Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রাধান্যে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আসছে সপ্তাহে জার্মানির হামবুর্গে বসছে বিশ্বের বৃহত্তম ২০টি অর্থনীতির জোট জি-২০ এর বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন। আর এ আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আলোচিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তির ভবিষ্যত আলোচনার টেবিলে সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার জার্মান পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে মারকেল বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার পরে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে গেছে। এটা ধ্বংসের পথে অসৎ উদ্যোগ। আমরা এটা সমর্থন করতে পারি না। জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিঃশর্তভাবে চুক্তিটি সমর্থন করবে। বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেবে। এটাই হবে এবারের শীর্ষ সম্মেলনের মূল আলোচ্য। মারকেলের মতে, ট্রাম্পের নেতিবাচক উদ্যোগের কারণে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়বে। তথাপি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা ইউরোপের দেশগুলোর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলো আলোচিত এ চুক্তি বাস্তবায়নে জোরালো অবস্থান নেবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। আসছে ৭ ও ৮ জুলাই হামবুর্গে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, ব্র্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেসহ জোটভুক্ত দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশ নেবেন। প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন ট্রাম্প। বাতিল করতে চেয়েছেন এ চুক্তি। সব গুঞ্জন ও আশঙ্কা সত্যি করে ১ জুন ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তার মতে, এ চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা খাত ও শ্রমিকদের স্বার্থ বিরোধী। এর বদলে তিনি নতুন চুক্তির জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে চান। ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে এ চুক্তি সইয়ের বিষয়ে রাজি হয় বিশ্বের দেশগুলো। ১৮৭টির বেশি দেশ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমাতে একমত হয়। এজন্য শিল্প খাতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমাতেও রাজি হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনের হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এ চুক্তিতে সই করেন। শুধুমাত্র সিরিয়া ও নিকারাগুয়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তি সই করেনি। বিবিসি, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জলবায়ু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ