শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
সমকালীন সমাজ ও রাজনীতি
মোহাম্মদ আকরম খাঁর আবির্ভাব উনবিংশ শতাব্দির সমাপ্তি পর্বে। তখন বিদেশি শাসন শোষনে বন্দি স্বদেশ। ১৮৫৭ সালের প্রথম আযাদি সংগ্রামে ব্যর্থ হবার পর দেশবাসী হতাশায় আচ্ছন্ন। মৌলিক অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় বাঙালি জনগোষ্ঠীর। এই দু:সহ দুরাবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ বলেন, ‘যে যুগে মাওলানা সাহেবের কর্মজীবন শুরু সেছিল মুসলিম বাংলার পক্ষে অবিশ্রান্ত দুর্যোগের অমানিশা। বহুদিন আগে নিভে যাওয়া জ্ঞানের প্রদীপ তখনো সমাজের বুকে আবার জ¦লে উঠে নাই। প্রতিবেশী সমাজের জমিদারদের জুলুম ও মহাজনের শোষণ-উভয় প্রকারে অতিষ্ঠ মুসলিম কৃষকদের কতক আত্মরক্ষার জন্য সাপ ও বাঘ ভরা আসামের জঙ্গলে চলে গেছে; বাকিরাও ঐ উদ্দেশ্যে তল্পীতল্পা বাঁধতে উদ্যত। ঘুঘু চরানো ভিটার নিঃস্ব চাষি পরিবার ভাঙা কুলা, ছেঁড়া কাঁথার পুটলি কাঁধে যে অতি হাহাকারে আকাশ বাতাস কাঁদিয়ে আসামের পথে চলেছে, সে দৃশ্য যারা নিজ চোখে না দেখেছে তারা তার নির্মমতা হাজার ভাগের একভাগও আজ উপলব্ধি করতে পারবে না। সেই নৃশংস অভিযানের বিরুদ্ধে যারা বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, মওলানা সাহেব তাঁদের কতিপয়ের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। আমরাও তাঁদের চেলাদের মধ্যে গণ্য ছিলেন।’ (আবু জাফর সংকলিত ও সম্পাদিত মওলানা আকরম খাঁ, পৃ ১২৪-১২৫)
ব্রিটিশরা বাংলা দখল করেই মুসলমানদের কৃষ্টি কালচার, রাজনীতি, অর্থনীতির ওপর আধিপত্য বিস্তার করে। সেই আক্রমণের ঘূর্ণিবাতাসে খড়কুটোর মতো উড়তে থাকে মুসলমানরা। এই ট্রাজেডি সম্পর্কে উইলিয়াম হান্টার ১৮৭০ সালে বলেন, ‘উচ্চস্তরের বা নিম্নস্তরের সমস্ত চাকরি ক্রমান্বয়ে মুসলমানদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষ করে হিন্দুদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। সরকার সকল শ্রেণির প্রজাকে সমান দৃষ্টিতে দেখতে বাধ্য, তথাপি এমন সময় এসেছে যখন মুসলমানদের নাম আর সরকারি চাকুরেদের তালিকায় প্রকাশিত হচ্ছে না, কেবল তারাই চাকরির জায়গায় অপাঙক্তেয় সাব্যস্ত হয়েছে। সম্প্রতি সুন্দরবন কমিশনারের অফিসে চাকরিতে কতিপয় লোক নিয়োগের দরকারিতা দেখা দেয়, কিন্তু অফিসারটি সরকারি গেজেটে কর্মখালির যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন তাতে বলা হয় যে, এই শূণ্য পদগুলোতে কেবল হিন্দুদের নিয়োগ করা হবে। মোটকথা হলো, মুসলমানদের এতটা নিচে ঠেলা দেয়া হয়েছে যে, সরকারি চাকরির জন্য দরকারি যোগ্যতা অর্জন করা সত্তে¡ও সরকারি বিজ্ঞপ্তি মারফত জানিয়ে দেয়া হচ্ছে যে, তাদের জন্য কোনো চাকরি খালি নেই। তাদের অসহায় অবস্থার প্রতি কারও দৃষ্টি নেই এবং এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের অস্তিত্ব স্বীকার করতেও রাজি নয়।’ (দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস, পৃ ১৫৩-১৫৪) বর্তমান প্রজন্ম হান্টারের মূল্যায়নকে বাড়াবাড়ি বলতে পারেন। কিন্তু ইহাই নির্মম বাস্তবতা। এ বয়ানে কোনো কল্পনার মিশেল নাই।
আযাদ ভারতের প্রথম প্রধান প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরু হিন্দু জমিদারদের বিষয়ে কিঞ্চিত আলোকপাত করেছেন। ১৯৩২ সালের ৭ই ডিসেম্বর তিনি লিখেন,‘ভারতের অন্যান্য সমস্ত প্রদেশের চেয়ে বাঙলাদেশেই মুসলমানদের সংখ্যা বেশি। এরা ছিল গরিব প্রজা বা অতি ক্ষুদ্র ভূস্বামী। জমিদার সাধারণত হত হিন্দু; গ্রামের বানিয়াও তাই। এই বানিয়াই হচ্ছে টাকা ধার দেবার মহাজন আর গ্রামের মুদি। কাজেই এই জমিদার এবং বানিয়া প্রজার ঘাড়ে চেপে বসে তার রক্ত শুষে নেবার সুযোগ পেত। সুযোগের যথাসাধ্য সদ্ব্যবহারও করে নিতে ছাড়ত না। এই কথাটা মনে রাখা দরকার। কেননা হিন্দু আর মুসলমানের মধ্যে যে বিবাদ তার মূল রয়েছে এখানে।’ (জওহরলাল নেহরু: বিশ^-ইতিহাস প্রসঙ্গ, পৃ ৪০৭) জমিদার ও মহাজনরা ছিলো রক্তচোষা। তারা মুসলমানদের শেষ সম্বল ভিটেমাটিও কেড়ে নিত। এইসব জমিদার ও মহাজনদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলো কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জমিদার কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুররা মুসলমানদের মনে করতেন জন্তু জানোয়ার তুল্য। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুমিত সরকার ‘দি স্বদেশি মুভমেন্ট’ কিতাবে লিখেছেন, ‘নীরদ চন্দ্র চৌধুরী কিশোরগঞ্জে কৈশোরের দিনগুলির কথা স্মরণ করে প্রাক ১৯০৫ হিন্দু ভদ্রলোকদের মুসলমানদের প্রতি তাদের আচরণের কথা প্রসঙ্গে ‘চার পর্র্যায়ের’ কথা বলেছেন। ....‘আমাদের চতুর্থ অনুভূতি ছিল মুসলমান কৃষকদের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ মিশ্রিত। আমরা তাদেরকে আমাদের ‘লাইভস্টক বা গৃহপালিত পশু মনে করতাম’। কথাগুলো খুব কড়া, তবে মূলতঃ মিথ্যা নয়। কেউ কেউ এ লেখায় সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ শুকতে পারেন। কিন্তু ইহাই ছিলো তৎকালীন প্রেক্ষাপট ও নির্মম বাস্তবতা।
মওলানা আকরম খাঁর কালজয়ী সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে, কোরআন শরীফ(১৯০৫), যীশু কি নিষ্পাপ (১৯১৫), এসলাম মিশন(১৯১৭), আঞ্জুমানে ওলামায়ে বাঙ্গালার রিপোর্ট(১৯১৮) মোস্তফা-চরিত (১৯২৫), উম্মুল কেতাব(১৯২৯), সমস্যা ও সমাধান(১৯৩১), বারোয়ারী (উপন্যাস, যৌথ, ১৯৩১), পাকিস্তান নামা বা নয়া রাহে নাজাৎ(কবিতা, ১৯৪৩), তাফসীরুল কুরআন(১৯৫৯-৬০), বাইবেলের নির্দেশ ও প্রচলিত খ্রীষ্টান ধর্ম(১৯৬২), মোছলেম বঙ্গের সামাজিক ইতিহাস(১৯৬৫)। এছাড়া রয়েছে ফার্সি গুলিস্তার বঙ্গানুবাদ, মুক্তি ও ইসলাম, কারাগারের সওগাত, মিশ্র ও স্বতন্ত্র নির্বাচন, ব্যাক টু দ্যা কুরআন, ইসলামী শাসনতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য, ইসলাম এর আদর্শ, রমজানের সাধনা প্রভৃতি। মানবদরদি এ আলেমের প্রতিটি রচনা পান্ডিত্য, গবেষণা ও তথ্যপূর্ণ। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আবুল ফজল বলেছেন, ‘----আকরম খাঁর উচ্চসাহিত্যিক মান ও সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। সময়ের পরিবর্তন হয়েছে, জীবনের প্রতি স্তরে ঘটেছে বিবর্তন। দেশ ও দশের পরিবেশ ওলট-পালট হয়ে গেছে। কিন্তু আশ্চর্য, আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ বা মওলানা আকরম খাঁর সাহিত্যিক মানের এতটুকু পরিবর্তন হয়নি, হয়নি বিন্দুমাত্র অবনমিত। রাজনৈতিক ও সাহিত্যিক ধ্যান-ধারণায় আমি বিপক্ষ শিবিরের লোক। তবুও আকরম খাঁর বিশুদ্ধ ও নির্বাচিত শব্দ সমন্বয়ে গঠিত সুসংঘবদ্ধ ভাষা ও তার সুগভীর ভাব পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাই আমি তাঁর রচনার একজন পরম ভক্ত। ক্লাসিক রচনার স্পর্শে আকরম খাঁর ভাষা সুসমৃদ্ধ।’ ক্লাসিক বা ধ্রুপদী সাহিত্যের সংজ্ঞা নিয়ে নানাজনের নানাবিধ মত। আমরা সাধারণত উৎকৃষ্ট মানের সাহিত্যকেই ধ্রুপদী সাহিত্য বুঝি। সে হিসেবে আকরম খাঁর লেখনী শুধু উৎকৃষ্টই নয় অত্যেৎকৃষ্ট মানে উত্তীর্ণ। ভাব, ভাষা, যুক্তিতর্ক ও স্বাধীন আলোচনায় অনন্যকিতাব আল কুরআনের তাফসির ও নবির জীবনগ্রন্থ। শতবর্ষ পরেও এই মানের গ্রন্থ অনুপস্থিত।
প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, ‘এ জাতির জন্য যারা পাহাড় কেটে কেটে প্রশস্ত পথ তৈরি করেছেন, মওলানা আকরম খাঁ তাদের একজন পুরোধা পুরুষ। বিশেষত ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ, নিপীড়ন-নির্যাতন এবং একটি স্বাধীন জাতি গঠনে তার ভূমিকা ছিল অনন্য। সেকালে এ অঞ্চলের অনগ্রসর মুসলিম জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক মুক্তির জন্য তার শতবর্ষব্যাপী সংগ্রাম ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। সময়ের সাক্ষী ‘‘কাল পুরুষগণ’’ তাঁর অবদানকে নানা অভিধায় অভিহিত করেছেন।--- তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতার জনক, বিশুদ্ধচারী রাজনীতিবিদ, ধ্রুপদ সাহিত্যিক, অগ্রসর চিন্তানায়ক, যুক্তিবাদী ইসলামী চিন্তাবিদ এবং সফল সমাজ সংস্কারক।’ (দৈনিক বণিক বার্তা, আগস্ট ২৪, ২০১৬) আবদুল হামিদ খান ভাসানী তাঁকে বলছেন: ‘আদর্শবান নির্ভীক সেনানী’, আবুল মুনসুর আহমেদ বলেছেন: ‘সকল অমৃত ফলের কল্পতরু’, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, ‘আমরা তাঁকে সকলেই শ্রদ্ধা ও ভক্তি করতাম। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের কিছুই বলার ছিলানা’, কবি জসিম উদদীন ‘জাতির মহান পিতা’, আবুল হাশিম ‘মহান নেতা’, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ‘তাঁর জীবন সবার অনুপ্রেরণার স্থল’, মওলা বখশ নদভী ‘জাতি তাঁর দান চিরকাল স্মরণ রাখতে বাধ্য’, ড. এনামুল হক ‘এক শতাব্দির জীবন্ত প্রতীক’, মুফতি দীন মোহাম্মদ খান ‘বাবায়ে ওলামা’, কে. জি. মোস্তফা ‘মুসলিম সাংবাদিকতার তিনি জনক’, ড. আলিম আল-রাজী ‘অবিভক্ত বাংলার মুসলিম জাগরণের কর্ণধার’, আবুল কালাম শামসুদদীন ‘অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব, অসাধারণ প্রতিভা’, ড মুহম্মদ আবদুল্লাহ ‘আযাদি আন্দোলনের নকিব’, আবদুস সালাম ‘সকল সাংবাদিকতার তিনি গুরু’, মুজিবুর রহমান খাঁ ‘সংবাদজগতের গুরু’। মুহিউদ্দীন খানের মতে ‘বিস্ময়কর সংগ্রামী প্রতিভা’। খুরশীদ আহমদ আখ্যা দিয়েছেন ‘বাংলার শ্রেষ্ঠতম মনীষী ও জননায়ক’ অভিধায়। সৈয়দ সুফিয়ার রহমানের মতে ‘আতলান্তিকের অতলান্ত জলরাশির মত তার জ্ঞানের গভীরাত’। বৈচিত্রময় সংগ্রামী জীবন, মহান দার্শনিক, জাতীয় বুদ্ধিজীবী, জাতির মনোভাবের প্রতীক, দুর্গম পথের যাত্রী, আলোকরশ্মির ধারক, শতাব্দির মুজাদ্দিদ ইত্যাদি বিশেষণে। আমরা বলব ‘লাইভস্টক’দের মানুষ বানাবার প্রধান কারিগর ছিলেন মওলানা আকরম খাঁ।
মওলানা আকরম খাঁর বর্ণাঢ্য শতবর্ষব্যাপী জীবন ছিল বাঙালি মুসলিম জনগোষ্ঠীর আত্মজাগৃতির ইতিহাস। মননশীল সুলেখক, চিন্তাবিদ, বাগ্মী, উদার মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি আকরম খাঁ। আজকে যারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় নিযুক্ত সবাই-ই তাঁর উত্তরসূরী। দৈনিক ইত্তেফাকের উপদেষ্টা সম্পাদক মরহুম আখতার-উল-আলম লিখেছেন, ‘কবিগুরু গ্যাটে সম্পর্কে বলতে গিয়ে জনৈক সমালোচক বলেছিলেন, পাশ্চাত্যের কোনো লেখক বা সাহিত্যিক স্বীকার করুক বা না করুক, তারা প্রত্যেকেই গ্যাটের শিষ্য। এই কথার প্রতিধ্বনি করে আকরম খাঁ সম্পর্কে নির্দ্ধিধায় বলা চলে যে, আধুনিক বাঙালি মুসলমান সমাজের মধ্যে সকলেই বিশেষত: যারা সমাজ ও স্বজাতি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে থাকেন, তাদের মত ও পথ যা-ই থাক, কর্মক্ষেত্র যাই হোক না কেন, তাদের কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, তারা প্রত্যেকেই মাওলানার শিষ্য, প্রশিষ্য বা ভাবশিষ্য। মোহাম্মদ আকরম খাঁর জীবন ও সাধনার সাফল্য ও সার্থকতার এটাই প্রথম ও শ্রেষ্ঠ পরিচয়।’ (আবু জাফর সংকলিত ও সম্পাদিত মওলানা আকরম খাঁ, পৃ ১৫১)
এ মহানায়কের বইপুস্তক বর্তমানে দুর্লভ। তাঁর রচনাবলি সংগ্রহ ও প্রকাশ করা সময়ের অপরিহার্য দাবি। বাংলা একাডেমিকেই এ গুরুদায়িত্ব বহন করা উচিত। প্রাইভেট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষন, সুনীল, মানিক বন্দোপাধ্যায়দের বইকিতাবাদি প্রকাশ ও প্রচারে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। কিন্তু বিশ^ব্যক্তিত্ব মওলানা আকরম খাঁর রচনাসমগ্র প্রচারে তারা অনাগ্রহী। তাওহিদপন্থী তথা সেকুলার বিরোধী হবার কারণেই তিনি অবহেলার পাত্র। এই হীনমন্যতা ও অবিমৃশ্যকারিতা দূর করতে হবে। তাঁর সম্পাদকীয়, বক্তৃতাবলি, কলামসমগ্র, প্রবন্ধরাজি সংগ্রহ করে বই আকারে বের করা জাতীয় দায়িত্ব। এই গবেষণাকর্মে অগ্রসর হতে হবে গবেষকদের। ইসলামি ফাউন্ডেশনও এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।