Inqilab Logo

সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সুন্দরগঞ্জে পুলিশ পাহাড়ায় অপহরণ মামলার আসামির মৃত্যু

| প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : পুলিশ পাহারায় অপহরণ মামলার আসামীর মৃত্যুর ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হাতিয়া গ্রামের বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী অপহৃতার পিতার বসতবাড়ি ভাংচুর ও দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ঘটনা গতকাল শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে হাতিয়া গ্রামে ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের বাবলু চন্দ্র দাসের পুত্র রিপন চন্দ্র দাস গত ২৯ মে সকাল সাড়ে  ১০ টার দিকে একই গ্রামের প্রতিবেশি সুরেশ চন্দ্র দাসের কন্যা চম্পা রানী দাসকে অপহরণ করে। ওই সময় চম্পা রানী দাস স্থানীয় হাতিয়া চৌরাস্তা বাজারে কসমেটিক সামগ্রী কেনা কাটা করতে যাচ্ছিল। চম্পার পিতা মেয়ে অপহরণের সংবাদ পেয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় রিপন চন্দ্র দাস ও তার পিতাসহ ৫ জনকে আসামি করে গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় একটি মামলা (নং-১) দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার এসআই রাজু আহম্মেদের উপর ন্যস্ত করা হয়। এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজু আহম্মেদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার কাইট গ্রামের এক মন্দির থেকে অপহরণকারীকে গ্রেফতারসহ অপহৃতাকে উদ্ধার করে। এ সময় উভয় পরিবারের লোকজন উদ্ধারস্থলে উপস্থিত ছিল। এরপর দুপুর এক টার দিকে ৪ পুলিশ, অপহৃতা, তার পিতা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মমতাজ উদ্দিনসহ একটি মাইক্রোবাস যোগে সুন্দরগঞ্জ থানার উদ্যেশে যাত্রা শুরু করে। অপর একটি মাইক্রোবাসে অপহরণকারী রিপনের পিতা-মাতাসহ স্বজনরা ওই মাইক্রোবাসটির পিছে-পিছে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশ পাহাড়ায় রিপন চন্দ্র দাসের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ মৃত্যুকে নিয়ে ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজু আহম্মেদ বলছেন পলাশবাড়ি উপজেলার গোপিনাথপুর এলাকায় পোছালে প্রশ্রাব করার কথা বলে মাইক্রোবাস থামিয়ে নেমে দৌড়ে পালাতে থাকে রিপন। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক চাপায় রিপনের মৃত্যু হয়। পুলিশ পাহাড়ায় যে কোন ভাবেই হোক আসামীর মৃত্যু দায়িত্বে অবহেলার সামিল বলে এলাকাবাসী দাবি করেন। এদিকে রিপনের পিতা-মাতাসহ স্বজনদের দাবি পুলিশের পাহাড়ায় রিপনকে মাইক্রোবাসের ভিতরে হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পলাশবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম জানান ১ জুন বিকেল ৩.৫৫ টার সময় সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই রাজু আহম্মেদ বাদী হয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বিষয়ে একটি মামলা করেন। মামলা নং-১।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই রাজু আহম্মেদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আতিয়ার রহমান জানান বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে রিপনের পরিবারে শোকে ছায়া নেমে এসেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অপহরণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ