পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘হোয়াইট কালার ক্রিমিনাল ও তদবিরবাজদের যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে উঠছি, তারা প্রভাব খাটিয়ে নানাভাবে ডিসটার্ব করে। আপনারা একটু লেখালেখি করেন সরকারী অফিসের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী না হয়ে দিনরাত সমানতালে ঘুরঘুর করে। নাড়াচাড়া করে ফাইলপত্র’। একান্তে আলাপকালে খুলনার এক সরকারী কর্মকর্তা এই কথাগুলো বললেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু খুলনা নয়, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা সদরের অফিস আদালতে একশ্রেণীর হোয়াইটকালার ক্রিমিনাল ও প্রভাবশালীদের চালাচামুন্ডাদের নানা তদবিরে অতিষ্ঠ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। তাদের প্রধান কাজ টেন্ডারের ভাগবাটোয়ারা এবং নিয়োগ ও বদলী বাণিজ্য। এছাড়া জমিজমার কাগজপত্র সংশোধন ও সংযোজন, একশ্রেণীর দালালদের বিভিন্ন কাজের ফাইল এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে দাপটের সাথে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকে তারা। ভাবখানা এমন যে, তারাই অফিসের বস। সেই ভঙ্গিতেই অফিসের কর্মচারী ও ক্লার্কদের আদেশ-নির্দেশ দেয়ার ক্ষেত্রে কুন্ঠাবোধ করে না তারা। কোন কোন সময় কর্মচারীরা অফিসারদের কাছে তাদের সম্পর্কে নালিশ দিলে জবাব আসে, কি করবেন, ওরা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের লোক। আসলে তারা নেতাদের ব্যবহার করছে, না সত্যিই ওইসব নেতারা তদবিরবাজদের নিযুক্ত করেছেন তা কখনো খতিয়ে দেখা হয় না। আবার একশ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদবিরবাজ ও হোয়াইটকালার ক্রিমিনালদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে সহযোগিতা করারও অভিযোগ আছে। একাধিক সুত্রে জানা যায়, প্রশাসন ও পুলিশ স্টেশনে তদবির করে হোয়াইট কালার ক্রিমিনাল ও তদবিরবাজরা মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যা ওপেন সিক্রেট। খুলনা জেলার একটি থানায় আটক এক ব্যক্তিকে মোটা টাকার রফায় ছাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে যশোরের বিআরট্রি অফিসে দালালদের প্রকাশ্যে দাপট দেখানোর অভিযোগ। একটি সুত্র জানায়, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কাউকে আটক করা, থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়া, প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, কথামতো কাজ না করলে শাস্তিমূলক বদলীর ঘটনা ঘটছে অহরহ। খাদ্য অফিস, রেজিষ্ট্রি অফিস, বিআরট্এি, পাসপোর্ট অফিসসহ বিভিন্ন সরকারী অফিসে প্রভাব বিস্তার করে ফায়দা হাসিলসহ নানা ধরণের বেআইনী কাজ কারবার যারা করেছেন তাদের সিংহভাগই ‘হোয়াইট কালার ক্রিমিনাল’ হিসেবে চিহ্নিত। তারা প্রশাসন ও পুলিশ স্টেশনে অহেতুক বসে থাকে। তারা সবাইকে জানান দেয় যে তারা একটা ফ্যাক্টর। এতে সরকারী অূিফসের কাজকর্মের স্বাভাবিক গতি বিঘিœত হয়। নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, যশোরের একটি গোয়েন্দা সংস্থা একটা তালিকা তৈরী করেছে, তাতে বেশ কয়েকজন হোয়াইট কালার ক্রিমিনালের নাম রয়েছে।
যাদের মুলত কোন পেশা নেই। তাদের কাজই সরকারী অফিস আদালতে দালালি করা। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের একজন সহকারী জানালেন, শুধু কি তদবিরবাজ, তাদের চালাচামুন্ডাদেরও দাপট। সকাল থেকেই এটা করেন, ওটা করেন এমনভাবে কান ঝালাপালা করে তোলে। মনে হয় আমরা তাদেরই চাকরী করি। যশোরের একটি পুলিশ স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানালেন, আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের কাজের চেয়ে অনেক প্রভাবশালী দালালের তদবির শুনতে শুনতে রীতিমতো পেরেসান। অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালীদের পৃষ্টপোষকতার কারণে সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্বেও টেন্ডারবাজ ও তদবিরবাজ এবং হোয়াইট কালার ক্রিমিনালরা পার পেয়ে গেছে। সুত্রমতে, চোখের সামনে অন্যায় করছে তারপরেও বিশেষ কারণে কিছু বলা যাচ্ছে না। পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, সরকারী কাজকর্ম নির্বিঘœ করতে হোয়াইট কালার ক্রিমিনাল ও তদবিরবাজদের একটি তালিকা তৈরীর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। যাদের কোন কাজ নেই, অথচ সরকারী অফিসে নিয়মিত ম্বঘোষিত সরকারী কর্মকর্তা সেজো ওঠাবসা করছে, তারা আসলে নানাভাবে প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।