পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো ভাবে কোনো যুদ্ধে বা সংঘাতে জড়ানো ঠিক হবে না। আমরা কেনো যুদ্ধটাকে আমাদের ঘাড়ে নিয়ে আসছি। আমরা যদি সরাসরি সউদীর পক্ষে অবস্থান করি তাহলে কিন্ত ইরানের সাথে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হবে। ফলে এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ভাবার দরকার আছে বলে আমি মনে করি। ‘সউদী আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব আমেরিকা সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ওই জোটে যোগ দেয়ায় বাংলাদেশের সন্ত্রাস বিরোধী অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে। আর বিশ্ব বাংলাদেশে অবস্থানকে স্বীকার করে নিলো এবং এটা একটা ভাল দিক বলে আমি মনে করি। রিয়াদ ঘোষণায় যেটা স্বাক্ষরিত হয়েছে, ইরান বিরোধিতা এবং ৩৪ হাজার সেনা নিয়ে একটা কমান্ড গঠন। এই বিষয়টা নিয়ে বাংলাদেশের সাথে আগে আলোচনা হয়নি। গতকাল চ্যানেল ২৪ ‘মুক্তবাক’ অনুষ্ঠানে ড. রেহমান আরো বলেন, এর আগে যখন বাংলাদেশকে সউদী নেতৃত্বাধীন কমান্ডে নেওয়া হলো তখনও বাংলাদেশের সাথে আলোচনা না করেই রিয়াদ থেকেই বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। যার ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, অনেক সিদ্ধান্ত অনেক সময় বাংলাদেশেল ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় বা হচ্ছে। যা এবারেও হয়েছে। আর যে কমান্ডটা গঠিত হয়েছে বা হতে যাচ্ছে ৩৪ হাজার সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে, এর ভ‚মিকা কি হবে?
আন্তর্জাতিক রাজনীতির এই বিশ্লেষক অরো বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, মক্কা ও মদিনাতে যদি কোনো হামলা হয় তাখনই শুধু মাত্র বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে। এর বাহিরে কোথাও কোনো বিষয়ে অংশগ্রহণ করবে না। এমতাবস্থায় বাস্তবতা কি করবে জানি না। কারণ আমরা জানি যে, এখনও সউদী ও ইয়েমেনের মধ্যে এক ধরণের যুদ্ধ চলছে। এখন এই যে ৩৪ হাজার সেনাবাহিনীর কমান্ড, এই কমান্ড কি ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে কি না? এটাই হলো আমার প্রশ্ন। এছাড়াও এই কমান্ড কি কখনো কোনদিন ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে কি না? কারণ আমরা জানি যে ঐতিহাসিকভাবে ইরানের সাথে সউদীর একটা দ্ব›দ্ব আছে। যেটা এখন ট্রাম্প নিজে এসে শিয়া সুন্নি দ্ব›দ্বকে আরও উস্কে দিলেন এবং এই কমান্ড ভবিষ্যতে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে কি না সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তখন বাংলাদেশের অবস্থানটা কোথায় যাবে তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বরাবরই জোট নিরপেক্ষ নীতি পালন করে আসছে। এটা সংবিধানের ২৫ নং ধারায়ও বলা আছে যে, বাংলাদেশ কখনই যুদ্ধে জড়াবে না। যদিও একবার ইরাকের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু সেখানে জাতিসংঘের সমর্থন ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি জাতিসংঘের সমর্থন না আসে তাহলে বিভিন্ন ধরনের খারাপ পরিস্থিতিতে এই ৩৪ হাজার সেনা বাহিনীর অবস্থানটা কোথায় হবে। এরা কোথায় যাবে। এরা কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে। তখন বাংলাদেশের অবস্থানটা কি হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।