Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আনন্দ মূখর পর্যটকে সরগরম বিনোদন কেন্দ্রগুলো

কক্সবাজারে শেষ হয়নি ঈদের আমেজ

| প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে : ঈদের ৪ দিন পরেও কক্সবাজারে শেষ হয়নি ঈদের আমেজ। সমূদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের বিনোদন স্থান গুলো এখনো আনন্দ মূখর পর্যটকে সরগরম। গতকাল শুক্রবারে সমূদ্র সৈকতের বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখা গেছে ব্যাপক পর্যটকের উন্মুক্ত বিচরণ। কক্সবাজারের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বরাবরের মত শান্ত থাকায় এবং ঘোর বর্ষার দিন হলেও ঈদ পরবর্তী দিন গুলো বৃষ্টিমূক্ত থাকায় কক্সবাজার এসেছে ব্যাপক পর্যটক। ইদের ছুটির পরেও শুক্রবারÑশনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় সাধারণ পর্যটকদের ¯্রােতে মিশেছে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
কক্সবাজারের হোটেল মোটেল গুলোতে খবর নিয়ে জানাগেছে, প্রতিবারের মত ঈদের আগের দিন থেকে কিছু কিছু পর্যটক ঈদ করার জন্য কক্সবাজার আসলেও ঈদের দিন থেকে কক্সবাজার আসতে থাকে ভ্রমণ পিয়াসী পর্যটক ¯্রােত। ঈদের পরের দিন থেকে পর্যটকের ঢল নামে কক্সবাজারের বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে। খবর নিয়ে জানাগেছে, চকরিয়া ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, হিমছড়ি, উখিয়ার ইনানী সৈকত, টেকনাফের নেচার পার্ক ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন এবং মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরসহ রামুর রাবার বাগান ও বৌদ্ধমন্দির এলাকা গুলোতে ছিল পর্যটকদের উপছে পড়া ভীড়।
দেখাগেছে, সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সীইন পয়েন্ট ও কলাতলীর গোল চত্ত¡র পয়েন্টে হাজারো পর্যটকের উন্মুক্ত বিচরণ ছাড়াও শত শত পর্যটক সাগরের পানিতে গোসল করে ও স্পিড বোটে চড়ে আনন্দে মেতেছে।
পবিত্র রমজান শেষে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজারে আগত পর্যটকের ভীড় সামাল দিতে কক্সবাজারের জেলা ও পুলিশ প্রশাসন বরাবরের মত কঠোর নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করে পর্যটন ষ্পট ও বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে। কক্সবাজার শহর ও সৈকত এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মত। বড় কোন দুর্ঘটনা তো নয়ই ছোট খাট কোন ঘটনা-দুর্ঘটনার খবরও এপর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে এক্ষেত্রে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রঞ্জিত বডুয়ার তৎপরতা প্রসংশার দাবীদার। একইভাবে সৈকত পুলিশের তৎপরতাও উল্লেখযোগ্য।
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে খবর নিয়ে জানাগেছে, সাগর উত্তাল থাকায় বড় কোন জাহাজ যাতায়াত করতে না পারলেও সেই সনাতনী কাঠের নৌকা নিয়ে উৎসাহী পর্যটকরা সেখানেও ভীড় করছে। হোটেল ব্যবসায়ী নেতা আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার জানান, এবারের ঈদে চমৎকার আবহাওয়া থাকায় ঘোর বর্ষার দিনেও আশানুরুপ পর্যটক কক্সবাজার এসেছে। এতে করে পর্যটন ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কক্সবাজারের অর্থনীতিও চাঙ্গা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর-রামুর সাবেক এমপি ও কক্সবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান কাজল জানান, সরকার কক্সবাজার উন্নয়নের ঢোল পিটালেও পর্যটনের বিকাশে বর্তমান সরকারের অবদান উল্লেখযোগ্য নয়।
কক্সবাজার সদর-রামুর এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার কক্সবাজারের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছে বেশী। আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন, মেরিন ড্রাইভ সড়কের সমাপ্তি ও মহেশখালীর মাতার বাড়িতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ৩০টিরও বেশী মেগা প্রকল্পে দেড় লাখ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এই সরকারের আমলেই হয়েছে। তিনি বলেন, কক্সবাজার যেমন পর্যটন শহর , তেমনি শান্তির শহর। কক্সবাজারের পর্যটন খাতে আরো বেশী বিনিয়োগের জন্য দেশী বিদেশী উদ্যোক্তাদের আহবান জানান তিনি।



 

Show all comments
  • সোহাগ ১ জুলাই, ২০১৭, ৪:২০ এএম says : 0
    পর্যটকদের জন্য আরো সুযোগ সুবিধা বাড়ানো উচিত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিনোদন

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ