Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাহোর হামলার দায় স্বীকার করে আরো হামলার হুমকি তালিবানের

পরবর্তী হামলায় সরকারি ও সামরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাপনার পাশাপাশি স্কুল-কলেজগুলোকেও টার্গেট করার অঙ্গীকার

প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের লাহোরের একটি শিশুপার্কে গত রোববার ভয়াবহ হামলার ঘটনা স্বীকার করে আরো হামলার হুমকি দিয়েছে তালিবান। জঙ্গি সংগঠনটি বলেছে, ওরা খ্রিস্টান বলেই হামলা চালানো হয়েছে এবং আরো হামলা করা হবে। এদিকে, আত্মঘাতী ওই বোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২। আর নিহতদের অর্ধেকই হলো শিশু। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ইস্টার সানডে উৎসব উদযাপনকালে নগরীর ভিড়ে ঠাঁসা গুলশান-ই-ইকবাল পার্কে শিশুদের খেলার স্থানের কাছে ওই বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। এতে ২৫০ জনের বেশি লোক আহত হয়েছে, যাদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর। তাই মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এ ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে প্রাদেশিক সরকার। গত সোমবার নিহতদের দাফনও সম্পন্ন হয়েছে। 

এদিকে, হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তিনি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে ইসলামাবাদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে নওয়াজকে বলেন, এই দুঃখজনক সময়ে ভারতের জনগণ পাকিস্তানের পাশে আছে। যুক্তরাষ্ট্র ঘটনাটিকে কাপুরুষোচিত বলে উল্লেখ করেছে। ভ্যাটিকানও এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটা খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উন্মত্ত সহিংসতা। হামলার হোতাদের ধরতে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কিছু লোককে আটক করা হয়েছে। 

তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) ভেঙে গঠিত হওয়া কট্টরপন্থি জামাত-উল-আহরার-এর মুখপাত্র এহসানসুল্লাহ এহসান বিস্ফোরণের পর অজ্ঞাত স্থান থেকে টেলিফোনে বলেন, লাহোরে হামলা আমরাই চালিয়েছি। খ্রিস্টানরাই ছিল আমাদের টার্গেট। তিনি বলেন, তাদের গ্রুপ আরো হামলা চালাবে। তিনি সরকারি ও সামরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাপনার পাশাপাশি স্কুল-কলেজগুলোকেও টার্গেট করার অঙ্গীকার করেন। এহসান বলেছেন, হামলার মধ্যদিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছেন। আর তা হলো তারা লাহোরে পৌঁছে গেছে। তবে, গত রোববার খ্রিস্টানরাই ওই হামলার টার্গেট ছিল বলে জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উল-আহরার যে দাবি করেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের পর শিশুরা আর্তচিৎকার করে কাঁদছিল। লোকজন আহতদের নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছিল। অনেকে তাদের প্রিয়জনকে খুঁজছিল। জনৈক আরিফ গিল (৫৩) বলেন, ইস্টারের ছুটি কাটাতে আমরা পার্কে গিয়েছিলাম। হঠাৎ সেখানে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। আমি একটি আগুনের কু-লী দেখলাম। আমার পরিবারের পাঁচ-ছয়জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। উদ্ধারকর্মীদের মুখপাত্র দীবা শাহবাজ বলেন, সোমবার প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯ জনই শিশু। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন নারীও রয়েছে। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা হায়দার আশরাফ প্রাণহানির সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের বেশিরভাগই মুসলিম।

লাহোরের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ উসমান বলেন, বিস্ফোরণে ২৩৩ জন আহত হয়েছে। তবে, গত রোববার উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা আহতের সংখ্যা তিন শতাধিক উল্লেখ করেছিলেন। কমিশনার আবদুল্লাহ সামবাল বলেন, স্কুল এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে, যদিও পাঞ্জাব প্রদেশে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, লাহোর পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী। আর লাহোর পাকিস্তানের অন্যতম উদার ও সম্পদশালী শহর। এটি পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক ক্ষমতার ঘাঁটি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নগরটি তুলনামূলক শান্ত ছিল।

প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ নিরপরাধ লোকজনের প্রাণহানিতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তার পরিকল্পিত ব্রিটেন সফর স্থগিত করেছেন। হামলার ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তার বাসভবনে জরুরি বৈঠকও করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি তার নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার পুত্র-কন্যাদের হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের তিনি নির্মূল করে ছাড়বেন। শরিফ বলেন, শুধু সন্ত্রাসের অবকাঠামো ধ্বংস করাই তার উদ্দেশ্য নয়, চরমপন্থিদের চিন্তাভাবনা পরিবর্তনেও কাজ করে যাবেন তিনি। এছাড়া রোববারের হামলার পর রাতেই দেশটির সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। লাহোর হামলায় দায়ীদের গ্রেপ্তারে শিগগিরই অভিযান শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অসিম বাজওয়া টুইটারে লিখেছেন, আমরা আমাদের নিরীহ ভাই, বোন ও শিশুর হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করব। তিনি আরো জানান, প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি।

 

cieZ©x nvgjvq miKvwi I mvgwiK ¯^v_©mswkøó ¯’vcbvi cvkvcvwk ¯‹zj-K‡jR¸‡jv‡KI Uv‡M©U Kivi A½xKvi

jv‡nvi nvgjvi `vq ¯^xKvi K‡i

Av‡iv nvgjvi ûgwK Zvwjev‡bi

BbwKjve †W¯‹ : cvwK¯Ív‡bi jv‡nv‡ii GKwU wkïcv‡K© MZ †iveevi fqven nvgjvi NUbv ¯^xKvi K‡i Av‡iv nvgjvi ûgwK w`‡q‡Q Zvwjevb| Rw½ msMVbwU e‡j‡Q, Iiv wLª÷vb e‡jB nvgjv Pvjv‡bv n‡q‡Q Ges Av‡iv nvgjv Kiv n‡e| Gw`‡K, AvZ¥NvZx IB †evgv we‡ùvi‡Y wbn‡Zi msL¨v †e‡o `uvwo‡q‡Q 72| Avi wbnZ‡`i A‡a©KB n‡jv wkï| wLª÷vb m¤úª`v‡qi B÷vi mvb‡W Drme D`hvcbKv‡j bMixi wf‡o Vuvmv ¸jkvb-B-BKevj cv‡K© wkï‡`i †Ljvi ¯’v‡bi Kv‡Q IB we‡ùviYwU NUv‡bv nq| G‡Z 250 R‡bi †ewk †jvK AvnZ n‡q‡Q, hv‡`i A‡b‡Ki Ae¯’vB ¸iæZi| ZvB g„‡Zi msL¨v Av‡iv evo‡Z cv‡i| G NUbvq wZb w`‡bi †kvK †NvlYv K‡i‡Q cÖv‡`wkK miKvi| MZ †mvgevi wbnZ‡`i `vdbI m¤úbœ n‡q‡Q|

Gw`‡K, nvgjvKvix‡`i `ªæZ wePv‡ii AvIZvq Avbvi AvnŸvb Rvwb‡q‡Qb RvwZms‡Ni gnvmwPe evb wK gyb| wZwb ag©xq msL¨vjNy‡`i iÿv Ki‡Z Bmjvgvev‡`i cÖwZI AvnŸvb Rvwb‡q‡Qb| fvi‡Zi cÖavbgš¿x b‡i›`ª †gvw` †Uwj‡dv‡b bIqvR‡K e‡jb, GB `ytLRbK mg‡q fvi‡Zi RbMY cvwK¯Ív‡bi cv‡k Av‡Q| hy³ivóª NUbvwU‡K Kvcyiæ‡lvwPZ e‡j D‡jøL K‡i‡Q| f¨vwUKvbI GB nvgjvi wb›`v Rvwb‡q e‡j‡Q, GUv wLª÷vb msL¨vjNy‡`i weiæ‡× Db¥Ë mwnsmZv| nvgjvi †nvZv‡`i ai‡Z B‡Zvg‡a¨ Awfhvb ïiæ K‡i‡Q KZ©…cÿ| †`kwUi †mbvevwnbx ej‡Q, †`‡ki wewfbœ ¯’vb †_‡K †ek wKQy †jvK‡K AvUK Kiv n‡q‡Q|

†ZnwiK-B-Zvwjevb cvwK¯Ívb (wUwUwc) †f‡O MwVZ nIqv KÆicwš’ RvgvZ-Dj-Avnivi-Gi gyLcvÎ Gnmvbmyjøvn Gnmvb we‡ùvi‡Yi ci AÁvZ ¯’vb †_‡K †Uwj‡dv‡b e‡jb, jv‡nv‡i nvgjv AvgivB Pvwj‡qwQ| wLª÷vbivB wQj Avgv‡`i Uv‡M©U| wZwb e‡jb, Zv‡`i MÖæc Av‡iv nvgjv Pvjv‡e| wZwb miKvwi I mvgwiK ¯^v_©mswkøó ¯’vcbvi cvkvcvwk ¯‹zj-K‡jR¸‡jv‡KI Uv‡M©U Kivi A½xKvi K‡ib| Gnmvb e‡j‡Qb, nvgjvi ga¨w`‡q Zviv cÖavbgš¿x bIqvR kwid‡K GKwU evZ©v w`‡Z †P‡q‡Qb| Avi Zv n‡jv Zviv jv‡nv‡i †cuŠ‡Q †M‡Q| Z‡e, MZ †iveevi wLª÷vbivB IB nvgjvi Uv‡M©U wQj e‡j Rw½‡Mvôx RvgvZ-Dj-Avnivi †h `vwe K‡i‡Q Zv LwZ‡q †`L‡Q cywjk|

cÖZ¨ÿ`k©xiv Rvbvb, we‡ùvi‡Yi ci wkïiv AvZ©wPrKvi K‡i Kuv`wQj| †jvKRb AvnZ‡`i wb‡q †`Šov‡`Šwo KiwQj| A‡b‡K Zv‡`i wcÖqRb‡K LyuRwQj| R‰bK Avwid wMj (53) e‡jb, B÷v‡ii QywU KvUv‡Z Avgiv cv‡K© wM‡qwQjvg| nVvr †mLv‡b GKwU we‡ùviY N‡U| Avwg GKwU Av¸‡bi KzÐjx †`Ljvg| Avgvi cwiev‡ii cuvP-QqRb AvnZ n‡q‡Q| Zv‡`i g‡a¨ `yR‡bi Ae¯’v ¸iæZi| D×viKg©x‡`i gyLcvÎ `xev kvnevR e‡jb, †mvgevi cÖvYnvwbi msL¨v †e‡o 72 R‡b `uvwo‡q‡Q| Zv‡`i g‡a¨ 29 RbB wkï| Gig‡a¨ †ek K‡qKRb bvixI i‡q‡Q| EaŸ©Zb cywjk Kg©KZ©v nvq`vi Avkivd cÖvYnvwbi msL¨v wbwðZ K‡i e‡jb, wbnZ‡`i †ewkifvMB gymwjg|

jv‡nv‡ii kxl© cÖkvmwbK Kg©KZ©v †gvnv¤§` Dmgvb e‡jb, we‡ùvi‡Y 233 Rb AvnZ n‡q‡Q| Z‡e, MZ †iveevi D×viKvix Kg©KZ©viv Avn‡Zi msL¨v wZb kZvwaK D‡jøL K‡iwQ‡jb| Kwgkbvi Ave`yjøvn mvgevj e‡jb, ¯‹zj Ges Ab¨vb¨ miKvwi cÖwZôvb †Lvjv i‡q‡Q, hw`I cvÄve cÖ‡`‡k wZb w`‡bi †kvK †NvlYv Kiv n‡q‡Q| D‡jøL¨, jv‡nvi cvÄve cÖ‡`‡ki ivRavbx| Avi jv‡nvi cvwK¯Ív‡bi Ab¨Zg D`vi I m¤ú`kvjx kni| GwU cvK cÖavbgš¿x bIqvR kwi‡di ivR‰bwZK ÿgZvi NuvwU| mv¤úªwZK eQi¸‡jv‡Z bMiwU Zzjbvg~jK kvšÍ wQj|

cÖavbgš¿x bIqvR kixd wbiciva †jvKR‡bi cÖvYnvwb‡Z Mfxi `ytL cÖKvk K‡i‡Qb| G NUbvi cwi‡cÖwÿ‡Z wZwb Zvi cwiKwíZ weª‡Ub mdi ¯’wMZ K‡i‡Qb| nvgjvi NUbvi ci cÖavbgš¿x bIqvR kwid Zvi evmfe‡b Riæwi ˆeVKI K‡i‡Qb| D™¢~Z cwiw¯’wZ‡Z wZwb Zvi wbivcËv Dc‡`óv‡`i cÖ‡qvRbxq wb‡`©k w`‡q‡Qb| wZwb e‡j‡Qb, Zvi cyÎ-Kb¨v‡`i nZ¨vKvix mš¿vmx‡`i wZwb wbg©~j K‡i Qvo‡eb| kwid e‡jb, ïay mš¿v‡mi AeKvVv‡gv aŸsm KivB Zvi D‡Ïk¨ bq, Pigcwš’‡`i wPšÍvfvebv cwieZ©‡bI KvR K‡i hv‡eb wZwb| GQvov †iveev‡ii nvgjvi ci iv‡ZB †`kwUi †mbvcÖavb ivwnj kwid D”P ch©v‡qi ˆeVK K‡i‡Qb| IB ˆeV‡K kxl©¯’vbxq †mbv Kg©KZ©viv Dcw¯’Z wQ‡jb| jv‡nvi nvgjvq `vqx‡`i †MÖßv‡i wkMwMiB Awfhvb ïiæ Ki‡Z mswkøó‡`i wb‡`©k w`‡q‡Qb wZwb| †mbvevwnbxi gyLcvÎ Awmg evRIqv UzBUv‡i wj‡L‡Qb, Avgiv Avgv‡`i wbixn fvB, †evb I wkïi nZ¨vKvix‡`i Aek¨B wePv‡ii gy‡LvgywL Kie| wZwb Av‡iv Rvbvb, cÖPzi A¯¿k¯¿I D×vi Kiv n‡q‡Q| wewewm, iqUvm©, GGdwc|



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাহোর হামলার দায় স্বীকার করে আরো হামলার হুমকি তালিবানের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ