হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
মুনশী আবদুল মাননান : প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা ঈদের ছুটির দিনগুলোকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় লক্ষ্যযোগ্যভাবে কাজে লাগিয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও যোগাযোগের একটা মোক্ষম সুযোগ এনে দেয় ঈদের ছুটি। সে সুযোগ তারা ভালোভাবে ব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এবং জাতীয় সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রবীণ-তরুণ নেতারা তাদের নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে ছুটির দিনগুলোতে নির্বাচনী প্রচার-প্রাচরণায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেছেন। রাতদিন তারা ছুটে বেড়িয়েছেন নির্বাচনী এলাকার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। অনেকে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করেছেন; অনেকে আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। প্রচার-প্রচারণায় তরুণ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তৎপরতা বিশেষভাবে লক্ষ্য করা গেছে। সব দলই মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে তরুণদের প্রধান্য দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বলা যায়, ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে নির্বাচনের একটা আমেজ ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। যদিও নির্বাচনের এখনো বাকী আছে অন্তত দেড় বছর।
নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও। বঙ্গভবনে আয়োজিত ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সকলের কাছে সহযোগিতা চাই..., আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। তারা ভালো সেবা ও সুশাসন চায়। আওয়ামী লীগ সরকার সবদিক দিয়েই ব্যর্থ। ভবিষ্যতে এ সরকার মানুষকে কিছুই দিতে পারবে না। তাই আগামী নির্বাচন অবশ্যই দলনিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। এ সময় সেনা মোতায়ন রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না।
এবার রমজানে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে আগের চেয়ে বেশি সংখ্যায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রাজধানী, বন্দরনগরী ও বিভাগীয় শহর তো বটেই জেলা এমনকি উপজেলা শহরেও ইফতার মাহফিলের আয়োজন লক্ষ্য করা গেছে। এসব ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে দলগুলো যেমন জনসংযোগ বাড়িয়েছে, তেমনি নির্বাচনের কথাবার্তাসহ রাজনৈতিক বক্তব্যও রেখেছে। রমজানের তাৎপর্য ও গুরুত্বের কথা সেখানে খুব কমই আলোচিত হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, অধিকাংশ ইফতার মাহফিলের লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক। রমজান ও ঈদ উপলক্ষে, বলা যায়, রাজনীতির চর্চা বেশ ভালোভাবেই হয়েছে। দেশে রাজনীতির চর্চা না থাকার প্রেক্ষাপটে এমনটি হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। রাজনীতি তার বন্দী অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে বাইরে আসতে চাইছে। আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখেই তার এই বাইরে আসার চেষ্টা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অনেক আগে থেকেই সাধারণ নির্বাচনের জন্য মানুষের কাছে ভোট চাইছে। জাতীয় পার্টিও একইভাবে ভোট চাইছে। দু’দলই নানা অংক কষে ভোটের পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। বিএনপি’রও ভোট-প্রস্তুতি আছে, এমন কথা তাদের নেতাদের মুখ থেকে শোনা গেছে। তবে এই প্রথমবারের মতো এক ইফতার মাহফিলে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার এই ভোট চাওয়ার মধ্যে একটি বার্তা রয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে, এমন ইঙ্গিত রয়েছে তার বক্তব্যে। অবশ্য বিএনপির তরফে কেউ কখনো বলেনি যে, আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নেবেন না। তারা বরং বরাবরই বলে আসছেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল, নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা তারা চিন্তায় আনেন না। তবে...।
এই ‘যদি তবে’র মীমাংসা এখনো বাকী রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক অনুষ্ঠানে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহŸান জানিয়েছেন। তার এই আহŸানও বিশেষ তাৎপর্যবহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এবং তাতে বিএনপি অংশগ্রহণ করুক। তিনি বিভিন্ন সময় বলেছেন, বিগত নির্বাচনের মতো একতরফা, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন তিনি চান না। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য ও অভিপ্রায় অভিনন্দনযোগ্য। আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হোক, এটা জনগণ চায়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চায় এবং বিদেশে আমাদের মিত্র, বন্ধু, উন্নয়ন-অংশীদাররাও চায়। বিগত নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়া আমাদের কারো অজানা নেই। সংবিধানের দোহাই দিয়ে নির্বাচনটি হলেও তা কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কথা ছিল, ওই নির্বাচনের পর স্বল্পতম সময়ের মধ্যে আরেকটি নির্বাচন দেয়া হবে, যা হবে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ক্ষমতাসীনরা সে কথা রাখেন নি। তারা ফের সংবিধানের বরাত দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে বলে বছরের পর বছর পার করে দিয়েছেন। আগামী দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন তাদের দিতেই হবে। তা না হলে সংবিধান রক্ষিত হবে না। আর সেই নির্বাচন যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো হবে না বা সেভাবে করা সম্ভব হবে না সেটা তারা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো কোনো নির্বাচন দেশের মানুষ মানবে না এবং আন্তর্জাতিক মহলও মেনে নেবে না। সম্ভবত এ কারণেই ক্ষমতাসীনরা চাইছেন আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক। এবং বিএনপি তাতে অংশ নিক, এটাও হয়তো চাইছেন। নির্বাচন যদি আগের মতোই হয় তাহলে দেশের পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ ও সেটা সবাই অনুমান করতে পারে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রচার-প্রচারণা, ভোট চাওয়া-চাওয়ি যা কিছুই চলুক না কেন, নির্বাচন কমিশন যতই নির্বাচন অনুষ্ঠানের রূপরেখা ঘোষণা করুক না কেন, এখনো কিন্তু এ আলামত স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি যে, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে, সব দল তাতে অংশ নেবে এবং তা হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সব সময়ই প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ হয়। আর প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নির্বাচন হতে হলে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হওয়ার আবশ্যকতা প্রশ্নাতীত। নির্বাচন কমিশন সে ব্যাপারে কতদূর কী করতে পারবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা কারো মধ্যে এখনো তৈরি হয়নি। এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা বরং রয়েছে। নির্বাচন কমিশন নামে স্বাধীন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া অতীতে তার পক্ষে কখনোই সম্ভব হয়নি। একারণেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি এখনো জোরদার রয়েছে। অতীতে একই কারণে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে সংযোজিত হয় এবং নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা সংবিধান থেকে নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের বিধান উঠিয়ে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছেন। এ নিয়ে বিরোধীদলগুলোর অভিমত ও বিরোধিতা আমলে নেয়া হয়নি। বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের উদ্ভব সেখান থেকেই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ আরও কিছু দলের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ তাদের নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি অগ্রাহ্য হওয়া। তারা বয়কট করেও একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি।
বিএনপি নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি থেকে সরে এসেছে। এর বদলে দলটির তরফে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার কেমন হবে, তার কোনো ধারণা বিএনপির পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি। খুব শিগগিরই দেয়া হবে বলে জানা গেছে। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রসঙ্গ টেনে বক্তব্য দেয়ায় দু’দলের নেতাদের মধ্যে তুমুল বিতÐ তৈরি হয়েছে। গত ২৮ জুন সচিবালয়ে এবং তার আগের দিন কুমিল্লার গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনকালে শেখ হাসিনার সরকারই সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে। এটাই আমাদের সংবিধানের নিয়ম। দলের অন্যতম বর্ষিয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ একই দিনে তার দফতরে সাংবাদিকদের বলেছেন, লিখে রাখুন, শেখ হাসিনার অধীনেই খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসবেন। প্রতি-উত্তরে বিএনপির নেতারাও মুখ খুলেছেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এটা ওবায়দুল কাদেরের দলীয় সংজ্ঞা। এই সংজ্ঞা দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেছেন, নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার নিয়ে তাদের এত ভয় কেন? তার মানে কোনো সমস্যা আছে। কী সমস্যা সেটা তো দেশবাসী জানে। ওদিকে ওবায়দুল কাদেরর বক্তব্যের জবাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে কোনো লাভ হবে না। সংবিধান হিমালয় পর্বত নয় যে, তাকে নড়ানো যাবে না। দেশ ও জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করাও সংবিধানের বিধান। তিনি আরও বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতারা নির্বাচন করতে চান না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের কথা শুনলেই তারা মূর্ছা যান।
এই বিতÐা সহসা থামবে বলে মনে হয় না। সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে অনুমান করা যায়। বিতÐা ভালো; যদি তা সত্য উপলব্ধির জন্য হয়, বাস্তবতা অনুধাবনের জন্য হয় এবং দেশহিতসাধন ও জনচাহিদা পূরণে একে অপরের যৌক্তিক মত গ্রহণ করার আন্তরিক ইচ্ছায় হয়। আমরা স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি, দু’দল তাদের স্ব স্ব অবস্থানে অনড় রয়েছে। কেউ কাউকে সামান্য ছাড় দিতে রাজি নয়। নালিশ মানি, তালগাছ আমার, এই লক্ষ্য ও জেদ যদি দু’দলই বহাল রাখে তবে সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। অনেকেরই স্মরণ থাকার কথা, ২০১৩ সালে বিএনপির তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবির বিকল্প হিসেবে আওয়ামী লীগের তরফে একটি নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব দেয়া হয়। ওই সরকারে বিএনপিসহ সংসদে প্রতিনিধিত্ব আছে এমন দলগুলোর সদস্যদের নিয়ে একটি সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রস্তাবিত সরকারে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পছন্দ অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করার প্রস্তাবও করা হয়। কিন্তু বিএনপি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে।
সময় পাল্টেছে। অনেক কিছুই আগের মতো আগের অবস্থানে নেই। এই বিষয়টি বিবদমান দু’দলকেই উপলব্ধি করতে হবে। দেশ ও জাতির স্বার্থে, উন্মুক্ত রাজনীতি, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের স্বার্থে একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। ক্ষমতা ধরে রাখা এবং ক্ষমতায় যাওয়া রাজনীতির একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না। দেশ ও জাতির কল্যাণ, উন্নয়ন বিকাশ যদি কাম্য হয় তাহলে দু’দলকেই একটি গ্রহণযোগ্য সমঝোতা ও মীমাংসায় আসতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরের ওপর আস্থার যে সংকট রয়েছে, সেটাই আসলে মূল সংকট। এই সংকট নিরসন না হলে এর উপজাত সংকটের সুরাহা হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে হিংসা, প্রতিহিংসা বলবৎ থাকলে কিছুই হবে না। পারস্পারিক আস্থা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সদ্ভাবই বর্তমান সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এই বোধদয় কি আমাদের রাজনৈতিক দল ও নেতৃবৃন্দের হবে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।