Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মসনবী শরীফ

| প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমী রহঃ
কাব্যানুবাদ ঃ রূহুল আমীন খান
ালে ঞঁনরহমবহ শহরে আসেন। কয়েক বছর সুইজারল্যান্ডের ইধংবষ শহরে বসবাস করেন। এখানেই ছিল তাঁর সাহিত্যজীবনের ক্রান্তিকাল। ১৯০৪ সালে তার লেখা চবঃবৎ ঈধসবহুরহফ উপন্যাস প্রকাশিত হলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

৫৬. এমন তাপস আছেন যারা না করলেও উচ্চারণ
খোদার সাথে হৃদয় তাদের যুক্ত থাকে সর্বক্ষণ।

৫৭. এলাজ-ওষুধ, পথ্য, সেবা করল যতোই ভিষক দল
ততই অসুখ বাড়ল দাসীর চেষ্টা গেল সব বিফল।

৫৮. রোগ যাতনায় হলো দেহ চিকুর-চিকন শীর্ণ তার
দুই নয়নে ঝর্ণা হয়ে রক্ত ঝরে শাহানশার।

৫৯. বাড়ল দাসীর পিত্তক্ষরণ ‘সেকানজাবিন’ ব্যর্থ- ফেল
বিশুষ্কতা বাড়ল আরো মাখ্লো যতোই বাদাম তেল।

৬০. ‘কোষ্ঠকটিন’ দূর না করে হরতকি দেয় উল্টো ফল
করল কেরোসিনের মতো অগ্নিকে তেজÑ ঠাÐা জল।

৬১. জ্বালা-পোড়া বাড়ছে কেবল ঘুম আসেনা চক্ষে আর
মন ভরে যায় অবসাদে, নেতিয়ে পড়ে শরীর তার।

আল্লাহর নিকট বাদশার প্রার্থনা ও সুচিকিৎসক প্রাপ্তি

৬২. বাদশা যখন ভিষকগণের অক্ষমতা দেখতে পান
খোদার মদদ চাইতে তখন মসজিদে খোদ দৌড়ে যান।

৬৩. মেহরাবের পার্শ্বে গিয়ে লুটে পড়েন সিজদাতে
ভিজে গেল মিত্তিকা তাঁর হৃদয় গলা অশ্রæতে।

৬৪. ফানার জগৎ থেকে রাজা ফিরে এসে বাস্তবে
মগ্ন হলেন আল্লা’পাকের প্রশংসা ও স্তবে।

৬৫. বলল : প্রভু! তোমারই দান রাজত্ব এ সালতানাত
সব কিছুই তোমার জানা, কী বলব আর হে পাক্যাত।

৬৬. সর্ব কালের সব বিপদের শরণ তুমি, ঘুচাও ক্ষত
ভুল করেতো ফেলছি আমি চিনতে সঠিক মুক্তি-পথ।

৬৭. যদিও তুমি বলছ আমি জানি হৃদের গুপ্ত ভেদ
তেমনি আবার বলছ আমায় জানাও মনের দুঃখ খেদ।

৬৮. হৃদয় মথি কান্না উথাল হলো যখন বুক রাজার
খোদার দয়া-সিন্ধু মাঝে এলো তথ ভর জোয়ার



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন