শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
রবীন্দ্রসাহিত্যে গবেষণা ও চর্চায় অবদানের জন্য এ বছর বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত রবীন্দ্র পুরস্কার-২০১৭ পেলেন গবেষক হায়াৎ মামুদ এবং শিল্পী মিতা হক।
গত ৭ মে রোববার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ছিল রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠান। ১৫৬তম রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে এর আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ফাহ্মিদা খাতুন। স্বাগত বক্তৃতা দেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অতিথিরা পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও শিল্পীর হাতে পুষ্পস্তবক, সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কার মূল্যমানের চেক তুলে দেন।
ফাহ্মিদা খাতুন বলেন, ‘আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন ও প্রিয় শিল্পী তার সাধনার স্বীকৃতি পাচ্ছে, এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত চিত্তে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ সভাপতির বক্তব্যে আনিসুজ্জামান বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের চর্চা বাংলাদেশে একটা বিশেষ মর্যাদার আসনে পৌঁছেছে। আজ একক বক্তৃতায় সেই প্রমাণ মিলেছে। ভালো লাগা, মন্দ লাগার ঊর্ধ্বে রবীন্দ্রনাথকে বোঝার চেষ্টা, ব্যাখ্যার চেষ্টা উচ্চমাত্রায় এসে পৌঁছেছে। যে দুজন রবীন্দ্র পদক পেলেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাই। হায়াৎ মামুদের রবীন্দ্রচর্চার ৫০ বছর পেরিয়েছে। অন্যদিকে মিতা হক বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ দুই জায়গাতেই সমান জনপ্রিয়।’
অনুষ্ঠানে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : আধুনিকতা ও জাতীয়তাবাদ’ শিরোনামে একক বক্তৃতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ফখরুল আলম বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পশ্চিমা ধারার আধুনিকতা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তবে ভারতবর্ষের মানুষের জন্য তিনি ভিন্নধারার আধুনিকতার সন্ধান করেছিলেন, যাতে এ অঞ্চলের দর্শন প্রতিফলিত হবে।’
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে ‘ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে’ গানটি গেয়ে শোনান শিল্পী মীরা মন্ডল, ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন নিমাই চন্দ্র মন্ডল। এ ছাড়া ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘কৃষ্ণকলি’ নিয়ে গান-কবিতার যুগলবন্দী।
আলম শামস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।