মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : হিন্দু ধর্মে গরুকে দেবতা হিসাবে দেখা হয়, তাই ভারতের অনেক রাজ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গো-রক্ষকরা রাস্তাঘাটেও পাহারা দেন যাতে কেউ গরু, এমনকি গরুর চামড়াও বহন করতে না পারে। কিন্তু গরু-মহিষ নির্বিশেষে চামড়া দেখলেই তাদের নির্বিচার হামলার কারণে এখন পরিবহন কোম্পানীগুলোও আর চামড়া বহন করতে চাইছে না। আর এর জের এসে পড়ছে দেশটির বৃহৎ চামড়া শিল্পের উপর। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রতিবেদন করেছেন বিবিসির রাহুল ট্যান্ডন। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে এখনো কিছু চামড়া ব্যবসায়ী ক্রেতাদের কাছে নিজেদের তৈরি পণ্য তুলে ধরছেন। যেমনটা করছেন চামড়া ব্যবসায়ী ইমরান আহমেদ খান। যদিও এ ধরনের ঘটনা এখন খুবই কম ঘটছে ভারতে। কারণ গরু নিয়ে ভারতে যে তুলকালাম চলছে, তার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে দেশটির অন্যতম বড় এই শিল্পখাতে। ফলে এখন ব্যবসা ভিয়েতনামে সরিয়ে নেয়ার কথা ভাবছেন ইমরান। লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারানোর ভয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। আমাদেরও ছাঁটাই করতে হবে, কর্মীদের সংখ্যা কমাতে হবে, কারণ আমরা আর ব্যবসা চালাতে পারছি না। সরকারের যে নীতি, তা এই শিল্পের জন্য ক্ষতিকর। তারা যেন এই শিল্পকে মৃত্যুসনদ দিয়ে দিয়েছে, যেখানে লাখ লাখ মানুষের রুটিরুজি রয়েছে- বলছিলেন ইমরান আহমেদ খান। কলকাতার যেসব বড় চামড়া কারখানা রয়েছে সেখানে এখনো কাজ চললেও আগের তুলনায় মেশিনগুলো এখন খুবই কম ব্যবহৃত হয়। কারণ ভারতের অনেক রাজ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে আর চামড়া নিয়ে যেসব ট্রাক এখানে আসছে, তার উপরেও ঘটছে হামলার ঘটনা। কলকাতা ট্যানার্স অ্যাসেসিয়েশনের কর্মকর্তা জিয়ে নাফিস বলছিলেন প্রতিদিনই সড়কে চামড়াবাহী গাড়ির উপর হামলার ঘটনা ঘটছে, তাই গাড়ি মালিকরা আর চামড়া পরিবহন করতে চায় না। মানুষ বুঝতে চায় না এখানে কি গরু, নাকি মহিষ না কিসের চামড়া আছে। চামড়া দেখলেই তারা সেগুলো ছুড়ে ফেলে, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারা মনে করে, সবই গরুর চামড়া, বলেন নাফিস। ফলে রুজি-রোজগার কমে যাওয়ার আশংকায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ চলছে। এদের বেশিরভাগই চামড়া কারখানার শ্রমিক বা নিম্নপদের কর্মচারী। একজন বিক্ষোভকারী নিরেজ কুমার বলছেন তার মতো হাজার হাজার লোক তাদের চাকরি হারাচ্ছে। আমরা এখন বেকার বসে আছি, কিছুই করার নেই। আমরা কিভাবে আমাদের পরিবারকে খাওয়াবো? আমরা কি এখন চুরি করবো? বলেন নিরেজ কুমার। গরু জবাইয়ের বিষয়টি নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টেও উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষদের উপর এসব হামলার ব্যাপারে চোখ অন্ধ করে রেখেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তবে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারেই পরিষ্কার, কারো এ ধরনের কর্মকাÐ বরদাস্ত করা হবে না। সরকার নিশ্চয়তা দিচ্ছে, যারাই এ জন্য দায়ী, তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।