মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ক্রমান্বয়ে চাপের মুখে পড়ছেন থেরিসা মে। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়ায় নিজের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে পারেননি থেরিসা মে। তাই সরকার গঠন করলেও প্রশাসনে বেশ চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। প্রসঙ্গত, নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগে আগাম নির্বাচনের আয়োজন করে উল্টো পার্লামেন্টে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুইয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মে। চাপের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এখন জোট সরকার গড়ছেন তিনি। সাময়িক বিপদ কাটলেও সামনের দিনগুলো তার জন্য আরো কঠিন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে কোনো রাজনৈতিক দলকে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৩২৬টি আসনে জয়লাভ করতে হয়। ৮ জুনের নির্বাচনে ৩১৮টি আসনে জয়লাভ করেছে মে’র কনজারভেটিভ পার্টি। যা নিম্নকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ আসনের চেয়ে আটটি কম। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে ব্যর্থ হওয়ায় উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে মিলিতভাবে সরকার গঠন করছে দলটি। সাধারণ নির্বাচনে মোট দশটি আসনে জয়লাভ করেছে ডিইউপি। এখন ডিইউপির সঙ্গে যথাযথ একটি সমঝোতা চুক্তি সই করতে কাজ করছে মে’র দল। এজন্য গত শনিবার বেলফাস্টে টোরি চিফ হুইপ গেভিন উইলিয়ামসন ডিইউপি প্রধান আর্লেন ফস্টারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দু’পক্ষের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিইউপি। পারস্পরিক স্বার্থ বিবেচনায় রেখে কাক্সিক্ষত সমঝোতার অপেক্ষায় রয়েছে দু’দল। তবে পেনসন কমানোর মত মে সরকারের বেশ কয়েকটি নীতির বিরোধিতা করে ডিইউপি। সেই সঙ্গে সমকামী বিয়ে ও গর্ভপাত বিরোধী ভূমিকা পালন করে দলটি। এসব বিষয়ে রক্ষণশীলদের সঙ্গে এ দলের বিরোধ দেখা দিতে পারে। এর ফলে সামনের দিনগুলোতে জোটে ভাঙ্গনের সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা। এবারের নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি বেশ ভালো ফল করেছে। দলটি আগের চেয়ে ৩০টি আসন বেশি পেয়েছে। মূলত তরুণ ভোটারদের মন জয়ের মাধ্যমে ইতিবাচক ফল করেছে লেবাররা। আর এটাই থেরিসা মে’র জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেবে। কেননা ব্রিটিশ তরুণরা তার ইশতেহার পছন্দ করেন নি। লেবার নেতা জেরেমি করবিন এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে নিজের অবস্থান আরো শক্ত করেছেন। দলকে সামনের দিকে অনেকটাই টেনে এনেছেন। অনেকেই করবিনকে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন। তাই করবিনের এ জোরালো অবস্থান থেরিসা মে’র ক্ষমতায় থাকার জন্য বরাবরই হুমকি হিসেবে বিবেচিত হবে। মূলত ইউরোপীয় ইউরোপীয় (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার আলোচনায় (ব্রেক্সিট) নিজের ও দেশের অবস্থান জোরালো করতে আগাম নির্বাচন দিয়েছিলেন মে। কিন্তু তার আশা পূরণ হয়নি। উল্টো সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে টোরিরা। এখন ব্রেক্সিটের জটিল আলোচনায় আরো বেশি জটিলতার মুখে পড়তে হবে থেরিসা মে’র জোট সরকারকে। এদিকে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারোনোয় নানা মহল থেকে থেরিসা মে’র পদত্যাগের দাবি উঠেছে। লেবার নেতা জেরেমি করবিন নির্বাচনের দিনই এ দাবি তুলেছেন। নিজ দলের ভেতর থেকেও একই দাবি উঠেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন শুরুতে তার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। পরে নিজের এ অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। পদত্যাগের দাবি উপেক্ষা করে জোট গড়ছেন মে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এখনো নিজের অবস্থান শক্ত রেখেছেন। সামনের দিনগুলোতে নানা ইস্যুতে এ দাবি মার অবস্থান দুর্বল করবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। তবে যতই চাপে থাকুন না কেন, যথাসময়ে ইইউর সঙ্গে ব্রেক্সিট বিষয়ক আলোচনা শুরুর অঙ্গীকার করেছেন থেরিসা মে। বিবিসি, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।