পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন মেডিকেল অফিসারকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। এমনকি তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত বিভাগীয় মামলাও করা হয়। কিন্তু এসব বিষয় গোপন করে তিনি নাটোর জেলায় বদলি হয়ে যান। এমনকি সেখানে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ময়না তদন্তের রিপোর্ট করছেন। আইনগতভাবে এই রিপোর্ট বৈধ হবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চেয়ে অধিদফতরে চিঠি দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
নাটোর জেলা সিভিল সার্জন ডা. রোজী আরা খাতুন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আমিনুল ইসলামকে (কোড নং-১২৫৪৮৭) চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের শৃৃঙ্খলা অধিশাখা থেকে ২০২১ সালের ১৪ জুলাই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপণ জারিসহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। বিভাগীয় মামলা নম্বর-৪২/২০২১।
সাময়ীকভাবে বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে বিষয়টিকে গোপন করে এই কর্মকর্তাকে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে নাটোর জেলা সদর হাসপাতালে আরএমও (ভারপ্রাপ্ত) পদে বদলী করা হয়। এর প্রেক্ষিতে তিনি তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছাড়পত্র গ্রহণ করেন এবং নাটোর জেলা হাসপাতালে আরএমও পদে যোগদান করেন। তিনি বর্তমানে ওই পদেই কর্মরত আছেন।
কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ জুলাই ডা. মো. আমিনুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। কিন্তু ৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে তাকে নাটোর জেলা হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত আরএমও পদে বদলি করা হয়। অধিদফতরের তৎকালীন সহকারি পরিচালক (পার-২) ডা. রওশন জাহান আখতার আলো এই প্রজ্ঞাপণ প্রস্তুত ও অনুস্বাক্ষর করেন। এই কর্মকর্তা বর্তমানে অধিদফতরের প্রশাসন শাখায় উপপরিচালক হিসাবে কর্মরত আছেন।
সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি গোপন রেখে ডা. মো. আমিনুল ইসলাম নাটোর জেলা হাসপাতালে সম্প্রতি ময়না তদন্ত রিপোর্ট সম্পাদন করেছেন। কিন্তু একজন বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তার প্রস্তুতকরা ময়না তদন্ত রিপোর্ট উধ্বর্তন কর্মকর্তা গ্রহন বা স্বাক্ষর করা আইনগতভাবে বৈধ হবে কিনা সে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন নাটোর জেলা সিভিল সার্জন ডা. রোজী আরা খাতুন। অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, এই কর্মকর্তার মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। এমনকি তার বরখাস্তের আদেশও প্রত্যাহার হয়নি। তাহলে কিভাবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট তিনি তৈরি করেন।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক প্রশাসন প্রফেসর ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, এই বিষয়টিতে তিনি অবগত নন। কাগজপত্র না দেখে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে সাময়িক বরখাস্ত হয়ে থাকলে তার দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।