পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগকে দেশের জনগণ আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপিকে বাইরে রেখে ৫ জানুয়ারীর মতো আরেকটি নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকার সাহস পাচ্ছে না।
গতকাল রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকাস্থ দাউদকান্দি উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত ইফতার ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে বুঝে গেছে আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। তাই ৫ জানুয়ারীর মত বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচনী নাটক করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। সেই লক্ষ্যেই সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার নির্যাতন শুরু করেছে।
তিনি বলেন, মনে ভীতি সঞ্চারের জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্র ও গ্রেফতার নির্যাতন করে দেশের মানুষকে ধাবিয়ে রাখা যাবে না। শেখ হাসিনার অধীনে এ দেশে একতরফা নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। আগামী নির্বাচন হবে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। ঈদের পর নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার দাবি আদায়ের আন্দোলনে শরীক হতে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতি উদাত্ত আহŸান জানান খন্দকার মোশাররফ।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক মিঞা মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, ফোরামের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন ও ড. ইব্রাহীম খলিল, দাউদকান্দি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি কেএম কামরুল আহছান ও মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়াসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
পুরনো নির্বাচনী সীমানায় যেতে চায় বিএনপি
এর আগে গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুর রশীদ সরকার ও ক্যাপ্টেন সুজাউদ্দিন যান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে। সেখানে দলটির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে প্রায় ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে বিএনপির অবস্থানের কথা জানান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, গত ২০০৮ সালের আগে যেসব সংসদীয় আসন নিয়ে নির্বাচন হতো, সেই মোতাবেক আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্নিধারণের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে ৩০০ আসন নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেটার পরে ৮৬, ৯১, ৯৬, ৯৮ ও ২০০১ সালের নির্বাচন এই আসনের ভিত্তিতে হয়েছে। কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ওই আসনগুলোকে ভেঙে প্রায় ১৩৩টি আসনে পুনর্বিন্যাস করেছে।
তিনি বলেন, যেখানে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব আইন-কানুন আছে তার ব্যত্যয় ঘটিয়ে এটা করা হয়েছিল। ভৌগলিক সীমারেখা, প্রশাসনিক সুবিধা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা এগুলো বিবেচনা না করে ১৩৩টি আসনে পুনর্বিন্যাসের নামে একটা জগাখিচুড়ি করা হয়েছে। অথচ ২০০১ পর্যন্ত এভাবে নির্বাচন হয়েছে এবং এতে কারো কোনো আপত্তি ছিল না।
মোশাররফ বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের সময় যে নির্বাচন কমিশন ছিল, তাদের কাছে কোনো দল বা গোষ্ঠী বা সুশীল সমাজ কারো কোনো দাবি ছিল না। কোনো দাবি না থাকা সত্তে¡ও তারা নিজেরা যে পুনর্বিন্যাসটা করেছে তাতে অনেক অসামঞ্জস্যতা আছে।
ড. মোশাররফ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে যে আসন বিন্যাস ছিল, সেই সম্পর্কে এর পরে কোনো রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী ও সুশীল সমাজ আপত্তি করেনি। সেজন্য আমরা ২০০৮ সালের আগের অবস্থায় আসনগুলো পুনর্বিন্যাস করার দাবি জানাতে ইসির কাছে দাবি জানাতে এসেছি।
তিনি বলেন, যেহেতু ইসির হাতে নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্নিধারণের ক্ষমতা আছে, তাই ১৩৩টি আসনে যে অসামঞ্জস্যতা আছে তা দূর করে ৩০০ আসন পুনর্বিন্যাস করার জন্য আমরা কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।