পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া : ইরাকের যে কোনো বাজারে যান। প্রায় সবখানেই দেখবেন তাকগুলো ইরানি পণ্যে পরিপূর্ণ- যেমন দুধ, দই, মুরগি ইত্যাদি। টিভি খুলুন। চ্যানেলের পর চ্যানেল ইরানের প্রতি সহানুভূতিপূর্ণ অনুষ্ঠান সমূহ প্রচার করছে।
একটি নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে। দেখুন, তার সব সিমেন্ট ও ইট হয়ত ইরান থেকে এসেছে। বিষন্ন ইরাকি তরুণরা চাঙ্গা হয়ে ওঠার জন্য যখন কোনো পিল সেবন করে , সেই বেআইনি ওষুধও হয়ত দু’দেশের মধ্যকার সীমান্তের ফাঁক গলে ইরান থেকে চোরাচালান হয়ে আসা।
ইরাক জুড়ে ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত মিলিশিয়ারা সিরিয়া ও লেবাননে তাদের ছায়াশক্তিগুলোর জন্য লোক ও অস্ত্র প্রেরণের লক্ষ্যে একটি করিডোর প্রতিষ্ঠার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। আর বাগদাদের ক্ষমতার বারান্দায় যারা আছেন, এমনকি অতি জ্যেষ্ঠ ইরাকি মন্ত্রিসভা কর্মকর্তা পর্যন্ত ইরানি নেতৃত্বের আশির্বাদপুষ্ট।
সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্র ১৪ বছর আগে ইরাকে হামলা করে তখন তারা ইরাককে দেখেছিল গণতন্ত্রের এক সম্ভাব্য কেন্দ্রভূমি হিসেবে এবং পাশ্চাত্য মুখী মধ্যপ্রাচ্যকে। এ জন্য তারা রক্ত ও অর্থের বিপুল অপচয় করে যার মধ্যে রয়েছে সাড়ে ৪ হাজার মার্কিন সৈন্যের বলি ও ১ হাজার ট্রিলিয়নেরও বেশী অর্থ ব্যয়।
ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের প্রথমদিন থেকেই ইরান যা দেখেছিল তা হচ্ছে তার এক সাবেক শত্রæ ইরাককে, যার বিরুদ্ধে ‘৮০-র দশকে তারা বর্বরভাবে লড়াই করেছিল, রাসায়নিক অস্ত্র ও ট্রেঞ্চ যুদ্ধ সে যুদ্ধকে বৈশিষ্ট্য দিয়েছিল, যে যুদ্ধকে ঐতিহাসিকরা প্রথম বিশ^যুদ্ধের সাথে তুলনা করেছেন, এক তাবেদার রাষ্ট্র করার সুযোগ এসেছে। যদি তা সফল হয় তাহলে ইরাক আর কখনোই হুমকি সৃষ্টি করতে পারবে না এবং দেশটি এ অঞ্চলে ইরানের প্রভাব বিস্তারের উল্লম্ফন কেন্দ্র হিসেকে কাজ করতে পারে। এ প্রতিযোগিতায় ইরান জয়ী হয়েছে, হেরে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত তিন বছর ধরে আমেরিকানরা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ব্যাপারে মনেযোগ নিবদ্ধ করেছে। এ জন্য ইরাকে ৫ হাজার মার্কিন সৈন্য ফিরিয়ে এনেছে তারা। তারা মসুল থেকে জঙ্গিদের বিতাড়িত করতে সাহায্য করেছে।
কিন্তু ইরান কখনো তার লক্ষ্য থেকে দৃষ্টি সরায়নি। তার লক্ষ্য প্রতিবেশীর উপর এমন প্রবল প্রাধান্য বিস্তার করা যাতে ইরাক আর কখনো সামরিক হুমকি না হতে পারে এবং তার ভিতর দিয়ে তেহরান থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত কার্যকরভাবে একটি করিডোর নিয়ন্ত্রণ করা।
গত বছর ইরানের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া হোশিয়ার জেবারি বলেন, ইরানি প্রভাব ব্যাপক। ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার সংযোগকে বিশ^াস করে না। তার প্রভাবই সর্বোচ্চ।
ইরাকের উপর ইরানের প্রভাব এ অঞ্চলে গোষ্ঠিগত উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। সুন্নী দেশগুলো ও মার্কিন মিত্ররা যেমন সউদি আরব ইরানি সম্প্রসারণবাদের বিরোধিতা করছে। কিন্তু ইরাক হচ্ছে ইরানের সম্প্রসারণ প্রকল্পের অংশ। ইরান লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও আফগানিস্তান এবং এ অঞ্চলে তার প্রভাব বিস্তারের জন্য নরম ও কঠোর উবয় প্রকার পন্থা ব্যবহার করছে।
ইরান একটি শিয়া রাষ্ট্র এবং ইরাক শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। মার্কিন আগ্রাসনের আগে সুন্নীরা ইরাক শাসন করত। সুন্নী ও শিয়াদের মধ্যকার বিভেদের কারণ খুঁজতে হলে ১৪০০ বছর আগে ফিরে যেতে হবে। কিন্তু এখন এর কারন ভূরাজনীতি ও ধর্ম উভয়ই। পরস্পর বৈরী দেশগুলো এর জন্য দায়ী যার একদিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সউদি আরব অপরদিকে ইরান।
ইরাকে ইরানের প্রভাব নির্দিষ্ট নয়, বহুমুখী। এ প্রভাব রয়েছে সামরিক বাহিনীতে, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ে।
দক্ষিণের কিছু সীমান্ত চৌকিতে ইরাকি সার্বভৌমত্ব চিন্তারও বাইরে। বাসবোঝাই তরুণ মিলিশিয়া রিক্রুটরা কোনো কাগজপত্র পরীক্ষা ছাড়াই ইরানে ঢুকে পড়ছে। তারা সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, তারপর তাদের বিমানে করে নেয়া হচ্ছে সিরিয়ায়। সেখানে তারা ইরানি কমান্ডারদের অধীনে প্রেসিডেন্ট বাশার সরকারকে রক্ষার জন্য লড়াই করছে।
অন্যদিকে ট্রাক চালকরা ইরানি পণ্য যেমন খাদ্য, গৃহস্থালি সামগ্রী, অবৈধ মাদক নিয়ে যাচ্ছে ইরাকি বাজারগুলোতে যা কিনা গুরুত্বপূর্ণ ও আজ্ঞাবহ বাজার।
রাজনৈতিকভাবে ইরাকি পার্লামেন্টে ইরানের বহু মিত্র রয়েছেন যারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচনে তাদের প্রভাব এ মন্ত্রণালয় ও ফেডারেল পুলিশের উপর ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে ইরাকি পার্লামেন্ট গত বছর একটি আইন পাশ করে যা ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীতে শিয়া মিলিশিয়াদের অন্তর্ভুক্তিকে স্থায়ী করেছে। এর ফলে ইরাক সরকার এসব শিয়া গ্রæপকে অর্থায়ন করবে। অন্যদিকে ইরান কয়েকটি শক্তিশালী গ্রæপের উপর তার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে।
এখন ইরাকে যখন নয়া নির্বাচন এগিয়ে আসছে তখন শিয়া মিলিশিয়ারা নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিদ্ব›িদ্বতার জন্য প্রস্তুত করছে যা কিনা ইরাকি রাজননৈতিক ব্যবস্থার উপর ইরানের প্রাধান্য আরো নিশ্চিত করবে।
ইরাকি বেতার তরঙ্গের ব্যাপারে আরো সুবিধা পেতে ইরানি অর্থে নতুন টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে । শিয়া মিলিশিয়াদের সম্প্রচারিত সংবাদে ইরানকে ইরাকের রক্ষক এবং যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারক ও অনধিকার প্রবেশকারী বলে চিত্রিত করা হচ্ছে।
ইরানকে দমনের আংশিক চেষ্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আভাস দিয়েছে যে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হলে তারা সৈন্যদেরকে ইরাকের পিছনেই রাখবে। মার্কিন কূটনীতিকরা লড়াইয়ে ইরাকি সরকারী বাহিনীর ভূমিকার উপর জোর দেয়ার জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদিকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন যাকে ইরানের বদলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অধিকতর সমর্থনমূলক মনে হয়।
তবে ২০১১ সালে ইরাক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের পর সেখানে তাদের অবস্থান অব্যাহত থাকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এটাকে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির বড় ধরনের ব্যর্থতা বলে মনে করা হয় যার দায়িত্ব তিনটি প্রশাসনের উপর বর্তায়।
ইরান এক গভীর খেলা খেলছে, তারা ইরাকি শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠদের সাথে ব্যাপক ধর্মীয় সম্পর্ক বজায় রাখছে এবং স্থানীয় মিত্রদের সাথে ব্যাপক ভিত্তিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে যা দিয়ে সে বোঝাতে চাইছে যে সেই ইরাকের বিশ^স্ত রক্ষক।
সাগর অভিমুখী পথ
পূর্ব ইরাকে ইরাকের যে বিরাট প্রকল্প তা বড় নাও মনে হতে পারেঃ তা হচ্ছে দিয়ারা প্রদেশে মরুভূমির ভিতর দিয়ে ১৫ মাইল চওড়া একটি ধূলিধূসরিত রাস্তা , অধিকাংশ পথই নুড়ি বিছানো ও ঝোপঝাড় পূর্ণ। এটি ইরান থেকে সিরিয়া যাওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ নতুন রাস্তা যেখান দিয়ে যাবে শিয়া মিলিশিয়া, ইরানি প্রতিনিধিদল, বাণিজ্য পণ্য ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সামরিক সরবরাহ।
বিশ্লেষক ও ইরানি কর্মকর্তারা একে ইরাকের গুরুত্বপূর্ণ উচ্চাকাক্সক্ষা বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ অঞ্চলের গোলযোগকে ব্যবহার করে ইরাক ও তার বাইরে ইরানের প্রভাব বিস্তার এর লক্ষ্য। বিশ্লেষকরা বলেন, ইরান তার নিয়ন্ত্রণাধীন মিলিশিয়াদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এ করিডোরটি সিরিয়ায় তার ছায়াশক্তিগুলো এবং লেবানন ও তার মিত্র হেজবুল্লাহদের কাছে অস্ত্র ও সরবরাহ প্রেরণের কাজে ব্যবহার করতে পারে।
পূর্ব সীমান্তে একটি নতুন সীমান্ত ক্রসিং তৈরী করা হয়েছে। এ চেক পয়েন্টে রোজ যে সব যানবাহন চলাচল করছে তার মধ্যে থাকছে ২শ’ ফল ও দই, কংক্রিট ও ইট বহনকারী ইরানি ট্রাক যারা ইরাকে ঢুকছে। ইরাকি সীমান্ত রক্ষীদের অফিসগুলোতে অতিথিদের ইরান থেকে আসা ক্যান্ডি ও সোডা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
কোনো বোঝাই ট্রাক অন্য পথে যায় না।
ক্রসিংয়ের ইরানি কর্মকর্তা ভাহিদ গাছি বলেন, ইরানকে দেয়ার মত কিছু ইরাকের নেই। ট্রাক ও ট্রেলারগুলো তখন ইরাকে প্রবেশ করছিল। এ সময় এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, শুধু তেল ছাড়া বাকি সব কিছুর জন্য ইরাক ইরানের উপর নির্ভরশীল।
এ সীমান্ত চৌকিটি ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইরত তার ছায়াশক্তিগুলোর জন্য অস্ত্র ও অন্যান্য সরবরাহ পাঠানোর গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট। ২০১৪ সালে আইএস বা আইএসআইএস বা আইএস আইএল বা দায়েশ দিয়ালা প্রদেশ ও তার আশপাশের এলাকা দখল করে নেয়ার পর ইরান সুন্নী ও শিয়া অধ্যুষিত এ প্রদেশটি মুক্ত করার উপর অগ্রাধিকার প্রদান করে।
ইরান শিয়া মিলিশিয়াদের এক বিরাট বাহিনীর সমাবেশ ঘটায় যাদের অনেকেই ইরানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং ইরানি কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত । দ্রুত বিজয়ের পর ইরানি ও তাদের মিলিশিয়া মিত্ররা তাদের পরবর্তী স্বার্থ রক্ষা করার কাজে নামে। তাহল দিয়ালা প্রদেশের সংখ্যালঘু সুন্নীদের কোণঠাসা করা ও সিরিয়া অভিমুখী পথ নিশ্চিত করা। ইরান এ অঞ্চলে তার সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হেজবুল্লাহর কাছে যাওয়ার স্থলপথ বজায় রাখতে তার মিত্র আসাদকে সিরিয়ার ক্ষমতায় রাখতে আগ্রাসীভাবে লড়াই করে চলেছে। হেজবুল্লাহ লেবাননে প্রাধান্য বিস্তারকারী সামরিক ও রাজনৈতিক শক্তি যারা ইসরাইলের প্রতি হুমকি।
দিয়ালার খালিস জেলার শিয়া মেয়র উদয় আল খাদরান ইরাকি শিয়া রাজনৈতিক দল ও মিলিশিয়া বাহিনীর সংগঠন বদর-এর সদস্য। ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় সাদ্দামের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ’৮০-র দশকে ইরান এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। এ বছরের গোড়ার দিকে তিনি তার ডেস্কের উপর একটি ম্যাপ ছড়িয়ে গর্বিত ভাবে বলছিলেন যে ইরানের শক্তিশালী স্পাইমাস্টার আল কুদস বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানির নির্দেশে কিভাবে তিনি এ রাস্তা নির্মাণে সহায়তা করছেন।
তিনি এই করিডোরের অংশ হিসেবে এই রাস্তার বৃহত্তর কৌশলগত গুরুতে¦র কথা স্বীকার করেন যার নিরাপত্তায় রয়েছে মধ্য ও উত্তর ইরাকে ছড়িয়ে থাকা ইরানি ছায়াশক্তিগুলো। সংযোগকারী পথগুলো পশ্চিমাঞ্চলীয় মসুল শহরের কিনার দিয়ে তাল আফার পর্যন্ত প্রসারিত। সেখানে শহরের বাইরে একটি বিমান ঘাঁটিতে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া ও ইরানি উপদেষ্টারা ঘাঁটি স্থাপন করেছে।
দিয়ালার প্রাদেশিক পরিষদের সুন্নী চেয়ারম্যান আলি আল দাইনি বলেন, দিয়ালা সিরিয়া ও লেবাননে যাওয়ার পথ , আর তাই তা ইরানের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানি মিত্র মিলিশিয়ারা মসুলের পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছে। তারা বাজ শহর দখল করে , তারপর সিরিয়ার সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয় এবং ইরানকে তাদের করিডোর সম্পন্ন করার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দেয়।
আল দাইনি বলেন, দিয়ালা প্রদেশে ইরানি প্রাধান্য প্রতিহত করায় তিনি শক্তিহীন। তিনি বলেন, তিনি যখন কাজে যান তখন কাউন্সিল ভবনের বাইরে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমিনির পোস্টারের পাশ দিয়ে তাকে যাওয়া আসা করতে হয়। (অসমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।