পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : যুক্তরাষ্ট্র সফররত মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অফ পিসকিপিং অপারেশনের (ডিপিকেও) প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যা পিয়েরে ল্যাঁক্রুয়ার সাথে বৈঠক করেছেন। গতকাল শুক্রবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে এ বছরের পহেলা অক্টোবর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য ডিফেন্স মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স এর প্রস্তুতিমূলক মিটিং নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সাথে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই প্রস্তুতিমূলক সভা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ডিপিকেও প্রধানকে জানান। এছাড়া কানাডাতে চলতি বছরের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ডিফেন্স মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে ফলপ্রæসূ আলোচনা হয় এবং জাতিসংঘ সদরদপ্তরে পিসকিপিং অপারেশনের বিভিন্ন উচ্চ পদে বাংলাদেশি অফিসার পদায়নের সুপারিশ করা হয়। ডিপিকেও প্রধান বাংলাদেশি অফিসার পদায়নের সুপারিশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন মর্মে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আশ্বস্ত করেন। ডিপিকেও প্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিযুক্ত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে পিসকিপিং অপারেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন ও সার্বিক সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। এসময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মিলিটারি অ্যাডভাইজর লেফটেন্যান্ট জেনারেল কার্লোস হামবার্টো লইটি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা পারভীন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ওভারসিজ অপারেশনের পরিচালক গ্রæপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মঞ্জুর কবীর ভূইয়া, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এবং মিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি (প্রেস) মো. নুর-এলাহি মিনা। এর আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন পরিদর্শন করেন। তিনি মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের ভূমিকা ও কার্যক্রমের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বিস্তারিত অবহিত করেন। মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণও স্ব স্ব ক্ষেত্রে অর্পিত দায়িত্বের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানান। উঠে আসে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, এসডিজি, মাইগ্রেশন, মানবাধিকার রক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সফলতার নানা দিক। এসময় উপস্থিত জাতিসংঘের চলতি হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরামে যোগদানকৃত বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ এসডিজি বাস্তবায়নে জাতীয় অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অবহিত করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং অব্যাহত সাফল্যের প্রশংসা করেন। চলতি এইচএলপিএফ-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সফল অংশগ্রহণ কামনা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। সরকার এসডিজি’র সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একজন এসডিজি বাস্তবায়ন সমন্বয়কারী নিয়োগ দিয়েছে যা বিশ্বের অনেক দেশেই নেই। এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।