Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতিসংঘ তদন্ত দলকে প্রবেশ করতে দেবে না মিয়ানমার

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজন নেই : কিয়াও

| প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে জাতিসংঘ কোনো দল পাঠালে তাদের মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সরকারের শীর্ষপর্যায়ের এক কর্মকর্তা। মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পার্লামেন্ট সেক্রেটারি কিয়াও জেয়া বলেন, যদি তারা তদন্তের জন্য কোনো দল পাঠাতে চায় তবে তাদের মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দেয়ার কোনো কারণ আমরা দেখছি না। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে কিয়াও আরো বলেন, যেখানে আমাদের অভ্যন্তরীণ তদন্ত এখনও শেষ হয়নি সেখানে কেন তারা অকারণ চাপ তৈরি করতে চাইছে? অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে চলা জান্তা শাসনের অবসান গঠিয়ে গত বছর নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি। গত বছর অক্টোবরে রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মিয়ানমার সীমান্তপুলিশের তিনটি পোস্টে হামলা চালিয়ে নয় পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে। ওই হামলার পর রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক সেনাঅভিযানে শতাধিক মানুষ নিহত হয়, অসংখ্য নারীরা ধর্ষণের শিকার হয়,পুড়িয়ে দেওয়া হয় এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। প্রাণ ভয়ে প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে যায়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ, সেনা অভিযানের নামে সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়ন করা হচ্ছে। যা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। যদিও অং সান সুচি সরকার বরাবরই ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পরিস্থিতি যাচাইয়ে সরকারি তদন্তদল গঠন করেছে। জাতিসংঘ একটি তদন্তদল পাঠিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার শুরু থেকেই রাখাইন রাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং কোনো আন্তর্জাতিক দলকে সেখানে এমনকি ত্রাণ নিয়েও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যে কারণে বিশ্বজুড়ে সু চির কঠোর সমালোচনা হচ্ছে। এ মাসে সুইডেন সফর করেন সু চি। ওই সফরে জাতিসংঘের তদন্তদল প্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, জাতিসংঘের তদন্তদলের কারণে বিভিন্ন স¤প্রদায়ের মধ্যে বৈরীভাব আরও বেড়ে যেতে পারে। ফেব্রæয়ারিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর গণহত্যা, গণধর্ষণ এবং এ ধরনের মানবাধিকার বিরোধী অন্যান্য অপরাধ কর্মকাÐের কথা বলা হয়। সম্ভবত রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্মূল করতেই ওই সেনা অভিযান চলছে বলে ওই প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। মার্চে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক রেজ্যুলেশনে রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের অভিযোগ এবং মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে জাতিগত দাঙ্গার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত দলের নাম প্রস্তাব করা হয়। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং এর নেতৃত্বে ওই দলের বাকি দুই সদস্য শ্রীলঙ্কার আইনজীবী রাধিকা কুমারাস্বামী এবং অস্ট্রেলিয়ার কনসালটেন্ট ক্রিস্টোফার ডোমিনিক। রয়টার্স।



 

Show all comments
  • রফিক ১ জুলাই, ২০১৭, ৪:১৫ এএম says : 0
    এ থেকে প্রমাণ হয়েছে যে তারা কি পরিমাণ নির্যাতন করেছে এবং এখনও করছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Mohiuddin ১ জুলাই, ২০১৭, ৮:২৮ এএম says : 0
    ধিক্কার জানাই
    Total Reply(0) Reply
  • mohammad yahya ১ জুলাই, ২০১৭, ১০:৫৪ এএম says : 0
    Allah destroyed them.
    Total Reply(0) Reply
  • ৩ জুলাই, ২০১৭, ৫:৩৩ এএম says : 0
    এথেকে বোঝা যায় ঘটনা ১০০/÷ সত্য
    Total Reply(0) Reply
  • ৫ জুলাই, ২০১৭, ১০:৫৫ এএম says : 0
    ............ মুসলমান কখনও এ অত্যাচার করতে পারে না, মিয়ানমার জা করেছে নজরবীহিন. মুসলিম জাতি এক হও দলাদলি বাদ দাও
    Total Reply(0) Reply
  • jan mohammed ৬ জুলাই, ২০১৭, ২:৩৩ পিএম says : 0
    জাতিসংঘ একটা সংগঠন আর তেলাপোকা একটা পাখি হা হা হা হা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ