Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

হামলার দায়, তালিবানের দুই রকম ভাষ্য

প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তেহরিক ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি)কমান্ডার উমর মনসুর হামলার দায় স্বীকার করলেও দলটির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানি এ হামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৫০ জনেরও বেশি।ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। গত বুধবার সকালে পেশোয়ার থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে চরসাদ্দা শহরের বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবৃত্তি অনুষ্ঠানে জড়ো হওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ঊর্ধ্বতন কমান্ডার উমর মনসুর হামলার দায় স্বীকার করে বলেন, তালিবানের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের বদলা নিতে এ হামলা চালানো হয়েছে। রয়টার্সকে টেলিফোনে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এবং সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থাকায় এটিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। চারজন আত্মঘাতী হামলাকারী এ হামলা চালায় বলে জানান তিনি। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি ক্যাডেট কলেজ এবং সামরিক বাহিনীর স্কুলগুলোতেও হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ার করেন মনসুর। গত বুধবার মনসুরের এ বক্তব্যের পরপরই গণমাধ্যমে পাঠানো এক ইমেইলে তালিবান মুখপাত্র খোরাসানি হামলার দায় অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এ হামলার সঙ্গে টিটিপি এবং এর আমির মৌলানা ফাজাউল্লাহ কেউই জড়িত নয়। হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি একে ‘অনৈসলামিক’ বলেও বর্ণনা করেন। খোরাসানি বলেন, বেসামরিক প্রতিষ্ঠানে পড়া তরুণদেরকে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ বলেই বিবেচনা করি। তারা মুসলিম এবং তাদেরকে সুরক্ষা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। যারা এ হামলায় তালেবানের নাম ব্যবহার করেছে তাদেরকে শরিয়া আদালতে বিচার করা হবে। দ্যা ডন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ