Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভোট রাজনীতি বেড়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

মিজানুর রহমান তোতা : | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অতিমাত্রায় বেড়েছে তৃণমূলে যোগাযোগ। তৃণমূলের পাশাপাশি কেন্দ্রেও লবিং করছে মনোনয়ন পেতে। কর্মী ও সমর্থকদের পক্ষে নিতে অনেকটাই মরিয়া তারা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩৬টি আসন এলাকার ভোট রাজনীতি চলছে সমানতালে। চারিদিকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। কোন আসনে কোন প্রার্থী চ‚ড়ান্ত হবে এটিই আলোচনার এখন মুখ্য বিষয়। ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনী মাঠ গুছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। কোন আসন এলাকায় কত নতুন ভোটার হয়েছে, আগে কত ছিল, বিগত নির্বাচনের অবস্থা কি ছিল, কাকে প্রার্থী করা হলে ভালো হবে-এসব হিসাব নিকাশ চলছে। ক্ষমতাসীন জোটে এবার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংখ্যা অনেক। একেক আসনে ডজন হাফ ডজন সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। এলাকায় অনেকে ব্যানার টাঙিয়ে জানান দিচ্ছেন মাঠে আছি। এর বিপরীতে প্রধান বিরোধীদল বিএনপির তৎপরতা এখনো উল্লেখযোগ্য নয়। তাদের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রতিযোগিতা খুব বেশী নেই। প্রার্থীতা বেশীরভাগ আসনেই অনেকটা চ‚ড়ান্ত। প্রার্থীতা নিয়ে প্রতিযোগিতা একবারে নেই তা নয়। সেটি হাতেগোনা কয়েকটি আসনে। আর আ’লীগের সিংহভাগ আসনেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যকার দ্ব›দ্ব তীব্র। বলা চলে তাদের কর্মকান্ডে ভোট রাজনীতির মাঠ হয়েছে সরগরম। কোরবানীর ঈদের ছুটিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী তৎপরতা বাড়বে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ক্ষমতাসীন দলে নতুনদের ধকল সামলানো কঠিন হচ্ছে সিটিং এমপিদের অনেকের।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের আলোচনায় আসছে, ভোট কি ফ্রি ফেয়ার হবে? অস্ত্র ও মাসলম্যানদের ব্যবহার হবে না তো? ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীদলের প্রার্থীরা কি সমান সুযোগ পাবে সকল ক্ষেত্রে? ধরপাকড় কি অব্যাহত থাকবে? বিরোধীদের বেশীরভাগ প্রার্থীর মামলা রয়েছে, সেসবের কি হবে, পলিটিক্যাল ক্যাডার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে নিরপেক্ষভাবে অভিযান চলবে কিনা? নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হবে কিনা? এরকম অনেক প্রশ্ন জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে। মাঠ রাজনীতির খোঁজ নিয়ে সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রাজনীতি এখন যা চলছে তা মূলত নির্বাচনকে ঘিরেই। প্রধান দু’টি দলের কর্মকান্ড চলছে একরকম নিজেদের শক্তি প্রদর্শন। গোটা অঞ্চলের সকল রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সমর্থক পুরোমাত্রায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। নির্বাচন কতটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে, ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কেমন, এবার কোন আসনে কে কে প্রার্থী হচ্ছেন-ইত্যাদি বিষয়েও একে অপরের সঙ্গে মতবিনিময় হচ্ছে। পাড়ায় মহল্লায়, চায়ের দোকানে ও বিভিন্ন আড্ডায় আলোচনার সিংহভাগেই থাকছে জাতীয় নির্বাচন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এবারও আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে মূল লড়াইটা হবে। ৪/৫টি আসনে অন্যান্য দলের প্রার্থী কিংবা জোট মহাজোটের শরিকদের প্রার্থীরা লড়াইয়ে আসতে পারেন। পর্যবেক্ষক মহলে মতে, একসময়ের অস্ত্রবাজ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী অধ্যুষিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অতীতের বেশীরভাগ নির্বাচন অস্ত্র ও পেশী শক্তিমুক্ত হয়নি। বর্তমানে অবশ্য অস্ত্রবাজ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের দাপট নেই। তবু নির্বাচনী ডামাডোলে পলিটিক্যাল ক্যাডার, সন্ত্রাসী, মাস্তানসহ একসময়ের চিহ্নিত সন্ত্রাসী কোন না কোন প্রার্থীর কাছে ভিড়ছে এমন খবর রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। যদিও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এ ব্যাপারে এখন থেকেই তীক্ষè দৃষ্টি রাখছে। গোয়েন্দারা রিপোর্ট সংগ্রহ করছে সম্ভাব্য কোন কোন প্রার্থীর আশেপাশে মাসলম্যান বা সন্ত্রাসী কারা রয়েছে কিভাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল

২৮ আগস্ট, ২০১৭

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ