নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অনেক অর্জনের এক নাম- সাকিব আল হাসান। টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত পাঁচ উইকেট পাওয়া, টেস্ট ম্যাচে সবাইকে ছাপিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া, সিরিজ গুলোতে ম্যান অব দ্যা সিরিজ, টেস্টে ক্রিকেটে নম্বর-ওয়ান অলরাউন্ডারের পুরষ্কার এসব ব্যাপারের সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, দিচ্ছেন বহু আগ থেকেই। এই অলরাউন্ডারের খেলার মান আর ধারাবাহিকতা তাঁকে নিয়ে গেছে এক নতুন উচ্চতায়, হয়েছেন দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য একজন খেলোয়াড়-‘দ্য ওয়ান ম্যান আর্মি’। ম্যাচের সিচুয়েশন অন্যুায়ী প্লেয়িং স্টাইল চেঞ্জ করে মাথা খাটিয়ে বোলিং করা এই ব্যাপারগুলোতে সাকিব তার পারদর্শিতা দেখিয়েছেন গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে।
বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে সাকিব আল হাসানের অভিষেক হয় ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে। এর দেড় বছর পর অক্টোবর ২০০৮ সালে চট্টগ্রামেই নিউজিলান্ডের বিপক্ষে টেস্টে প্রথম পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নেন। তিনি প্রথম ইনিংসে ২৫.৫ ওভার বল করে ৩৬ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। যেটি এখন পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের সময়টায় পুরোপুরি নির্ভার ছিলেন হাসান। আগের বছরই সীমিত ওভারের দুই সংস্করণে অভিষেক হয়ে যাওয়া বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কাছে সেই সময়টা ছিল উপভোগের, মজার। সেই তরুণ সাকিব এখন তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের বড় ভরসা। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই তার কাছ থেকে অবদান চায় দল। দায়িত্বের ভারে উপভোগের মজা অনেকটাই কমেছে, ‘প্রথম টেস্ট খেলার সময় চিন্তা ছিল না যে কয়টা ম্যাচ খেলবো, কত দিন খেলবো। সে সময় একটা মজা ছিল। সেটা এখন নেই, তেমন না। কিন্তু এখন পরিবেশ অন্য রকম, দায়িত্ব; সব কিছুই আলাদা।’
২০০৭ সালের মেতে চট্টগ্রামে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সাকিবের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে স্পর্শ করবেন ৫০ ম্যাচের মাইলফলক। ১০ বছরের বেশি সময় লেগে যাচ্ছে, খানিকটা আফসোস কী আছে সাকিবের, ‘জীবনে খুব বেশি আফসোস নাই। সেদিক থেকে চিন্তা করলে- যা হয়েছে, তাতেই আমি খুশি। বেশি খেলতে পারলে ভালো লাগতো। যে ম্যাচগুলো খেলেছি, তাতে কতটা পারফর্ম করেছি, সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সামনে দুটি ম্যাচেও ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। এ বছর আমাদের দলের অনেকেই খুব ভালো করেছে। আশা করি, এই সিরিজেও ভালো কিছু হবে।’
সাকিবের সঙ্গে তামিম ইকবালও দাঁড়িয়ে আছেন ৫০ টেস্টের মাইলফলকের সামনে। আগামী ২৭ আগস্ট থেকে মিরপুরে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্ট আবার দলের ১১ খেলোয়াড়েরই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম, ‘এটা একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। ওদের সঙ্গে নানা সময়ে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি খেলেছি। টেস্ট এই প্রথম, এটা একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড টেস্টকে আলাদা মূল্যায়ন করে। যেটা অন্যেরা করে না। এ রকম একটা দেশের সঙ্গে টেস্ট খেলা রোমাঞ্চকর।’
এটা যেমন আনন্দ দেয় তাঁকে, দীর্ঘ ১০ বছরে মাত্র ৫০ টেস্ট খেলা নিয়ে আফসোসও কি হয় না? ‘জীবনে খুব বেশি আফসোস নেই। যা পেয়েছি তাতেই খুশি। হয়তো আরও বেশি খেলতে পারলে ভালো হতো। তবে খেলতে পারিনি, সেটা নিয়ে কোনো আফসোস নেই। যতগুলো খেলেছি, সেগুলোয় কেমন করেছি, সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ’- দার্শনিক জবাব সাকিবের।
এই দশ বছরে সেরা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স কোনটি কিংবা কোন টেস্ট তাঁর কাছে বেশি স্মরণীয়? একটু ভেবে সাকিব বললেন, ‘আমার কাছে স্মরণীয় টেস্ট ইংল্যান্ডেরটা (গত অক্টোবরে যেটিতে বাংলাদেশ জিতেছিল ১০৮ রানে)। স্মরণীয় পারফরম্যান্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। সে ম্যাচে ৯২ (আসলে ৯৬*, ২০০৯ সালে গ্রানাডা টেস্টে) করেছিলাম। আরও আছে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ২১৭ (গত জানুয়ারিতে), বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ওই পারফরম্যান্সটা (৭/৩৬, চট্টগ্রাম টেস্ট, ২০০৮)। এই তো, বলার মতো বেশি কিছু নেই!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।