Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শোক কাটিয়ে ভোট কেন্দ্রে ব্রিটেনবাসী

১৯৭৪ সালের পর ব্রিটেনে এটাই প্রথম আগাম নির্বাচন

| প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার শোক কাটিয়ে ভোট কেন্দ্রে ব্রিটেনের ভোটারা। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। এবার নিয়ে দুই বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠনে ভোট দিচ্ছেন ব্রিটেনবাসী। সকালেই বার্কশায়ারের সোনিং কেন্দ্রে স্বামী ফিলিপ মেকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মে। নির্বাচনে ইংল্যান্ড, নর্দান আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের নিবন্ধিত ৪ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসনে নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নেবেন। ১৯৭৪ সালের পর ব্রিটেনে এটাই প্রথম আগাম নির্বাচন। গত বছর ব্রেক্সিট গণভোটের পরে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সরে দাঁড়ালে কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী ও পূর্ববর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীথেরিসা মে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার প্রস্তাব দেয়ার পরে তিনি আগাম নির্বাচনের ডাক দেন। দেড় মাস আগে নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মের কনজারভেটিভ পার্টি বিরোধী লেবার পার্টির চেয়ে জনমত জরিপে ২০ শতাংশের বেশি ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। উপরন্তু লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিনকে নিজ দলে অন্তর্দ্ব›েদ্বর মোকাবেলায় ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় থেরিসা মে ইইউর সঙ্গে পূর্ণ বিচ্ছেদের পক্ষে ভোটারদের সমর্থন চেয়েছেন। অন্যদিকে বিরোধী লেবার পার্টি বলেছে, ইইউর সঙ্গে সমঝোতা ও সম্পর্ক অব্যাহত রাখার মাধ্যমেই ব্রিটেন নিজের স্বার্থের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে। অন্য দুটি দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ব্রেক্সিটের পুরোপুরি বিপক্ষে অবস্থান নিয়েই প্রচারণা চালিয়েছে। সবশেষ জরিপগুলোতেও থেরিসা মের জয়ের আভাস মিলেছে। তবে লেবার পার্টির সঙ্গে তার দলেল ব্যবধান ক্রমশ কমে এসেছে। বিশেষত নির্বাচনী বিতর্কগুলোয় থেরিসা মের অনুপস্থিতির বিপরীতে জেরেমি করবিনের সপ্রতিভ উপস্থিতি জনমতকে অনেকটাই প্রভাবিত করেছে। এখন অপেক্ষা আর একটি দিনের। ভোটগ্রহণ শেষে গণনা, তারপরই জানা যাবে কে হচ্ছেন দেশটির পরবর্তী কাÐারি। তবে শুধু ব্রিটেনের জন্য নয়, আজকের নির্বাচন বিশ্বের অন্য অনেক দেশের জন্যও বাড়তি গুরুত্ব বহন করছে। ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার প্রক্রিয়া এবং জোটের বাইরে দেশটির বাণিজ্য সম্পর্ক, সীমান্ত ও শুল্ক ব্যবস্থাপনার ধরন নির্ধারিত হবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনে সন্ত্রাসী হামলা ও ম্যানচেস্টার অ্যারেনা স্টেডিয়ামে বোমা বিস্ফোরণের ধাক্কা কাটতে না কাটতে গত ৩ জুন রাতে লন্ডন ব্রিজ এলাকা ও পাশের ব্যস্ততম বোরো মার্কেটে হামলায় নিহত হন সন্দেহভাজন তিন হামলাকারীসহ ১০ জন। এর পরে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। সব সংশয় উপেক্ষা করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিটেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ