Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দোকলাম সঙ্কটের ব্যাপারে আপোসের সুযোগ নেই -চীন

দোকলাম সঙ্কট শুরুর পর থেকে ভারত-চীন সীমান্তের নাথু লা পাস বন্ধ রয়েছে

| প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৭, ১১:৫৬ পিএম

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস : চীন বার বার বলেছে যে ভারত দোকলাম সংকটের গুরুত্ব স্বীকার করছে না এবং এ সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে কাজ করছে না। ভারতের প্রতি নতুন বাক্যবাণে পিপলস লিবারেশন আর্মির বিশ্লেষকরা বলেছেন, এ সংকট সমাধানের ব্যাপারে বেইজিং কোনো আপোস করবে না এবং ভারত এ অঞ্চলে সৈন্য মোতায়েন করে চীনের দৃঢ়তা সম্পর্কে ভুল ধারণা করেছে।
সংবাদ মাধ্যমকে চীন আবারো বলেছে যে চীন তার দেশের মধ্যে কি করবে সে বিষয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। চীন বলে, চীনা সেনাবাহিনীর মত চীনা নাগরিকরাও ভারতের বিপজ্জনক পদক্ষেপে ক্রুদ্ধ।
চীনের সিনিয়র কর্নেল ঝু বো-কে উদ্ধৃত করে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানায়, আমরা চীন সরকার ও সামরিক বাহিনী ভালোটাই আশা করি। কিন্তু এ ব্যাপারে আপোস করার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং দু’দেশের মানুষের মঙ্গল ও সৌহার্দের স্বার্থে ভারতকে অবশ্যই নিঃশর্ত ভাবে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে।
সামরিক বিজ্ঞান একাডেমির চীন-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সম্পর্ক কেন্দ্রের পরিচালক সিনিয়র কর্নেল ঝাও জিয়াওঝু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চীন যা বলে আসছে তার উপর জোর দিয়ে বলেন, দোকলাম সীমান্ত থেকে ভারত সৈন্য প্রত্যাহার করলে তবেই কোনো আলোচনা হতে পারে।
ঝাও উল্লেখ করেন, আপনারা যদি এ সমস্যার সমাধান চান তাহলে অবশ্যই ভারতীয় সৈন্যদের প্রত্যাহার করতে হবে । তা না হলে শুধু শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।
চীন আরো একবার কাশ্মীর কথা উত্থাপন করেছে এবং বলেছে, চীন যদি পাকিস্তানের পক্ষে কাশ্মীরে প্রবেশ করে তাহলে ভারত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। ভুটানের পক্ষে ভারতের দোকলামে প্রবেশও অনুরূপ ঘটনা হবে।
ঝাও বলেন, পাকিস্তান চীনের বন্ধু। চীন যদি ভারত সীমান্ত অথবা পাকিস্তানের পক্ষে ভারত-চীন সীমান্ত অতিক্রম করে , আমি জানি না আপনারা তখন কি প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করবেন। তার কথার মধ্যে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা যায়। তারাও একদিন আগে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমানা ও মহাসাগর বিষয়ক উপ মহাপরিচালক ওয়াং ওয়েনলি বলেন, আমরা মনে করি , ভারতের পক্ষে ত্রি-মোড়কে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। ভারতীয় দিকেও বহু ত্রি-মোড় রয়েছে। আরা যদি একই অজুহাত দেই ও চীন-ভারত ও নেপালের মধ্যকার কালাপানি অঞ্চল অথবা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর অঞ্চলে ঢুকে পড়ি তখন কি হবে?
চীন হয়ত বলতে পারে যে তারা এখনো আক্রমণ শব্দটি ব্যবহার করেনি, কিন্তু চীনের সরকারী বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এক সম্পাদকীয়তে দাবি করেছে যে ভারত ভুটান আক্রমণের চেষ্টা করছে এবং তাকে নিজের আশ্রিত করতে চাইছে। সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, অন্যান্য দেশের মত ভারতও জানে যে দোকলাম তিব্বত স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চলের অংশ এবং চীনের সার্বভৌম ভূখন্ড।
সিনহুয়ার সম্পাদকীয়তে ভারতের দোকলাম সংকট মোকাবেলার পন্থা বিষয়ে খোঁচা দিয়ে বলা হয় যে ভারত শুধু শান্তির কথা বলে, কিন্তু সে জন্য কাজ করে না। ভারত সৈন্য প্রত্যাহার করলে তবেই শুধু আলোচনা হতে পারে বলে চীন বার বার বললেও সে তা করতে অস্বীকার করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ