Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ-পশ্চিমের সবখানে আলোচনা বর্তমান অবস্থার শেষ কোথায়

সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে দায়িত্বশীলদের বাকযুদ্ধ

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাঠের আলোচনা থামেনি। বরং আরো বাড়ছে। ক্রমাগত আলোচনা জোরালো হচ্ছে সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে শীর্ষপর্যায়ের দায়িত্বশীলদের বাকযুদ্ধের ব্যাপারে। দৈনিক ইনকিলাবে এর আগে দক্ষিণ-পশ্চিমের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের বক্তব্য ও মন্তব্য তুলে ধরে বলা হয়েছিল ‘কোনো সঙ্কট কি সামনে অপেক্ষা করছে?-আদালতের রায় নিয়ে দায়িত্বশীলদের বাকযুদ্ধ তেমন আশঙ্কাই বদ্ধমূল হচ্ছে। রাজনীতিতে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। রাজনীতি হচ্ছে ঘোলাটে। ক্রমাগত এর ডালপালা গজাচ্ছে। নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ এবং প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বাড়ছে বিশ্বাস ও আস্থার চরম সঙ্কট। কান পাতলে শোনা যাচ্ছে নানা গুঞ্জন। জল্পনা কল্পনায় এখন মশগুল রাজনীতির মাঠ’। বাস্তবে ওই নানামুখী আশঙ্কার চিত্র শুধু সত্য প্রমানিত হয়নি বরং বর্তমান চিত্র আরো ম্রাাত্মক রূপ নিতে পারে-এমন সংকেত এখন ধ্বনিত হচ্ছে মাঠের চারিদিকে।
গতকাল বর্তমান অবস্থাতে কি ভাবছেন মানুষ তা জানার চেষ্টা করা হয়। দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতা, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিস্থিতি মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অনেকেই অকপটে বলেছেন, এমনিতেই সংঘাতপুর্ণ রাজনীতির অবসান ঘটেনি, সবসময় বিপদের আশঙ্কার মধ্যে কাটাতে হয়, অস্থিরতা আস্টেপৃষ্টে জেঁকে বসে। তার উপর ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে যেটি শুরু হয়েছে তাতে সচেতন মানুষকে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে। অনেকের প্রশ্ন খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, তৃতীয় শক্তি ক্ষমতা আনার চেষ্টা চলছে। তাহলে আবার কি ঘনীভূত হচ্ছে পলিটিক্যাল সিডরের আশঙ্কা?
মাঝে কিছুদিন মাঠ রাজনীতি বেশ সরগরম হয়ে উঠেছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে ঝড় ওঠে রায় নিয়ে বাকযুদ্ধ শুরু হওয়ায়। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব ইকবাল কবীর জাহিদ দৈনিক ইনকিলাবের সঙ্গে সাক্ষাতকারে বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে বিতর্ক মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। রায় সংক্রান্তে সংবিধানে যা বর্ণিত আছে সেটিই মেনে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আদালত অঙ্গনেই সীমাবদ্ধ রাখা ছিল শ্রেয়। উচিত হয়নি আদালতের বাইরে বিষয়টি মাঠে আনা। কলেজ শিক্ষক আলতাফ হোসেন বললেন, এমনিতেই গণতন্ত্র, সুখ-সমৃদ্ধি, শান্তি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে। এখন নতুন করে অজানা আতঙ্ক ও নানামুখী চরম শঙ্কা আছড়ে পড়েছে সর্বমহলে। বিরাজ করছে একটা অস্বস্তিকর অবস্থা। এর শেষ কোথায় গিয়ে ঠেকবে। কোনদিকেই বা মোড় নেবে-এমন দুশ্চিন্তামূলক প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই সামনে আসছে।
পরিচিত কারো সঙ্গে পথেঘাটে দেখা হলেই ঝটপট প্রশ্ন ছুঁড়ছেন ‘বলেন তো ভাই খবর কি? আদালতের রায় নিয়ে তর্কবিতর্ক ও বাকবিতন্ডার সর্বশেষ অবস্থা কি? এসব কি হচ্ছে? এসবের শেষ কোথায়? রাজনীতি সচেতন মানুষ সামগ্রিক বিষয় গভীরভাবে পর্যালোচনা, পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে বলেছেন, দিন যত যাচ্ছে ততই নানামুখী বিপদের আশঙ্কায় তাড়িত হচ্ছে মানুষ। বাকযুদ্ধের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও কথা ছিল। ক্রমেই শিষ্টাচার বিবর্জিত পাল্টাপাল্টি বক্তব্য আসছে। এতে সাধারণ মানুষ হচ্ছেন হতবাক। প্রশ্ন উঠছে দায়িত্বশীল মুখে একি শুনছি?



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণ-পশ্চিম

৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
২৮ আগস্ট, ২০১৭

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ