Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রচন্ড ক্ষোভে ফুঁঁসছে আর যন্ত্রণায় জলছে বগুড়ার আওয়ামী লীগ

বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের পেয়ে মনোবেদনা প্রকাশ

| প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, বগুড়া থেকে : ক্ষোভে ফুঁঁসছে বা যন্ত্রনায় জলছে বগুড়ার আওয়ামী লীগ । আর এই ক্ষোভ বা যন্ত্রণারই বহিঃপ্রকাশ ঘেেটছে অতি দলটির বিশেষ বর্ধিত সভায় । ১৮ জুলাই বগুড়ার ঐতিহাসিক টিটু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই সভায় এমপি পদে মনোনয়নয়ন লাভে ইচ্ছুকদের বক্তব্যে। যেখানে সবাই বলেছেন, জোট রাজনীতির নামে আগামী নির্বাচনেও যেন আগের মত জোটের শরিকদের প্রাধান্য না দেওয়া হয় !
বর্ধিত সভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং খালিদ মাহমুদ চৌধুরী স্থানীয় নেতা কর্মীদের এই ক্ষোভ ও বঞ্চনার কথা প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে যথাযথ ভাবে তুলে ধরবেন বলে প্রতিশ্রæতিও দিয়েছেন বলে ইনকিলাবের কাছে বলেছেন দলের দায়িত্বশীল সুত্র। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সিনিয়র নেতারা সাম্প্রতিক বর্ধিত সভা ছাড়াও যখনই কেন্দ্রের কাউকে হাতের কাছে পেয়েছেন তাকেই বলেছেন, কি অপরিসীম যন্ত্রনা নিয়ে বগুড়ার মত বিএনপি জামায়াতের ঘাঁটিতে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের রাজনীতি করতে হয়। এ প্রসঙ্গে বগুড়ার সাবেক এমপি ও বর্তমানে বয়োজৈষ্ঠ রাজনীতিবিদ অনলবর্ষি বক্তা ও ছাত্রজীবনে জনপ্রিয় ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট আমান উল্লাহ খান দুঃখ করে বলেন,‘‘ যাদের ত্যাগে, শ্রমে, ঘামে ও রক্তের বিনিময়ে বগুড়ায় আজ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় হয়েছে তার মুল্যায়ন হওয়া অতি জরুরী।
সিনিয়র এই নেতার মতই বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের ১নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুবক্তা রাগেবুল আহসান রিপু বলেন, হয়তো বাস্তব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেই বিগত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে কেন্দ্র বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫ টিতেই শরিকদের ছাড় দিয়েছে। তবে আগামী নির্বাচনে আর সেই আবশ্যকতা ও বাস্তবতা নেই বলেই মনে করেন বগুড়া আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা ।’
দলের যুব, ছাত্র ও মহিলা এবং কৃষকলীগের একডজন নেতা কর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের সবারই বিশ্বাস বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনের প্রত্যেকটিতেই আওয়ামী লীগের ডজন ডজন নেতা রয়েছেন যারা মেধায়, দক্ষতায়. যোগ্যতায় শরিক দলগুলোতে বটেই মূল প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তুলনায় অনেক ভাল। তাই তারা চান, আর যেন মহাজোটের শরিকদের আগের মত ছাড় না দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা কর্মিদেরই মুল্যায়ন বিগত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে শরিকদলের পক্ষে যারা এমপি হয়েছেন, তারা অনভিজ্ঞতার কারণে বগুড়ার আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাঙ্কিত ভূমিকা রাখতে পারেননি। যার কারণে স্থানীয় ভোটাররা মনে করতে পারেন যে আওয়ামী লীগ সরকারের কারনেই বগুড়া সব দিক থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে অনেকে বলেন, বগুড়া -১ সংসদীয় আসনের এমপি আব্দুল মান্নান তার নির্বাচনী এলাকায় বরাদ্দ আনতে পেরেছেন, বাকিরা সবাই মিলেও তা’ পারেননি। তাছাড়া শরিক দলের এমপিদের এ্যাটিউচুডে মনে হয়েছে, তারা নিজের যোগ্যতাতাতেই এমপি হয়েছেন তাই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের এ্যাভয়েড করাই উত্তম। অনেকে আবার আগামীর বাস্তবতা বা ভবিষ্যৎ প্রতিকুল পরিবেশের কথা চিন্তায় গোপনে- প্রকাশ্যে সম্পর্ক রেখেছেন বিএনপি জামায়াতের ক্যাডারদের সাথে ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ