নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : চুক্তি ভঙ্গের কারণ দেখিয়ে বরখাস্ত করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের জার্মানির প্রধান কোচ অলিভার কার্টজকে। গতকাল বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, ফেডারেশনকে না জানিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ার কারণেই কার্টজকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এশিয়া কাপের দশম আসরকে সামনে রেখে যখন জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প চলছে ঠিক তখনি কার্টজ কাউকে কিছু না বলে বাংলাদেশ ছাড়েন। আর এটাকে চুক্তি ভঙ্গের সামিল মনে করছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। তাই তারা গুরুত্বপূর্ণ আসরের আগে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে অলিভার কার্টজের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয় বাংলাদেশে হকি ফেডারেশনের। এর আগে গেল সেপ্টেম্বরে এই জার্মান কোচের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হলেও তাতে কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না ফেডারেশনের। তখন অলিভারে সঙ্গে চুক্তি করেছিল পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ইনডেক্স গ্রæপ। এই চুক্তি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে জার্মান কোচ পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ও ফেডারেশনের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হন গত ১৮ জানুয়ারি। নতুন চুক্তির পাঁচ মাসের মধ্যেই কোচকে বরখাস্ত করলো ফেডারেশন। এ প্রসঙ্গে হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক বলেন, ‘ফেডারেশনের কাউকে কিছু না জানিয়ে অলিভার ঢাকা ছেড়েছেন। কবে গেছেন, কোথায় গেছেন এবং তিনি কবে ফিরে আসবেন তা আমরা কেউই জানিনা। এভাবে চলে গিয়ে তিনি চুক্তি ভঙ্গ করেছেন। তাই তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
জানা গেছে, ৫ জুন অলিভার কার্টজ ব্যক্তিগত কাজে কেনিয়া যান। অথচ বর্তমানে ঢাকায় চলছে বাংলাদেশ হকি দলের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি ক্যাম্প। এই সময়ে প্রধান কোচ কাউকে কিছু না জানিয়ে কেনিয়া গেলে দলের প্রস্তুতিতে বাঁধা পড়বেই। তাই ক্যাম্প শুরুর প্রথমদিকেই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হলো ফেডারেশনকে। কার্টজকে বিদায় করলে লাল-সবুজ হকি দলের অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটারই কথা। তবে তা মানছেন না সাদেক। তিনি বলেন,‘ক্যাম্প শুরুর প্রথম থেকেই কার্টজ নয়, স্থানীয় কোচরা দলকে অনুশীলন করাচ্ছেন। এশিয়া কাপে আমাদের স্থানীয় কোনো কোচকেই দায়িত্ব দেয়া হবে। এখন আলমগীর আলম আছেন দলের সঙ্গে। তাকে সহায়তা করছেন গোলরক্ষক কোচ মো: জাহাঙ্গীর। দেশে আরো সিনিয়র কোচ রয়েছেন। তাদের কোনো একজনের হাতে ঈদের পর দায়িত্ব তুলে দেয়া হবে।’ সাদেক যোগ করেন,‘ আমরা স্থানীয় কোচের উপরই আস্থা রাখবো। অতীতে স্থানীয় কোচের অধীনেও আমরা ভালো ফলাফল পেয়েছি। তাছাড়া অলিভারের অতীত আচরণও ভালো ছিল না। পুনরায় নিয়োগ দেয়ার পরও তিনি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করেছেন। আর এখন তো না বলে চলেই গেছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।