পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া : প্রথম, মিলিশিয়ারা তাদের ধরে নেয়ার হুমকি দেয়। তারপর মিলিশিয়াদের সাথে সম্পৃক্ত মিডিয়াগুলো তাদের ছবিসহ খবর ছাপে এবং তাদের বাথপন্থী ও শিয়াদের শত্রæ বলে আখ্যায়িত করে। কামালদের বাড়ির কাছে একটি রহস্যজনক গাড়ি এসে হাজির হলে তার মা আতংকিত হয়ে পড়েন যে মিলিশিয়ারা বুঝি তার ছেলেকে ধরতে এসেছে। অবশেষে আইনের ছাত্র কামাল ও তার বন্ধু কলেজ থেকে নোটিশ পান যে তাদের এক বছরের জন্য কলেজ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম যে আমাদের একমাত্র আশা বিশ^বিদ্যালয় এবং ইরান সেখানেও হস্তক্ষেপ করে।
খাজালির রাজনৈতিক ও মিলিশিয়া সংগঠন আসাইব আহল আল-হক ইরানের সাথে গভীর ভাবে সম্পৃক্ত। তিনি আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে সমর্থন পেতে ইরাক জুড়ে সকল কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এটা এই আশংকা সৃষ্টি করেছে যে ইরান শুধু ইরাকি শিক্ষার উপরই তার প্রভাব গভীরতর করতে চাইছে না, তারা মিলিশিয়াদেরকে ইরাকি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোতেও অনুপ্রবেশ করাতে চাইছে যেমনটি সে করেছে লেবাননে হেজবুল্লাহর সাথে। একজন আইন প্রণেতা ও পার্লামেন্টের উচ্চশিক্ষা কমিটির সদস্য বেরিওয়ান খইলানি বলেন, এটা হচ্ছে আরেক ধরনের ইরানি অনুপ্রবেশ ও ইরানি প্রভাব বিস্তার। ইরান তরুণদের নিয়ন্ত্রণ করতে চায় এবং ইরানের দালালদের মাধ্যমে তাদেরকে ইরানি বিশ^াস শিক্ষা দিতে চায়।
রাজনৈতিক উত্তরণ
রাজপরিবারের সদস্যসহ কাতারের একদল বাজপাখি শিকারী যখন ২০১৫ সালে দক্ষিণ ইরাকের মরুভূমিতে শিকারে গিয়ে অপহৃত হন তখন কাতার তাদের মুিক্তর জন্য ইরান ও তার মিলিশিয়া মিত্রদের সাথে যোগাযোগ করে, বাগদাদ সরকারের সাথে নয়। প্রধানমন্ত্রী আবাদির জন্য এটি ইরান সরকারের কাছে তার দুর্বলতা প্রকাশের এক বিব্রতকর ঘটন্।া কারণ ইরানের ছায়া মিলিশিয়া গ্রæপ কাতাইব হেজবুল্লাহ এই ঘটনার পিছনে ছিল বলে মনে করা হয়। সে কারণে জিম্মি মুক্তি আলোচনা যখন শেষ পর্যায়ে তখন আবাদিকে পিছনে ঠেলে দেয়া হয়।
এপ্রিলের এক দুপুরে কাতারের একটি সরকারী বিমান বাগদাদে অবতরণ করে যাতে কূটনীতিকদের একটি প্রতিনিধিদল এবং ২৩টি কালো বাক্সে ৫০ কোটি ইউরো ছিল। শিকারীরা শিগগিরই বাড়ির পথে রওনা হলেন। কিন্তু মুক্তিপণের অর্থ ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ার হাতে পৌঁছল না, তার বদলে তার জায়গা হল বাগদাদে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে। এ অর্থ আটকের নির্দেশ দেন আবাদি, যিনি ইরাক সরকারের নাকের ডগায় ইরানি মিলিশিয়া এবং তাদের ইরানি ও হেজবুল্লাহ বন্ধুদের এত বিপুল পরিমাণ অর্থপ্রাপ্তির সৌভাগ্যে কুপিত হন। তিনি প্রকাশ্যে বলেন, সশস্ত্র গ্রæপগুলোর জন্য কোটি কোটি ডলার? এটা কি গ্রহণযোগ্য?
ইরাকে এ অপহরণ ঘটনাকে দেশের সার্বভৌমত্ব লংঘনকর এবং ইরাক রাষ্ট্রের দম বন্ধ করার ইরানের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
টুইটারে এক পোস্টে সাবেক ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পরে অর্থমন্ত্রী জেবারি অপহরণ অধ্যায়কে এক প্রহসন বলে আখ্যায়িত করেন। জেবারি ইরাকের উপর ইরানের ক্ষমতার বিষয়টি জানেন। তিনি বলেন, গত বছর ইরান তাকে যুক্তরাষ্ট্রের অতি ঘনিষ্ঠ বিবেচনা করে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়। জেবারির অপসারণের সাথে সম্পৃক্ত যে পার্লামেন্ট সদস্য বিষয়টি যাচাই করেন তিনি ইরানের ভয়ে নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান।
জেবারি জানান, স্বয়ং বারাক ওবামা তার মন্ত্রীত্ব বহাল রাখার জন্য গত সেপ্টেম্বরে আবাদিকে বক্তিগতভাবে তদবির করেন, কিন্তু তা রাখা হয়নি। আবাদি নিজেকে এখন বিপাকে পড়া অবস্থায় দেখছেন। তিনি যদি এমন কোনো পদক্ষেপ নেন যা ইরানের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হতে পারে, অথবা যা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বলে প্রদর্শন করে, তাহলে রাজনৈতিক আকাশে মেঘ ঘনীভূত হবে।
সাদ্দামের সময় নির্বাসনে থাকা বিশিষ্ট ইরাকি শিয়া নেতা ইজ্জত শাহবন্দর বলেন, তার দু’টি পথ আছেঃ হয় আমেরিকার সাথে থাকা, নয় ইরানের সাথে থাকা। তিনি আমেরিকার সাথে থাকতে পছন্দ করেছেন। আবাদি ২০১৪ সালে আমেরিকা ও ইরানের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ইরানের চাপ প্রতিহত করার ব্যাপারে তাকে শক্তিশালী দেখা যাচ্ছে।
জিম্মি মুক্তি অর্থ আটক ছাড়াও তিনি বাগদাদ থেকে জর্দানের আম্মান পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণের উচ্চাকাক্সক্ষী প্রকল্পের দায়িত্ব এক মার্কিন কোম্পানিকে দিয়েছেন। তিনি আইএসের পরাজয়ের পরও মার্কিন বাহিনীকে ইরানে রাখার ব্যাপারে চুক্তির শর্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা শুরু করেছেন।
উইকিলিকসের ফাঁস করা এক কূটনীতিকের তারবার্তায় বলা হয়েছে, গত বছর ইরাকে ইরান তার কৌশলগত উদ্যোগ হারিয়েছে। তবে অন্য তারবার্তাগুলোতে ওয়াশিংটনের প্রতি হুঁশিয়ারি দেয়া হয় যে আমেরিকানরা ইরাক চাড়লে ইরান সে শূন্যস্থান পূরণ করবে।
২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ইরাকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রায়ান সি ক্রুকার বলেন, আইএসের পরাজয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র আবার যদি ইরান ত্যাগ করে তবে তা হবে কার্যকরভাবে ইরানকে অবাধ কর্তৃত্ব দেয়া। তবে বহু ইরাকিই বলেন, ইতোমধ্যেই ইরান ইরাকে অবাধ কর্তৃত্ব করছে। যখন ট্রাম্প প্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছে যে ইরান মোকাবেলার লক্ষ্যে তারা ইরাকের প্রতি ঘনিষ্ঠ মনোযোগ দেবে , প্রশ্ন হচ্ছে তা অনেক দেরী হয়ে গেছে কিনা। আমেরিকা ও ইরান উভয়ের সাথে সুসম্পর্ক থাকা জ্যেষ্ঠ শিয়া রাজনীতিক সামি আল-আসকারি বলেন, ইরান নীরবে বসে থাকবে ও কিছু করবে না তা হতে পারে না। তাদের বহু পথ আছে। খোলাখুলি কথা, আমেরিকা কিছই করতে পারবে না। (শেষ)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।