পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নান নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। তবে এ নিয়ে পুলিশের একাধিক বক্তব্য পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা পুলিশ শুক্রবার বিকেলে এম এ মান্নানকে আটক করলেও জয়দেবপুর থানা পুলিশ রাত ৯টার দিকে চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাত ১০টার দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায়।
কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর খান সাংবাদিকদের জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনা এলাকায় একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পরে তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর হয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার চা-বাগান-মৌচাক সড়ক দিয়ে ঢাকার বাসায় ফিরছিলেন। এসময় গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের একদল সদস্য শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার ভান্নারা বাজার এলাকায় মেয়র মান্নানের গাড়ির গতিরোধ করেন। পরে তাকে পোয়েন্দা পুলিশ আটক করে। মেয়র মান্নানকে প্রথমে কালিয়াকৈর থানায় সদস্য নিয়ে ঘন্টা দেড়েক বসিয়ে রাখেন। পরে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা মেয়র মান্নানকে পুলিশের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যান। তিনি শুনেছেন তাকে আটকের কয়েক ঘন্টা পর চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে।
এদিকে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আমির হোসেন (তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে) সাংবাদিকদের জানান, এম এ মান্নানকে বিকেলে গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি আরো বলেন, তাকে নাশকতার একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাত ১০টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএনপির তীব্র নিন্দা
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক এম এ মান্নানকে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে এ গতরাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার এখন দেশের শাসক নয়, নির্মম নিপীড়কে পরিণত হয়েছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর নির্মম ও অমানবিক আচরণে সারাদেশই এখন একটা বিশাল কারাগারে পরিণত হয়েছে। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতারের যে হিড়িক চলছে তাতে এ কথা সন্দেহাতীতভাবে বলা যায় যে, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার তাদের প্রতিহিংসার আগুন চরিতার্থ করতে এবং ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পাগল হয়ে গেছে। মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে কিংবা বিনা কারণে বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এখন মনে হয় সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান জামিনে মুক্ত থাকার পরও শুক্রবার রাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার সরকারের সেই অভ্যাসেরই বহিঃপ্রকাশ। কেবলমাত্র প্রতিহিংসার কারণেই একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র এম এ মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার কর্তৃক মেয়র পদ থেকে এম এ মান্নানের বরখাস্ত আদেশ আদালতের মাধ্যমে স্থগিত এবং জামিনে থাকা অবস্থায় তাঁকে গ্রেফতার সরকারের চরম নির্মমতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন মিথ্যা মামলা দিয়ে অথবা বিনা অজুহাতে নির্বিচারে গ্রেফতার এবং রিমান্ডে নিয়ে বিরোধী নেতৃবৃন্দকে নির্যাতন করা হচ্ছে। গদি রক্ষায় বিভোর হয়ে তারা সংবিধান স্বীকৃত মানুষের মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যগুলোকে ধারাবাহিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে। বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে এখন চরম উদ্বিগ্ন। একটা স্বাধীন দেশে মানুষের বেঁচে থাকার সামান্যতম গ্যারান্টি টুকুও যেন আজ বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। স্বৈরাচারী সরকারের মুলোৎপাটনে এখন দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে গাজীপুর সিটি মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান। Ñসূত্র : ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।