বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আসালাম পারভেজ, হাটহাজারী: সারা দেশে ন্যায়ে হাটহাজারীতে গত কয়েক দিনে বৃষ্টির কারনে পাহাড়ী ঢলের পানিতে ঢুবে গেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম অঞ্চলগুলো। রাস্তা ঘাট ডুবে যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে নাজুক হয়ে পড়েেেছ। এখনো এইসব ইউনিয়ন গুলো পানিতে বাসছে। স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে শত শত একর আউশ রূপা ফসল। পাশাপাশি বহু পুকুর ডুবে মাছ বের হয়ে এসেছে রাস্তা ও জমিতে। বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ সড়কের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বন্যার পানির ¯্রােত। গত কয়েকদিন ধরে বিরতিহীন ভাবে বৃষ্টির কারণে হাটহাজারীর পশ্চিমের পাহাড়গুলো ধসে পানহানির আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। শত শত পরিবার পাহাড়ে বসবাস করছে জীবনের ঝুকি নিয়ে। উপজেলার ধলই, মির্জাপুর, গুমানমর্দ্দন, লাঙ্গলমোড়া, ছিপাতলী, উত্তর মাদার্শা, দক্ষিণ মাদার্শা মেখল গড়দুয়ারা সহ বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলের বাড়ি ঘরে এখনো হাটু পানিতে ডুবে আছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এইসব পরিবারগুলোর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যাপক হারে। একদিকে ঘরে পানি অপর দিকে কোমার পরিমান পানিতে ডুবে আছে বাড়ির উঠান। যেখানে গাড়ি চলাচল করার কথা সেখানে এখন নৌকা নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকার মানুষের। বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে হালদানদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ফলে বিভিন্œ এলাকার ছোট ছোট বাজারগুলোতে বাজার বসতে পারছে না। পৌরসভার মোহামামদ পুর গ্রাম, মেহেদী পাড়া এমনকি কামাল পাড়া সহ কয়েকটি গ্রাম বর্তমানে বন্যার পানিতে ভাসছে। বন্যা দুর্গত এলাকার অধিকাংশ পরিবারে রান্নার বান্না করতে গৃহিনীদের ব্যাপক দুর্ভোগে শিকার হচ্ছে। তারা পানি ও শুকনো খাবার এমনকি দুর-দুরান্ত থেকে পানির উপর দিয়ে হেটে হোটেল থেকে খাবার আনতে হচ্ছে। হাটহাজারী উপজেলার আওতাধীন ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী স›দ্বীপ কলোনী সহ এমনকি হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে শত শত পরিবার। বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের সংঙ্কা করছে স্থানীয়রা। দ্রত এইসব এলকা থেকে লোকজন সরিয়ে আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় ২০০৭ সালের মত পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাহাড়তলী স›দ্বীপ কলোনী এলাকায় নির্বিচারে প্রতিদিন পাহাড় কাটার কারণে পাহাড় ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেশী হওয়ার কারণে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন বর্তমানে পানিতে ডুবে আছে। স›দ্বীপ কলোনীর জনগোষ্ঠীদেরকে সরিয়ে যাওয়ার জন্য গত কয়েকদিন আগে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তার উন নেছা শিউলী তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে পাহাড়ে বসবাসরত লোকজনদেরকে সরিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরও পাহাড়ে বসবাসরত লোকজন সরতে নারাজ। বন্যার কারণে কয়েকটি গ্রামের ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অঘোষিত বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল উপজেলার লাঙ্গলমোড়া, গুমানমর্দ্দন, ছিপাতলী, মেখল, গড়দুয়ারা, মোহাম্মদপুর, ফটিকা, উত্তর মাদার্শা, চিকনদন্ডী, দক্ষিণ মাদার্শা সহ প্রভৃতি এলাকায় সরোজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে লক্ষাধীক মানুষ পানি বন্দী হয়ে আছে। বাড়ি ঘরের চারদিকে সাগরের পানির মত থৈ থৈ করছে বন্যার পানি। এইসব এলকায় রাস্তাঘাটে ও বাড়ি ঘরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক অর্ধ কোটি টাকা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এইসব এলাকায় উপজেলা প্রশাসন থেকে তেমন কোন সাহায্য সহোযিগীতায় এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানান বন্যায় দুর্গত এলাকার লোকজন। রমজান মাসে বন্যায় দুর্গত পরিবার গুলো দারুন কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।