পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাঙালি জাতির গৌরবময় মহান বিজয় দিবস। আনন্দের এ দিনটিকে উদযাপন করতে বর্ণিল সাজে সেজেছে রাজধানী। একইসঙ্গে বিজয় উদযাপনে নেমেছে সাধারণ মানুষ। আর এতে বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে শাহবাগ, রমনা পার্ক ও শিল্পকলা অ্যাকাডেমি ঘুরে দেখা যায়, জনসমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে স্থানগুলো। এসব জায়গায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন অনেকে। বন্ধুবান্ধবসহ এসেছেন কেউ কেউ।
যাত্রাবাড়ী থেকে রমনা পার্কে ঘুরতে এসছেন কবির হোসেন। তিনি বলেন, এমনিতে বিজয় দিবস, সেইসঙ্গে ছুটির দিন। তাই পরিবারসহ ঘুরতে এলাম। রাস্তায় গাড়ি কম থাকায় স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছি। খিলগাঁও তেকে এসেছেন আতাফ। তিনি বলেন, পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরিও খুব বেশি একটা হয় না। অনেকদিন পর ঘুরতে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
বেশ কয়েকজন বন্ধুসহ শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে ঘুরতে এসেছেন কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, আমাদের একটা গৌরবের দিন, আনন্দেরও দিন। তাই দিনটি উদযাপনে বন্ধুবান্ধবসহ ঘুরতে এলাম। তবে ঢাকায় তো ঘোরাঘুরির স্থান খুবই কম। এগুলো আরও বাড়ানো উচিত বলে আমরা মনে করি।
বিজয়ের আনন্দ-উৎসব থেকে বাদ যায়নি রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হাতিরঝিলও। হাতিরঝিলের পুরো এলাকাজুড়েই মানুষ আর মানুষ, সবার মাঝেই বিরাজ করছে বিজয়ের আনন্দ। বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বিনোদনপ্রেমী মানুষের ঢল নেমেছে হাতিরঝিলে। কেউ এসেছেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে, কেউবা বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জনকে নিয়ে। কারও কারও পরনে ছিল লাল সবুজের শাড়ি, কেউবা শরীরে জড়িয়েছেন পতাকার আদলের পাঞ্জাবি। ছোট থেকে মধ্যে বয়সী অনেকেই মাথায় পরেছেন পতাকার ব্যান্ড, গালে রাঙিয়ে নিয়েছেন বিজয়ের বার্তা।
অন্যদিকে শুক্রবার জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ পরিবারের ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ভিড় জমিয়েছেন চিড়িয়াখানায়। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ চিড়িয়াখানা ছিল দর্শনার্থীতে পূর্ণ। চিড়িয়াখানা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন। মোহাম্মদপুর থেকে পরিবার ও পরিবারের ছোট সদস্যকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, চাকরির জন্য পরিবারকে ঠিকমতো সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। একটু সময় বের করতে পেরেছি। তাই ওদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি।
এদিকে, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নিজেদের আওতাধীন এলাকার শিশু পার্কগুলো বিনা টিকিটে প্রদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সেই অনুযায়ী শুক্রবার ডিএনসিসির আওতাধীন ৬ শিশু পার্কে সকাল-সন্ধ্যা বিনা টিকিটে প্রবেশ করতে পারবে শিশুরা। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম ডিএনসিসির আওতাধীন ছয়টি শিশু পার্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন।
ড. মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। কর্মসূচির আলোকে শিশু পার্কগুলো ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রেখে বিনা টিকিটে প্রদর্শনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক। তাই চিঠি দিয়ে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ছয়টি শিশু পার্ককে এই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— মিরপুরের তামান্না শিশু পার্ক, দিয়াবাড়ির সোনারগাঁও জনপথের ফ্যান্টাসি আইল্যান্ড, উত্তরখান মৈয়নারটেকের দি হোমস গার্ডেন, যমুনা ফিউচার পার্ক, গোবিন্দপুর উত্তরখানের গ্রিন ভিউ রিসোর্ট এবং বারিধারার ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেসকে চিঠি পাঠিয়েছে ডিএনসিসি। এছাড়া ডিএনসিসির আওতাধীন শ্যামলীর ওন্ডারল্যান্ডে এইদিন সকাল-সন্ধ্যা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে শিশুরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।