পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাকরিচ্যুত এবং সেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেয়া সাংবাদিক-কর্মচারীদের পাওনার দাবিতে গতকাল দিনভর দৈনিক ইনকিলাবের কার্যালয় অবরুদ্ধ রাখা হয়। দিনভর তারা অশ্লীল গালিগালাজ করে, ইনকিলাবের ব্যানার ছিঁড়ে দেয় এবং তান্ডব চালায়। এ সময় তারা ইনকিলাব সম্পাদককের নামে নানা ধরণের অপ্রীতিকর বক্তব্য দিয়ে বিশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীরা সকালে অফিসে প্রবেশ করতে এলে তাদের বাঁধা দেয়া হয়। এ সময় কয়েকজন আহত হয়। দিনভর রাস্তায় বসে থেকে সাংবাদিক ও কর্মচারীরা রাতে যখন অফিসে প্রবেশ করে তখন তাদের মারধোর করা হয়। এ সময় ইনকিলাবের জিএম হাবিবুর রহমান তালুকদার, বিশেষ সংবাদদাতা শাখাওয়াত হোসেন, সাংবাদিক ফারুক হোসাইন, আতাউর রহমান ইমরান, আরাফাত হোসেন শান্ত, তাসনিম মাহমুদ আসিফ, ফটো সাংবাদিক মতিউর সেন্টু, পেস্টার আজিজুর রহমান, পিয়ন আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন আহত হন।
যারা অফিসে ছিলেন তাদের কাউকে দুপুরের খাবার খেতে দেয়নি। সারাদিন কাউকে অফিসে প্রবেশ করতে দেয়নি এবং অফিস থেকে বের হতেও দেয়নি। ডায়াবেটিশ ও প্রেসারের রোগী সাংবাদিক কবি ফাহিম ফিরোজ অফিসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওষুধ পর্যন্ত আনতে দেয়া হয়নি। কর্মরত সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয়ার নজীরবিহীন এই ঘটনায় বিএফইউজ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন, চাকরিচ্যুত এবং সেচ্ছায় অবসরে যাওয়া সাংবাদিক কর্মচারীরা তাদের পাওনার জন্য আন্দোলন করতেই পারেন। কিন্তু কর্মরত সাংবাদিকদের রুটি রুচির ওপর হাত দিতে পারেন না।
গতকাল দুপুরের পর বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব ওমর ফারুক ইনকিলাব সম্পাদকের প্রতি চাকরিচ্যুত ও সেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেয়া সাংবাদিক ও কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধ করার আহবান জানান। ওমর ফারুক বলেন, বকেয়া বেতন এবং অন্যান্য সুবিধাদি পরিশোধের জন্য ইনকিলাব সম্পাদক প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কথা রাখেনি। ইনকিলাব সম্পাদক নের্তৃবৃন্দের ফোন পর্যন্ত ধরেন না। তিনি আরো বলেছেন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা ইনকিলাব গেটে অবস্থান করছে। পাওনা আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। অবস্থান কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘোষণা করা হলো। তিনি পাওনা আদায় না হলে সম্পাদকের বাসা ঘেরাও করা হবে বলে জানান। তবে তিনি অবস্থান নেয়া সাংবাদিক কর্মচারীদের অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না করেই শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দিয়ে চলে যান। কিন্তু ইনকিলাব সম্পাদক বলেছেন, কথামতো সাংবাদিকদের প্রথম কিস্তি ৬ মাসের বেতন দেয়া হয়েছে। বাকী যে টাকা তারা পাবেন তা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে। তবে আমাকে সময় দিতে হবে।
গত মঙ্গলবার হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মন্জুরুল আহসান বুলবুল ও মহাসচিব ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শাবান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী যুক্ত বিবৃতিতে ইনকিলাব সম্পাদককে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। তাদের অভিযোগ নির্ধারিত সময় সীমা পার হয়ে গেলেও পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। অতপর চাকরিচ্যুত ও সেচ্ছায় অবসর নেয়া সাংবাদিক-কর্মচারীরা ইনকিলাব অফিসের গেইট বন্ধ করে দেয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, বিএফইউজের যুগ্ম-মহাসচিব অমিয় ঘটক পুলক, সাব-এডিটর কাউন্সিলের সভাপতি কে এম শহীদুল হক, মো, শাহজাহান মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবু, শেখ জামাল, ওসমান গণি বাবুল, এম এম জসিম, এইচ এম মুর্শেদ প্রমূখ।
৩০ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত ইনকিলাব থেকে কয়েকজন সাংবাদিক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক সেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।