পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যা মামলার ১৯ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ রোববার। দীর্ঘ প্রায় দুই দশকেও দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী এই মামলার বিচার শেষ হয়নি। ক্ষোভ-হতাশায় বিচারের আশা ছেড়ে আদালতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
পিতার কঙ্কাল ছাড়া কিছুই পাননি জামাল উদ্দিনের সন্তানেরা। বিচার শেষ না হওয়ায় আসামিরা জামিন নিয়ে ঘুরছে। প্রধান আসামি ফটিকছড়ির কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী দুবাইতে পলাতক অবস্থা থেকে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।
বিগত ২০০৩ সালের ২৪ জুলাই রাতে নগরীর বহদ্দারহাটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হন জামাল উদ্দিন। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসাবে প্রথমে এক কোটি এবং পরে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা বেহাত হয়ে যাওয়ায় জামাল উদ্দিনকে খুন করা হয়। খুনিচক্রের অন্যতম সদস্য কালা মাহবুবের দেখানো মতে ২০০৫ সালের ২৪ আগস্ট ফটিকছড়ির কাঞ্চন নগরের ফকিরের টিলা থেকে মাটি চাপা দেয়া জামাল উদ্দিনের কঙ্কাল উদ্ধার করে র্যাব। সিঙ্গাপুরে ডিএনএ পরীক্ষার পর কঙ্কালটি জামাল উদ্দিনের বলে নিশ্চিত হয় পরিবার।
মামলার অষ্টম তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ২০০৬ সালের ১০ জুলাই ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কয়েক দফা অধিকতর তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৬ সালে বিচার শুরু হয়। এক পর্যায়ে মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে মামলার বাদি ও জামাল উদ্দিনের পুত্র চৌধুরী ফরমান রেজা লিটনকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির হতে বলা হলেও তিনি হাজির হননি। আদালতের বিশেষ পিপি আইয়ুব খান বলেন, তাকে ৩৯ বার সমন দেওয়ার পরও তিনি আদালতে হাজির হননি। তার বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তারপরও তিনি আদালতে আসেননি।
ওই আদালতে মাত্র দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় মামলাটি ফের চট্টগ্রাম মহানগর ৫ম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ওই আদালতেও কয়েক দফা সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য করা হলেও বাদি আদালতে আসেনি। আগামীকাল সোমবার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য আছে বলে জানান আদালতের পিপি। জানা যায়, আলমগীর নামে একজন আসামি বর্তমানে কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক ও জামিনে আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।