Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বের এক নম্বর অস্ত্র আমদানিকারক দেশের অপবাদ ঘুচাতে চায় ভারত

স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে চাঙ্গা করতে নতুন প্রতিরক্ষা নীতি

| প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ব্যয়বহুল আমদানিনির্ভরশীলতা হ্রাস ও স্থানীয় ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম চাঙ্গা করতে বহুল প্রতীক্ষিত একটি প্রতিরক্ষা নীতি পাস করেছে ভারত। গত বুধবার নতুন প্রতিরক্ষা নীতিতে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের মন্ত্রিসভা। নতুন নীতি অনুযায়ী, স্থানীয় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকেই উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনবে ভারত সরকার। চলতি দশকের শেষ নাগাদ বিশ্বের এক নম্বর অস্ত্র আমদানিকারক দেশের অপবাদ ঘুচাতে চায় ভারত। এ লক্ষ্যে স্থানীয় পর্যায়ে ৭০ শতাংশ অস্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্বের আওতায় বিদেশী সংস্থার সহযোগিতায় সরকারের বাছাইকৃত ভারতীয় কোম্পানিগুলো স্থানীয় পর্যায়েই যুদ্ধবিমান, সাঁজোয়া যান, হেলিকপ্টার ও সাবমেরিন তৈরি করবে। ম্যানুফ্যাকচারিং প্রচারণা মেক ইন ইন্ডিয়া’র অধীনে স্থানীয় ও বিদেশী কোম্পানিগুলোর মধ্যে মেলবন্ধন দৃঢ় করতে প্রতিরক্ষা খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ সীমা করেছে মোদি সরকার। এক বিবৃতিতে ভারত সরকার জানায়, নতুন প্রতিরক্ষা নীতি স্থানীয় ম্যানুফ্যাকচারিং ও পরিষেবা কমিশনের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, ফলে ভারতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিবৃতিতে সরকার জানায়, নতুন নীতি বলবত্ হলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ভারতে বিনিয়োগের ব্যাপারে অধিক আগ্রহী হবে, ফলে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে বিদেশী সংস্থার সহায়তায় সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করা হলেও অস্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরবরাহকারীদেরই অগ্রাধিকার প্রদান করবে সরকার। আঞ্চলিক প্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার লক্ষ্যে সোভিয়েতআমলে তৈরি সামরিক অস্ত্রভাÐার আধুনিকায়ন করতে চায় ভারত। সামরিক অস্ত্র হালনাগাদ করতে এরই মধ্যে কয়েকশ কোটি ডলার ব্যয় করেছে দেশটি। তবে অস্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে পুরোপুরি আমদানিনির্ভর হয়ে পড়লে বাধাগ্রস্ত হবে হালনাগাদ প্রক্রিয়া। এ কারণেই স্থানীয় পর্যায়ে অস্ত্র তৈরিতে গুরুত্ব প্রদান করছে ভারত। উল্লেখ্য, নতুন প্রতিরক্ষা নীতি অনুমোদনের পাশাপাশি বুধবার ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড (এফআইপিবি) বাতিল করে ভারত। সরকার জানায়, ভবিষ্যতে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমোদনের ছাড়পত্র প্রদান করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এএফপি।

 



 

Show all comments
  • S. Anwar ২৭ মে, ২০১৭, ১:২৮ পিএম says : 0
    ভারত রপ্তানিকারক হলেও তার দু'নম্বরী মাল কেউ খাবে না, যারা ভারতের কাছে দায়বদ্ধ ও তার তোষণকারী কেবলমাত্র তারা ছাড়া।
    Total Reply(0) Reply
  • সৈকত ৫ জুন, ২০১৭, ৯:৫২ পিএম says : 0
    S.Anwar ভাই মনে হয় ভুলে গেছেন নিন্মমানের পন্যের জন্য পৃথিবীতে একমাত্র চীন ই কুখ্যাত। বাংলায় তো প্রবাদই আছে, "মেড ইন চায়না বেশি দিন যায়না।" আর ভারতের পন্যের সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য কোন কিছু না শুধু গত দু বছরের প্রবৃদ্ধির দিকে তাকান চীন যেখানে পন্য রফতানিতে ধাক্কা খেয়েছে সেখানে ভারতের রফতানি তরতরিয়ে বেড়েছে। লক্ষ্য করুন চীনের রফতানি ধাক্কা খেয়েছে বলেই তার প্রবৃদ্ধি কমে গেছে যেখানে ভারতের বেড়েছে। আর এর মূলে চীনের নিন্মমানের পন্য। চীনের পন্যের প্রতি মানুষ ক্ষুব্ধ বলেই বিভিন্ন কোম্পানি চীন থেকে তাদের কারখানা গোটাচ্ছে আর তার অধিকাংশের গন্তব্য কিন্তু ভারত। এমনকি বাংলাদেশও আগের মত ইলেক্ট্রনিকস পন্যের জন্য চীনের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এখন নিজ দেশেই তা উৎপাদনে জোর দিয়েছে। আর পার্টস আনার ক্ষেত্রেও চীনের চেয়েও এখন ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ভারত ইত্যাদিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। কারণ আর কিছুই নয় চীনা পন্যের নিন্মমানের কোয়ালিটি। এরপরেও কি বলবেন ভারতের পন্য খারাপ? আর পাকিস্তনের কথা তো আর নাই বললাম।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ