পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দায়িত্ব পালনে বাধা নেই- আইনজীবী
স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের বরখাস্থের আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার একটি রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে মেয়র মান্নানকে বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত। ফলে মেয়র পদে দায়িত্ব পালনে আইনগত কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। এর আগে আরো দুই বার এম এ মান্নানকে বরখাস্তের আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার। পরে হাইকোর্ট ওই আদেশও স্থগিত করে দেন।
স্থানীয় সরকার সচিব, উপসচিব, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, গাজিপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গাজীপুরের ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপারকে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে এম এ মান্নানের পক্ষে আদালতে শুনানি করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি অমিত তালুকদার। পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন,মেয়র মান্নানকে বরখাস্ত করার পর কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে নিয়োগের যে আদেশ দেয়া হয়েছিল, তাও স্থগিত হয়ে গেছে। একইসঙ্গে আদালত নির্দেশনা দিয়েছে মান্নানের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে যেন কোনো বাধা সৃষ্টি করা না হয়।
আইনি লড়াই চালিয়ে মেয়র পদে ফেরার পর এক মাস না গড়াতেই গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ মান্নানকে বরখাস্তের আদেশ দেয়।
সেখানে বলা হয়, দুদকের এক মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় আইন অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তের ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে গতকাল রিট আবেদন করেন মেয়র মান্নান। রিটে প্যানেল মেয়রকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি না করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মান্নান ২০১৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে হারিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়র মান্নানকে ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট প্রথম দফায় বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সেই বরখাস্তের আদেশ ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল হাইকোর্ট স্থগিত করেন। ১৩ এপ্রিল আপিল বিভাগও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
আদালতের রায়ে সেই বরখাস্তাদেশ স্থগিত হওয়ার পর ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল মেয়র হিসেবে মান্নানের দায়িত্ব গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু একই বছর ১৫ এপ্রিল ফের গ্রেফতার হন তিনি। পরে ১৮ এপ্রিল তাকে দ্বিতীয় দফায় সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এরপর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে চলতি বছর ৬ জানুয়ারি মুক্তি পান তিনি। পরে দ্বিতীয় দফায় বরখাস্তের আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। গত ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট মেয়র মান্নানকে দ্বিতীয় দফায় দেয়া বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে রুল দেন। পরে আপিল বিভাগও সেই আদেশ বহাল রাখেন। গত ১৮ জুন তিনি মেয়রের চেয়ারে বসার ১৯ দিনের মাথায় তৃতীয়বারের মতো বরখাস্ত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।