পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা শিশু ও নারীদের গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যার সচিত্র প্রতিবেদন করেছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো। ব্রিটিশ মিডিয়া টেলিগ্রাফ, স্কাই নিউজ, যুক্তরাষ্ট্রের এমএসএন, থাইল্যান্ডের ফোরটি ফাই, মালয়েশিয়ার মালয়েশিয়ান ডাইজেস্টসহ শতাধিক মিডিয়ায় এধরনের ছবিসহ রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের খবর প্রকাশিত হয়েছে। টেলিগ্রাফের সাংবাদিক ফিওনা ম্যাকগ্রেগর ইয়াঙ্গুন থেকে তার প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গলা কেটে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার খবর দিয়ে প্রতিবেদন করেছেন।
এসব সংবাদের ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি রোহিঙ্গা শিশুকে এক বৌদ্ধ ভিক্ষু আগুনে ছুড়ে মারছেন। অসংখ্য নারী পুরুষের লাশ পুড়ছে এমন ছবিও পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোর এসব সচিত্র সংবাদে শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সুচিকে রোহিঙ্গাদের হত্যাযজ্ঞ বন্ধে কিছু একটা করার আহবান জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোর খবরে বলা হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। ৪’শ রোহিঙ্গা নারী-শিশু-যুবক-বৃদ্ধকে গুলি করে হত্যার খবর স্বীকার করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। শিশুদের গলা কেটে, নারী ও পুরুষদের পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। ব্যাংকক ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ফোরটি ফাই দাবি করেছে, মিয়ানমারের আরাকান বা রাখাইন অঞ্চলের চাতপায়েন গ্রামে রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষদের হত্যাযজ্ঞের এ লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী বৌদ্ধ সন্যাসী ও বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের পুড়িয়ে দেওয়ার এ ঘটনাকে ৯৬৯ প্রচারাভিযান হিসেবে অভিহিত করেছে। এধরনের প্রচারাভিযান হচ্ছে ইসলামের প্রসারের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযান। মেইকটিলার শহরে মিয়ানমার পুলিশের উপস্থিতিতে রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষদের এভাবে গলাকেটে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
পর্যবেক্ষণ সংস্থা ফোরটিফাই রাইটস তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, চাতপায়েন গ্রামে অমুসলিম এলাকাবাসি তলোয়ার, চাকু ও ছুরি নিয়ে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। এর আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষকে আটক করে একটি বাঁশ বাগানে নিয়ে যায়। এরপর তাদের চারপাশে আগুন ধরিয়ে দিয়ে জীবন্ত হত্যা করে।
মিয়ানমার সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যে ৪’শ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তারা সন্ত্রাসী এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভ্যাশন আর্মির সদস্য। এরাই রাখাইন অঞ্চলে ২৬’শ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করছে মিয়ানমার সরকার। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ৭৩ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। সোমবার সকালে আরো ২ হাজার রোহিঙ্গাকে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন থেকে আটক করেছে।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করার আগে গত সপ্তাহে রাখাইন অঞ্চল থেকে ১১ হাজার ৭’শ অমুসলিম বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার বাতিল করার পর তাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ঘোষণা করে। মিয়ানমারের সরকারি মিডিয়া গ্লোবাল নিউ লাইট এর দাবি, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভ্যাশন আর্মি কোতানকাউক, মিইনলাট ও কিয়াকানপাইন গ্রােেম ২৬’শ ৬৫টি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যানর রাইটস ওয়াচের খবরে বলা হচ্ছে উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে রোহিঙ্গা গ্রামের অন্তত ৭শ’ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ফেলার দৃশ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির এশীয় অঞ্চলের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন বলেছেন, যা ধারণা করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের অবস্থা তারচেয়েও ভয়াবহ। রাখাইন অঞ্চলে হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ ও নির্বিচারে গণধর্ষণে সার্বিক পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর। মিয়ানমার সরকার রাখাইনে কোনো সাংবাদিক বা মানবাধিকার কর্মীকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।