Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘লন্ডনের সেই ভবনে আর কারো বেঁচে থাকার আশা নেই’

| প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জীবিত কাউকে খুঁজে পাবার আর কোনো আশা নেই -বলছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। লন্ডন ফায়ার কমিশনার ড্যানি কটন বলছেন, নর্থ কেনসিংটনে অবস্থিত আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রেনফেল টাওয়ারের ভেতরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই হয়তো ‘নিখোঁজ অনেকে রয়ে গেছেন’। এই সংখ্যাটা এখনো অজানা। তবে ‘আর কেউ বেঁচে নেই’ বলে ধারণা উদ্ধারকর্মীদের। ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় ১৭ জন নিহত হবার তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে নিখোঁজ বাসিন্দাদের বিষয়ে সব জায়গায় খোঁজ চালাচ্ছেন স্বজন ও বন্ধুবান্ধবেরা। ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ৭০ জনেরও বেশি মানুষকে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন ‘কীভাবে এমন অগ্নিকান্ড ঘটলো তার পূর্ণ তদন্ত করা হবে’।
পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ার নামে বহুতল ভবনটিতে যখন আগুন লাগে তখন সেখানকার বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। লন্ডন সময় বুধবার প্রথম প্রহর, অর্থাৎ রাত একটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই জানালা দিয়ে নীচে লাফিয়ে পড়েছেন। এমনকি শিশু সন্তানকেও নিরাপদে রাখার জন্য জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। তারপরও ধোঁয়ার কারণে বহু মানুষ আটকা পড়েছিলেন ভবনটিতে, অনেকে বের হতে চাইলেও বের হতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার কমিশনার মিস কটন জানান, পুরো ভবনটিতে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। কিন্তু আগুনে পুড়ে ভেতরে এমন ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে যার মধ্যে অভিযান চালানো হবে খুব ‘জটিল ও কষ্টকর’। আর যেহেতু ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে আগে সেই বিষয়টা ঠিক করে পরে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অনুসন্ধান চালাতে হবে বলেও জানান মিস কটন। ওই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় লেগেছে।
তবে, ঠিক কী কারণে এবং কীভাবে সেখানে আগুন লাগলো সে নিয়ে এখনো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে পারেনি। আগুন লাগার আগে নর্থ কেনসিংটনের ঐ ভবনটিতে সংস্কার কাজ চলছিল। সেসময় ভবনের বাসিন্দাদের অনেকেই গুরুতর অগ্নিকান্ডের ঝুঁকির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সাবধান করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। সূত্র : বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লন্ডন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ