Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জমজমাট হয়নি দক্ষিণ-পশ্চিমের বেশীরভাগ কোরবানীর পশুর হাট

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কোরবানীর ঈদের বাকি মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা দিন। এখনো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশীরভাগ পশুর হাট জমজমাট হয়নি। অথচ এই সময় কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে উপচেপড়া ভিড় হওয়ার কথা।
এর মূল কারণ হাটগুলো রয়েছে বৃষ্টি কাঁদায় ভরা। যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরার একটা অংশ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে পানিবদ্ধতা। এর বাইরে অন্যান্য জেলা ও উপজেলার কমবেশী এলাকায় কাদাপানিতে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে গরু ব্যবসায়ী, ক্রেতা, বিক্রেতাদের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইল, মাগুরা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরের উচু এলাকার বেশকিছু কোরবানির পশুর হাটে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। সেসব এলাকার হাটের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা খুবই ভালো। বৃষ্টির পানি পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে শুকিয়ে যায়। কাদাপানি হয় না বললেই চলে। বেচাকেনা জমজমাট না হওয়ার আরেকটি কারণ আকস্মিকভাবে ভারত থেকে করিডোর দিয়ে গরু ঢুকছে। এতে খামারীরা বেকায়দায় পড়েছেন। দামের হেরফের ঘটাচ্ছে।
প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র দাবি করেছিল ভারত থেকে গরু ঢোকা বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কারণ দেশীয় গরু ও ছাগল রয়েছে পর্যাপ্ত। গরু ও ছাগল পালন আগের চেয়ে বেড়েছে অনেক। কোরবানীর পশু সঙ্কট হবে না মোটেও। তাহলে কারা কিভাবে গরু ঢোকাচ্ছে করিডোর দিয়ে-এই প্রশ্ন আজ খামারীদের কাছে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এতে তাদের সর্বনাশ ঘটবে। এখনো পর্যন্ত কোরবানীর পশুর দাম খুব একটা চড়া নয়। গরু ও ছাগলের যৌক্তিক দাম রয়েছে বলে ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানিয়েছেন। কোরবানির পশুরহাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানুষ এখন সৌখিন হয়ে গেছে। আগেকার মতো আগেভাগে গরু ও ছাগল কিনে বাড়িতে রাখতে চান না। কোরবানির ঠিক ২/৪দিন আগে কিনলে ঝামেলা কিছুটা কম হবে এই মানসিকতায় হাটে ভিড় হচ্ছে কম। এখন বেশীরভাগ দাম যাচাইয়ের জন্য মানুষ হাটে যাচ্ছেন। কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী জানান, আশা করা যাচ্ছে কোরবানির ঈদের আগের সপ্তাহ বেচাকেনা হবে প্রচুর। সাধারণত ৫০/৬০ পারসেন্ট গরু ও ছাগল বিক্রি হয় ওইসময়।
ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের দাবি, দেশেীয় গরু ও ছাগলে চাহিদা যখন পুরণ হচ্ছে, তখন গরু আমদানীর প্রয়োজন নেই। জরুরিভাবে এটা বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।তা না হলে খামারী ও কৃষকরা আর্থিকভাবে দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বক্তব্য, সামগ্রিক গ্রামীণ অর্থনীতির মন্দাভাব বিরাজ করছে। তবুও ঈমানী দায়িত্ব পালন করার জন্য মানুষ পশু কোরবানী করেন। যশোর উপশহরে গরু বিক্রি করতে আসা পুলেহাটের শাহাদত হোসেন বললেন, এখনো তেমন জমজমাট হয়নি হাট। লোকজন আসছেন দামদর করছেন, ফিরে যাচ্ছেন। বর্তমানে বেশীরভা ক্ষেত্রেই দেখাশুনা ও দরদামের পালা চলছে। ঈদের শেষের দিকে কেনাকাটার মাত্রা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ৩০হাজার টাকার নীচে গরু নেই বললেই চলে। যে গরুর দাম গতবার ৩০হাজার টাকা ছিল তার দাম এবার কমপক্ষে ৩৪/৩৫হাজার টাকা। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের আরেকটি অভিযোগ, হাট ইজারাদারসহ বিভিন্ন গ্রæপ অতিরিক্ত টোল আদায় করছে নানাভাবে। কোরবানীর পশুহাটের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে জোরদার ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।



 

Show all comments
  • রাজিব খাঁন ২২ আগস্ট, ২০১৭, ১১:৩১ এএম says : 0
    hobe kmn kre panir modde nki
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণ-পশ্চিম

৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
২৮ আগস্ট, ২০১৭

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ