পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধে এবার শেকড়ের টানে ঢাকা ছাড়তে পারেনি অনেক মানুষ। আর মহামারির কারণে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো গত বছরের মতো এবারও বন্ধ রয়েছে। তাই ঈদের ছুটিতে হাতিরঝিলে মানুষের উপস্থিতি বেশি। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বদ্ধ জীবন থেকে স্বস্তি পেতে গতকালও নগরবাসীর ঢল নামে হাতিরঝিলে। বলা যায় হাতিরঝিল এখন নগরবাসীর অলিখিত বিনোদন কেন্দ্র পরিণত হয়েছে।
বিকাল ৩টার পর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে হাতিরঝিলে। বয়স্কদের থেকে তরুণ-তরুণীর সংখ্যাই বেশি। সঙ্গে রয়েছে শিশুরাও। কেউ দল ছবি তুলছেন, কেউবা সেলফি তুলছেন একা বা দল বেঁধে। কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে।
প্রায় সারদিনই আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকায় রোদের তেজ ছিল অনেক কম। এমন আবহাওয়ার মধ্যেও বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় নারী পুরুষ শিশুসহ দর্শনার্থীরা দুপুরের পর থেকেই আসতে শুরু করেন। রামপুরা হাতিরঝিল বিনোদন কেন্দ্র, উত্তরার ডিয়াবাড়িতে ফ্রেন্টাসি আইল্যান্ড পার্ক, উত্তরখান বালু নদীর পাড়ে, কুড়িল ৩শ’ ফিট রাস্তা, কাঞ্চন ব্রিজ ও রূপগঞ্জের জিন্দাপার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড়। তবে এরমধ্যে হাতিরঝিল এলাকাজুড়ে দর্শনার্থীদের সমাগম ছিল সবচেয়ে বেশি।
দর্শনার্থীরা বলছেন, ঈদে পরিবহনের বিধিনিষেধের কারণে অনেক মানুষ গ্রামে যেতে পারেননি। এ ছাড়া করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে চিড়িয়াখানা। তাই বদ্ধ পরিবেশ থেকে বের হয়ে মানুষ একটু মুক্ত ও খোলামেলা জায়গার খোঁজে হাতিরঝিলে এসেছেন।
সরকারি চাকরি করেন হাবিবুর রহমান। হাতিরঝিলে এসেছেন স্ত্রী ও ছোট বাচ্চাকে নিয়ে। তিনি বলেন, পরিবার ছেড়ে ঢাকায় ঈদ করতে হচ্ছে, এখানে আমাদের আত্মীয়স্বজন কেউ নেই। আমার পরিবার নিয়ে শুধু আমি আছি। স্ত্রী দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি। ঈদের ছুটিতে সে বাইরে বের হতে চাইছিল। তবে ঢাকায় তো কোনো বিনোদন কেন্দ্র খোলা নেই। তাই বিনোদনের খোঁজে এখানে এসেছি।
বেসরকারি সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন আব্দুল আহাদ। তিনি বড় বোন ও ভাগ্নিকে নিয়ে এসেছেন হাতিরঝিলে। তিনি বলেন, বহু মানুষ এবার ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি। তাই একাকিত্ব কাটাতে এখানে এসেছেন। আহাদ বলেন, আসলে প্রথম দিকে সবার মতো আমারও ভয় ছিল। এখন সেই ভয় অনেকটাই কেটে গেছে। অনেক দিন পর ভালো লাগছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি। তবে সাধারণ মানুষ অনেকেই মানছেন না। এমনটা সব জায়গায়তেই হচ্ছে।
হাতিরঝিলের লেকপাড়ের গোল চত্বরে যেন মেলা বসেছে। বেলুন, ফুচকা, ছোট-বড় মনোহারী দোকানে মানুষের ভিড় হাতিরঝিলকে অলিখিত বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করেছে। রাস্তার পাশের খাবারের দোকানগুলোতে চলছে জোর বিক্রি। ইন্ডিয়ান জনপ্রিয় খাবার দোসা, চিকেন, কাবাব কম দামে প্যাকেজ আকারে বিক্রি হচ্ছে এখানে। হাতিরঝিলের ভেতর লেকের মধ্যে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য চালু করা হয়েছে আনন্দ নৌ ভ্রমণ প্যাকেজ। মেরুল বাড্ডামুখী লেকের টিকিট কাউন্টারে দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। সেখানে কাগজে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লেখা রয়েছে ৮০ টাকায় নৌ ভ্রমণ প্যাকেজ। লেকের ভেতর নৌকাতে ২০ মিনিট ঘোরা যাবে এই প্যাকেজের আওতায়। তবে টিকিটের লাইনে ভিড়ে সামাজিক দ‚রত্ব মানার কোনো লক্ষণ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।