মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : অনিবন্ধিত তরুণ অভিবাসীদের জন্য বিশেষ প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। অনিবন্ধিত তরুণ অভিবাসীদের জন্য ডিফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল বা ডিএসিএ প্রকল্প বাতিলের ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ অনষ্ঠিত হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সরকার পাঁচ বছর আগে ডিএসিএ প্রকল্প অনুমোদন করেছিলেন। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস গত মঙ্গলবার ডিসিসিএ বাতিলের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার বিরুদ্ধে, লস অ্যাঞ্জলস, শিকাগো, ডেনভার, ফিনিক্স, ওয়াশিংটন ডিসি এবং নিউইয়র্কসহ অন্যান্য নগরীতে বিক্ষোভ হয়েছে। লস অ্যাঞ্জলসে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী এক নারী বলেন, সহিংসতার হাত থেকে রক্ষা পেতে তার পরিবার গুয়েতমালা থেকে পালিয়ে এসেছিল। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর। এমন অনেক অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছি তা ৭ বছরে শিশু কখনো কল্পনাও করতে পারে না। কিন্তু এখন আমি কোথায় যাবো বলে প্রশ্ন করেন তিনি। ম্যানহাটানে ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভের সময় ৩৪ ব্যক্তিকে আটক করা হয় বলে নিউ ইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র জানান। অপর এক খবরে বলা হয়, তরুণ অনিবন্ধিত অভিবাসীদের সুরক্ষা দিতে তার আমলে নেওয়া কর্মসূচি বাতিল করায় তীব্র সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ডেফারড অ্যাকশন ফর চিলড্রেন অ্যারাইভাল (ডিএসিএ) নামের প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করে ট্রাম্প প্রশাসন। এর পরপরই ফেসবুকে ওবামা তার প্রতিক্রিয়া জানান বলে বিবিসির খবর। তিনি নতুন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে নিষ্ঠুর ও ভুল বলে অ্যাখ্যা দেন। এসব তরুণকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো উচিত নয়, কারণ তারা এমন কিছু করেনি যা অন্যায়। হয় আমরা সেই ধরনের মানুষ যারা আশাবাদী তরুণদের আমেরিকা থেকে বের করে দিতে চাই; কিংবা নিজের সন্তানকে যেভাবে দেখি, এসব তরুণদেরও সেভাবেই দেখতে পারি, উল্লেখ করেন তিনি। পাঁচ বছর আগে ওবামার চালু করা এ প্রকল্পের আওতায় সুরক্ষা পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া অনিবন্ধিত প্রায় আট লাখ তরুণ অভিবাসী। আইনের ফাঁক গলে মার্কিন মুলুকে যাওয়া এ তরুণদের বিতাড়নের হাত থেকে রেহাই দিয়ে সেদেশে বসবাস, পড়াশোনা ও ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছিলেন ওবামা। এরাই ড্রিমার নামে পরিচিত। সমালোচকরা এ প্রকল্পকে অবৈধ অভিবাসীদের ক্ষমা করার নামান্তর বলেই মন্তব্য করে এসেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকেই ট্রাম্প এ প্রকল্পের বিরোধিতা করছিলেন। নির্বাচিত হওয়া মাত্রই এ প্রকল্প বাতিল করার পরিকল্পনাও জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরও পরবর্তীতে তাকে ড্রিমারদের ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল কংগ্রেসের স্পিকার পল রায়ানের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছিল, এ তরুণরা আমেরিকা ছাড়া অন্য দেশ চেনে না, তাদের বাবা-মা তাদেরকে এখানে নিয়ে এসেছে। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।