মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দেশের সাধারণ মানুষকে শুধু শুধু আতঙ্কিত করার ইচ্ছা সরকারের নেই : থেরেসা
ইনকিলাব ডেস্ক : ম্যানচেস্টারে সন্ত্রাসী হামলার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আরও বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে পরিস্থিতি তীব্র থেকে সংকটপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন। সম্ভাব্য হামলা রুখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য সতর্কতা জারিসহ সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন থেরেসা মে। যুক্তরাজ্যের পুলিশ, সরকারি বিভাগ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত জয়েন্ট টেরোরিজম অ্যানালাইসিস সেন্টার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও স্থানগুলোর নিরাপত্তায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েনের খবর দেওয়া হলেও বিবিসির নিরাপত্তা প্রতিবেদক ফ্রাঙ্ক গার্ডনার বলছেন, এই সংখ্যা হবে কয়েকশ’। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির এই মাত্রাকে বলা হয় সঙ্কটপূর্ণ স্তর। এর অর্থ হল, যে কোনো সময় আবারও হামলা হতে পারে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেনে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণা স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া সব রাজনৈতিক দল। তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে সারাবিশ্বে। হামলার পর ব্রিটিশ সরকারের সংকট প্রতিহত কমিটির এক জরুরি বৈঠকের নেতৃত্ব দেন মে। বৈঠক শেষে টেলিভিশনে স¤প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ম্যানচেস্টারের ঘটনায় চলমান তদন্তের ভিত্তিতে আমরা বুঝেছি, ব্রিটেনে এখন হামলার আশঙ্কা শুধু তীব্র নয়, সংকটপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরো স্পষ্ট করে বলেন, আরেকটি হামলার আশঙ্কা এখন শুধু তীব্র নয় বরং তা অত্যাসন্ন। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, গত মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনীর সারাদিনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এ ধরনের হামলা চালানোর জন্য আরও বহু সন্ত্রাসী প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা প্রত্যেকে এককভাবে আলাদা আলাদা জায়গায় হামলার চেষ্টা করবে। মে দাবি করেন সাধারণ মানুষকে শুধু শুধু আতঙ্কিত করার ইচ্ছা তার সরকারের নেই। ম্যানচেস্টারের সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী সালমান আবেদির বাবা-মা ছিলেন লিবীয় শরণার্থী। সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির রোষানল থেকে বাঁচতে লিবিয়া ছেড়ে পরিবারকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে আসেন সালমানের বাবা রামাদান। ডেইলি মেইলের অপর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব দাবি করা হয়। সংবাদমাধ্যম মিরর সালমানের বন্ধু-প্রতিবেশিদের সূত্রে জানাচ্ছে, ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া সালমান কৈশোরে ছিলেন এক ফুটবল-উন্মাদ তরুণ। ভিডিও গেমেও আসক্তি ছিল তার। ম্যানচেস্টারে জোড়া বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে আইএস। জিহাদি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী মুনাফাভিত্তিক ওয়েবসাইট সাইট ইন্টিলিজেন্স জঙ্গিদের দায় স্বীকারের খবর জানিয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স, মিরর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।