাড়া হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫টি গুলি করতে দেখেন তারা। এ সময় সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর আনুমানিক ১২০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে পড়ে।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ১নং ওয়ার্ডের তুমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫-এর মাঝামাঝি মিয়ানমার অংশে ২-বিজিপির তমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে চার রাউন্ড ভারী অস্ত্রের গুলি করা হয়। এখনও মিয়ানমারের মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে মর্টার ফায়ার চলমান রয়েছে। তবে এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘তমব্রু সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনায় গত রবিবার দুটি এবং বৃহস্পতিবার একটি মর্টার শেল সীমান্তের এপারে এসে পড়েো। আজ সকালে আবারও দুটি বিমান থেকে ছোড়া গোলা এসে সীমান্তে পড়েছে। এ ছাড়া গতকাল থেকে দুটি হেলিকপ্টারকে ওপারে সীমানাঘেঁষে টহল দিতে দেখা গেছে।’ এতে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আতঙ্ক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ