নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সহজ জয়ে শুভসূচনা করেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে রাসেল ৩-০ গোলে হারায় সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে। বিজয়ী দলের হয়ে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড দাউদা সেসাই দু’টি ও স্থানীয় মিডফিল্ডার খালেকুরজামান একটি গোল করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। মৌসুমসূচক টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপেও তেমন নজর কাড়তে পারেনি দলটি। আর লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তো অনেকটাই কোনঠাসা ছিলো গুছানো ও তারুন্য নির্ভর শেখ রাসেলের সামনে। ফলে যথারীতি হার দিয়ে লিগ শুরু করতে হলো তাদের।
কাল মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ছিলো শেখ রাসেল। বিশেষ করে তাদের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড দাউদা সেসাই ছিলেন যেন অপ্রতিরোধ্য। তার জোড়া গোলেই দল সহজ জয় তুলে নেয়। ফলে হাসিমুখে ঘরে ফেরেন শেখ রাসেলের কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক।
তবে ম্যাচে শুরুটা শেখ রাসেল ঢিমেতালেই করেছিলো। অবশ্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে যায়। সহজ জয় পেলেও গোলের দেখা পেতে রাসেলকে অপেক্ষায় থাকতে হয় প্রায় আধঘন্টা পর্যন্ত। অবশ্য তার আগে সহজ সুযোগ নষ্ট করে মুক্তিযোদ্ধা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে ওভারল্যাপ করে উঠে আসা মুক্তিযোদ্ধা ডিফেন্ডার মনির আলমের ডান পায়ের শটটি অল্পের জন্য রাসেলের গোলবার ঘেষে বাইরে চলে যায়। অবশেষে ৩৪ মিনিটে গোল পায় বিজয়ীরা। এসময় লেফট ব্যাক আতিকুর রহমানের বাঁকানো ক্রসের বল বক্সের মধ্যে পেয়ে যান সতীর্থ খালেকুরজামান। দর্শনীয় হেডের সাহায্যে তিনি কিছুটা ওঠে আসা মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক উত্তম বড়–য়ার মাথার ওপর দিয়ে বল ফেলেন জালে (১-০)। তিনি মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল পায় শেখ রাসেল। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে অধিনায়ক শাহেদুল আলম শাহেদের যোগান দেয়া বল পেয়ে ঠান্ডা মাথায় শটে লক্ষ্য ভেদ করেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড দাউদা সেসাই (২-০)। ম্যাচের ৪০ মিনিটে মতিউর রহমানের চমৎকার প্লেসিং শটে আসা বল ঝাপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন শেখ রাসেল গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান। প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্তে অবশ্য গোল শোধের জন্য রাসেল রক্ষণদূর্গে একটি মরণ কামড় বসিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু গোলরক্ষক জিয়ার সময়োচিত তৎপরতায় রক্ষা পায় শেখ রাসেল। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় কোচ মানিকের দল। তবে বিরতির পর আরও এক গোল আদায় করে নেয় তারা। মুক্তিযোদ্ধাকে কোন প্রকার সুযোগ না দিয়ে ম্যাচের তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন দাউদা। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে একাই বল নিয়ে এগিয়ে যান আলমগীর কবির রানা। বক্সে ঢুকে গোলরক্ষক উত্তমকে পরাস্ত করলেও তিনি বল মাইনাস করেন তার পেছনে আসা দাউদা সেসাইকে। বল পেয়ে জোড়ালো শটে গোল করেন এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড (৩-০)। ম্যাচের বাকি সময় আর কোন গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল।
একই মাঠে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ২-০ গোলে হারায় ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।