পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাইবান্ধা থেকে ঢাকায় এসে আতিয়ার রহমান নামের ৬২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে অপহরণ করে দুই ব্যক্তি। এরপর ওই বৃৃদ্ধকে নির্যাতন ও ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। এ সময় উদ্ধার করা হয় ওই বৃদ্ধকে। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম আশিকুর রহমান (২৮)। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে র্যাব।
র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক এএসপি (মিডিয়া) মাজহারুল ইসলাম বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আতিয়ার রহমান গাইবান্ধা থেকে আসা আসাদুলের সঙ্গে মহাখালীতে দেখা করতে যান। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। ঘটনার পর নিখোঁজ আতিয়ার রহমানের ছেলে জামিউল ইসলাম জীবন মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এছাড়া তিনি ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য র্যাব-৪ বরাবর একটি আবেদন করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে র্যাবের একটি গোয়েন্দা দল কাজ শুরু করে। পরে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অপহৃত আতিয়ার রহমানকে উদ্ধার এবং ওই চক্রের সদস্য আশিকুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আশিকুরের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায়। আতিয়ার রহমানকে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারীর নামও আতিয়ার। আশিকুর তার ছোট ভাই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আশিকুর জানান, গত ৭ ডিসেম্বর গাইবান্ধা থেকে ঢাকা আসেন অপহরণকারী চক্রের সদস্য আতিয়ার ও আসাদুল। এরপর তারা আতিয়ার রহমানের কাছে একটি ব্যাপারে সহযোগিতা চান এবং মহাখালী আসতে বলেন। তাদের কথামতো আতিয়ার রহমান মহাখালী আসলে তিতুমীর কলেজের সামনে অপহরণকারী আতিয়ার ও আসাদুলসহ আরও পাঁচ-ছয় জন মিলে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গাজীপুরের দিকে চলে যান। এ সময় ভুক্তভোগীকে নির্যাতন করে সঙ্গে থাকা মোবাইলফোন এবং নগদ টাকা কেড়ে নেন তারা। পরে ভিকটিমকে নিয়ে গাইবান্ধার দিকে রওনা দেন। গাইবান্ধায় গিয়ে বামনডাঙ্গার একটি বাড়িতে ভিকটিমকে আটকে রেখে নির্যাতন করে চক্রটি। পরবর্তীতে তাকে দিয়ে বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। এ সময় ভিকটিমের কাছ থেকে জোরপূর্বক একটি ব্লাংক চেকে স্বাক্ষর নেন তারা। সারারাত নির্যাতন শেষে পরদিন ৮ ডিসেম্বর ভিকটিমকে গাইবান্ধা শহরে নিয়ে যান। সেখানে একটি এটিএম বুথে গিয়ে কার্ড পাঞ্চ করে টাকা তুলতে গেলে দেখেন ভিকটিমের অ্যাকাউন্ট ব্লক। এতে অপহরণকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। একপর্যায়ে ভিকটিমকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। অন্যথায় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তবে এরপরও ভিকটিমের পরিবার কোনো মুক্তিপণ না দেয়ায় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।