পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুফতি মামুন ওরফে ল্যাংড়া মামুন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ডান পা হারালেও অপরাধমূলক নানা কর্মকান্ডে জড়িয়ে ছিলেন। ভগিড়বপতির টাকা আত্মসাৎ করে পটুয়াখালী শহরে একাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন তিনি। ব্যবসায়ী ও বিভিনড়ব পেশার মানুষকে আটকে রেখে আপত্তিকর ছবি তুলে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। তার রয়েছে দুটি টর্চার সেলও। পটুয়াখালীর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী শিবু লালকে অপহরণও করেন এই ল্যাংড়া মামুন।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর, ভাটারা ও গুলিস্তান এলাকায় অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালীর ব্যবসায়ী শিবু লাল দাসকে অপহরণের মূলহোতা ল্যাংড়া মামুন ওরফে মুফতি মামুনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি গুলশান বিভাগ। গ্রেফতার হওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন- ল্যাংড়া মামুনের সহযোগী পিচ্চি রানা, বিআরটিসির গাড়িচালক জসীম উদ্দীন এবং রেন্ট-এ-কারের দালাল আশিকুর রহমান। এসময় তাদের কাছ থেকে অপহরণ কান্ডে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, মোবাইল ফোন, গামছা ও চার হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ, ডিবি গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান। এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, নানা অপকৌশলে পটুয়াখালী জেলা শহরে মার্কেটসহ বিভিনড়ব প্রতিষ্ঠানের মালিক বনে যান মামুন। তার অর্থের প্রধান উৎস মাদক ব্যবসাসহ বিভিনড়ব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এলাকায় বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়া এবং বড় ব্যবসায়ী হওয়ার স্বপড়ব দেখতেন মামুন।
অপহরণের শিকার শিবু লাল দাস পটুয়াখালী জেলা শহরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি ঠিকাদারিসহ বিভিনড়ব ব্যবসায় সম্পৃক্ত। গত ১১ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে গলাচিপার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নিজের গাড়িতে করে পটুয়াখালী শহরের বাসায় ফেরার পথে ড্রাইভারসহ নিখোঁজ হন শিবু লাল দাস। পরে দূরের একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে পরিত্যক্ত অবস্থায় তার পাজেরো জিপটিকে উদ্ধার করে জেলা পুলিশ। পরদিন ১২ এপ্রিল রাতে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় শিবু লালকে উদ্ধার করে পুলিশ। জেলা পুলিশের অনুরোধে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করে ডিএমপির গুলশান ডিবি। অবশেষে গত মঙ্গলবার অপহরণে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধ স্বীকার করেছে এবং অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।
হাফিজ আক্তার বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পটুয়াখালী লঞ্চঘাটের কাছাকাছি ল্যাংড়া মামুনের পোশাক কারখানার অফিসে বসে পরিকল্পনা সাজায় অপহরণকারীরা। এতে অংশ নেয় ল্যাংড়া মামুন, পিচ্চি রানা, পাভেল ও বিআরটিসির গাড়িচালক জসিম। পরে একাধিকবার মিটিং ও অপারেশনাল পরিকল্পনা করে তারা। এই মিটিংয়ে ঢাকা থেকে মাঝে মাঝে ছুটি নিয়ে যোগ দেয় জসীম উদ্দীন মৃধা ও তার ভাই গাড়ির দালাল আশিক মৃধা। আগাম ১০ হাজার টাকা দিয়ে ঢাকা থেকে এক সপ্তাহের জন্য গাড়ি ভাড়া করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।